ETV Bharat / state

ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টিপাতের তথ্য নেই আলিপুরদুয়ার প্রশাসনের কাছে

ভুটানের পাহাড়ে বৃষ্টির পরিমাণের কোনও তথ্য নেই আলিপুরদুয়ার জেলার সেচ দপ্তরের কাছে । তাই চলতি বছরে আগাম বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না । রাজ্যের সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হলেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি ।

author img

By

Published : Jun 10, 2020, 9:44 AM IST

Alipurduar District Irrigation Department
"ভূটান পাহাড়ের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত ?"

আলিপুরদুয়ার, 10 জুন : ভারত-ভুটান দুই প্রতিবেশী দেশের আন্তর্জাতিক নিয়মের যাঁতাকলে বিপাকে পড়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার সেচ দপ্তর । আন্তর্জাতিক নিয়মের বিধি নিষেধে বন্যা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে সেচ দপ্তরের কর্তারা । ফি বছর ভুটান পাহাড়ে ভারি বর্ষণে প্লাবিত হয় উত্তরবঙ্গের দুই জেলা । তবে ভুটান পাহাড়ে কত পরিমাণ বৃষ্টি হল তার কোনও তথ্যই থাকেনা জেলার সেচ দপ্তরের হাতে । ফলে ভুটান পাহাড়ের ভারি বর্ষণের কারণে আগাম কোন সর্তকতা ছাড়াই প্লাবিত হয় আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ।

Alipurduar District Irrigation Department
এ বর্ষাতেও ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টির পরিমাণ জানতে পারবেনা জেলা সেচ দপ্তর

বর্ষার মরশুমে ভুটান পাহাড়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় কত পরিমাণ বৃষ্টি হয় তার কোনও তথ্য জানা নেই সেচ দপ্তরের । বিষয়টি ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক হওয়ার দরুণ ভুটানের বৃষ্টি পাতের পরিমাণ জানতে রাজ্য সেচ দপ্তরকে কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্ট্রাল ওয়াটার ওয়েজ কমিশনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় । এই সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য সেচ দপ্তর সেন্ট্রাল ওয়াটার ওয়েজকে লাগাতার চিঠি দিয়ে আসছে ।

Alipurduar District Irrigation Department
আগাম বন্যা পরিস্থিতিকে সামাল দিতে চায় আলিপুরদুয়ার জেলার সেচ দপ্তর

রাজ্যের অভিযোগ এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ওই সংস্থাটির কোন হেলদোল নেই । আসন্ন বর্ষার আগে এই সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্য সেচ দপ্তর 22 মে ওই সংস্থাকে ফের চিঠি দিয়েছে । তবে এখনও পর্যন্ত তার কোনও উত্তর পায়নি সেচ দপ্তর । ফলে এ বর্ষাতেও ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টির পরিমাণ জানতে পারবেনা জেলা সেচ দপ্তর । এর জেরে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে আগাম বন্যার কোন সর্তকতামূলক ব্যাবস্থা নিতে পারবে না সেচ দপ্তর ।

বরাবরই জেলা সেচ দপ্তরকে নদীর জলস্তরের উপর নির্ভর করেই বন্যা পরিস্থিতি তথ্য জানতে হয় । এছাড়া আর কোন পথ নেই । আলিপুরদুয়ার সেচদপ্তরের অধিকর্তা প্রিয়ম গোস্বামী বলেন, ভুটানে বৃষ্টির পরিমাণ আগাম জানা থাকলে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই রোধ করা সম্ভব । যদিও ভুটান পাহাড়ে কত পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে সেই তথ্য রাজ্যের হাতে দেওয়া হয় না । বিষয়টি আন্তর্জাতিক হওয়ার দরুণ এই তথ্য দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে ।

Alipurduar District Irrigation Department
বিষয়টি ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক স্তরের

তিনি আরও জানান, ভুটানের বৃষ্টির পরিমাণ জানতে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সংস্থাকে চিঠি দিলেও তাদের তরফ থেকে কোন সহযোগিতা পাওয়া যায় না । ভুটান পাহাড় থেকে শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার জেলাতেই 72টি পাহাড়ি নদী ও ঝোরা নেমে এসেছে । প্রতি বর্ষার মরশুমে এই পাহাড়ি ঝোরাগুলো পাহাড় থেকে পাথর, বালি, মাটি, ডলোমাইট বয়ে আনে । ঝোরার জলে বয়ে আসা এই পাহাড়ি বর্জ্যপদার্থ নদীতে মিশে নদীর নাব্যতা কমিয়ে দিচ্ছে । এর ফলে ভুটান পাহাড়ে অল্প বৃষ্টি হতেই নদীগুলো ফুলে ফেপে ওঠে । দেখা দেয় বন্যা পরিস্থিতি ।

বর্ষার মরশুমে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা কালজানি, নোনাই, তোর্ষা, গরম, ডিমা, সংকোশ, রায়ডাক নদীগুলোতে প্লাবিত হয় জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা । ফি বর্ষায় এই পাহাড়ি নদীর তাণ্ডবে তলিয়ে যায় একরের পর একর চা বাগান । ক্ষতিগ্রস্ত হয় বক্সা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান । তবে ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ জানা গেলে এই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যেত বলে অভিমত সেচ দপ্তরের কর্তাদের । এই সমস্যা সমাধানের জন্য পূর্বতন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সংস্থার সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও তা এখনও ফলপ্রসূ হয়নি ।

