ETV Bharat / sports

Footballer Died in Nadia : কবে সচেতন হবে খেপের মাঠ, দেবজ্যোতির মৃত্যুতে উঠল একরাশ প্রশ্ন

আসন্ন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলে খেলার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল কৃষ্ণনগরের চৌরাস্তার বাসিন্দা দেবজ্যোতির ৷ এই তো গতবছর ইউরো চলাকালীন ডেনমার্কের ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে থেকে কেঁদে আকুল হয়েছিল ফুটবল জনতা ৷ কিন্তু আদতে আমরা কিছুই শিখিনি তা প্রমাণ হল দেবজ্যোতির মৃত্যুতে (Railway FC footballer dies due to cardiac arrest during a match on Saturday) ৷

Footballer Debajyoti Ghosh Dies
কবে সচেতন হবে খেপের মাঠ, দেবজ্যোতির মৃত্যু তুলে দিয়ে গেল একরাশ প্রশ্ন
author img

By

Published : Mar 20, 2022, 7:21 AM IST

Updated : Mar 20, 2022, 7:27 AM IST

কলকাতা, 20 মার্চ : ফুটবল হোক বা ক্রিকেট ৷ খেলার মাঠে জীবন সংশয় যে কোনও সময় ঘটতে পারে ৷ তাই আর্থিক নিরাপত্তাকে পাশে রেখে মাঠে যে কোনও খেলোয়াড়ের ন্যূনতম চাহিদাটুকু কী হতে পারে ? অন্ততপক্ষে সেবাযানের ব্যবস্থা আর সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত ৷ শনিবার এই ন্যূনতম প্রাথমিক চাহিদাটুকুর অভাবে কুঁড়িতেই ঝরে গেল একটি তরতাজা ফুটবলারের প্রাণ ৷ গত মরশুমে কলকাতা প্রিমিয়র লিগে রেলওয়ে এফসি'র রানার্স হওয়ার অন্যতম কারিগর ছিলেন কৃষ্ণনগরের দেবজ্যোতি ঘোষ ৷ জিতেছিলেন একাধিক ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ৷ তবু অভাবের সংসার ৷ তাই অফ-সিজনে খেপের মাঠ থেকে ডাক এলে না করতেন না ৷ ছোটদলের ফুটবলাররা যেটা আকছার করে থাকেন ৷

সবই ঠিক ছিল ৷ শুধু ওই ন্যূনতম অথচ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনটুকুই হয়ত রাখতে ভুলে গিয়েছিলেন আয়োজকরা ৷ পাশেই ধুবুলিয়ার বেলপুকুরে স্থানীয় এক টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে শনিবার দেবজ্যোতির বুকে বল লাগে ৷ এরপর সম্ভবত হৃদযন্ত্রের জটিলতার কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল বছর পঁচিশের ছেলেটা ৷ শুরু হয় বমি ৷ অথচ মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা তো ছিলই না, এমনকী কোনও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও নাকি ছিল না আয়োজক কমিটির তরফে ৷ যদিও আয়োজক কমিটির তৎপরাতেই দেবজ্যোতিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর ৷ পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল ৷ কিন্তু দেবজ্যোতি ততক্ষণে চিরঘুমের দেশে (Railway FC footballer dies due to cardiac arrest during a match on Saturday) ৷

আসন্ন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলে খেলার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল কৃষ্ণনগরের চৌরাস্তার বাসিন্দা দেবজ্যোতির ৷ এই তো গতবছর ইউরো চলাকালীন ডেনমার্কের ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে থেকে কেঁদে আকুল হয়েছিল ফুটবল জনতা ৷ সিমোন কাজেরের মত সতীর্থ পাওয়ার ভাগ্য হয়ত সব ফুটবলারের হয় না ৷ কিন্তু ওই ঘটনা থেকে আদতে আমরা কিছুই শিখিনি তা প্রমাণ হল এদিনের ঘটনায় ৷ তাই অ্যাম্বুলেন্স থাকলে যে দেবজ্যোতিকে বাঁচানো যেত সেই তর্কে গেলেও কোনওভাবেই এই ত্রুটিপূর্ণ আয়োজনের দায় এড়াতে পারে না কর্তৃপক্ষ ৷

আরও পড়ুন : লগ্নি নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে, ফুটবল উন্নয়নে শেখ রাসেলের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল

আর দায় এড়াতে পারে না অবশ্যই আমাদের বাংলা তথা দেশের ঘুণধরা ফুটবল সিস্টেম ৷ যেখানে অর্থের অসম বণ্টনের কারণে দেবজ্যোতির মত প্রতিভাদের অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে হয় ৷ আঁকড়ে বাঁচতে হয় খেপের মাঠকে ৷ সেই সিস্টেমকে রাতারাতি বদলে ফেলা যাবে না ৷ তেমনই দেবজ্যোতির মৃত্যুতে বাংলায় খেপের ফুটবল যে বন্ধ হয়ে যাবে, তেমনটাও নয় ৷ তবে এরপর থেকে খেলোয়াড়দের কথা ভেবে প্রত্যেকটা টুর্নামেন্ট কমিটি পুরস্