আলিপুরদুয়ার, 10 জুন : ভারত-ভুটান দুই প্রতিবেশী দেশের আন্তর্জাতিক নিয়মের যাঁতাকলে বিপাকে পড়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার সেচ দপ্তর । আন্তর্জাতিক নিয়মের বিধি নিষেধে বন্যা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে সেচ দপ্তরের কর্তারা । ফি বছর ভুটান পাহাড়ে ভারি বর্ষণে প্লাবিত হয় উত্তরবঙ্গের দুই জেলা । তবে ভুটান পাহাড়ে কত পরিমাণ বৃষ্টি হল তার কোনও তথ্যই থাকেনা জেলার সেচ দপ্তরের হাতে । ফলে ভুটান পাহাড়ের ভারি বর্ষণের কারণে আগাম কোন সর্তকতা ছাড়াই প্লাবিত হয় আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ।

Alipurduar District Irrigation Department
এ বর্ষাতেও ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টির পরিমাণ জানতে পারবেনা জেলা সেচ দপ্তর

বর্ষার মরশুমে ভুটান পাহাড়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় কত পরিমাণ বৃষ্টি হয় তার কোনও তথ্য জানা নেই সেচ দপ্তরের । বিষয়টি ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক হওয়ার দরুণ ভুটানের বৃষ্টি পাতের পরিমাণ জানতে রাজ্য সেচ দপ্তরকে কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্ট্রাল ওয়াটার ওয়েজ কমিশনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় । এই সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য সেচ দপ্তর সেন্ট্রাল ওয়াটার ওয়েজকে লাগাতার চিঠি দিয়ে আসছে ।

Alipurduar District Irrigation Department
আগাম বন্যা পরিস্থিতিকে সামাল দিতে চায় আলিপুরদুয়ার জেলার সেচ দপ্তর

রাজ্যের অভিযোগ এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ওই সংস্থাটির কোন হেলদোল নেই । আসন্ন বর্ষার আগে এই সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্য সেচ দপ্তর 22 মে ওই সংস্থাকে ফের চিঠি দিয়েছে । তবে এখনও পর্যন্ত তার কোনও উত্তর পায়নি সেচ দপ্তর । ফলে এ বর্ষাতেও ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টির পরিমাণ জানতে পারবেনা জেলা সেচ দপ্তর । এর জেরে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে আগাম বন্যার কোন সর্তকতামূলক ব্যাবস্থা নিতে পারবে না সেচ দপ্তর ।

বরাবরই জেলা সেচ দপ্তরকে নদীর জলস্তরের উপর নির্ভর করেই বন্যা পরিস্থিতি তথ্য জানতে হয় । এছাড়া আর কোন পথ নেই । আলিপুরদুয়ার সেচদপ্তরের অধিকর্তা প্রিয়ম গোস্বামী বলেন, ভুটানে বৃষ্টির পরিমাণ আগাম জানা থাকলে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই রোধ করা সম্ভব । যদিও ভুটান পাহাড়ে কত পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে সেই তথ্য রাজ্যের হাতে দেওয়া হয় না । বিষয়টি আন্তর্জাতিক হওয়ার দরুণ এই তথ্য দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে ।

Alipurduar District Irrigation Department
বিষয়টি ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক স্তরের

তিনি আরও জানান, ভুটানের বৃষ্টির পরিমাণ জানতে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সংস্থাকে চিঠি দিলেও তাদের তরফ থেকে কোন সহযোগিতা পাওয়া যায় না । ভুটান পাহাড় থেকে শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার জেলাতেই 72টি পাহাড়ি নদী ও ঝোরা নেমে এসেছে । প্রতি বর্ষার মরশুমে এই পাহাড়ি ঝোরাগুলো পাহাড় থেকে পাথর, বালি, মাটি, ডলোমাইট বয়ে আনে । ঝোরার জলে বয়ে আসা এই পাহাড়ি বর্জ্যপদার্থ নদীতে মিশে নদীর নাব্যতা কমিয়ে দিচ্ছে । এর ফলে ভুটান পাহাড়ে অল্প বৃষ্টি হতেই নদীগুলো ফুলে ফেপে ওঠে । দেখা দেয় বন্যা পরিস্থিতি ।

বর্ষার মরশুমে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা কালজানি, নোনাই, তোর্ষা, গরম, ডিমা, সংকোশ, রায়ডাক নদীগুলোতে প্লাবিত হয় জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা । ফি বর্ষায় এই পাহাড়ি নদীর তাণ্ডবে তলিয়ে যায় একরের পর একর চা বাগান । ক্ষতিগ্রস্ত হয় বক্সা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান । তবে ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ জানা গেলে এই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যেত বলে অভিমত সেচ দপ্তরের কর্তাদের । এই সমস্যা সমাধানের জন্য পূর্বতন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সংস্থার সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও তা এখনও ফলপ্রসূ হয়নি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.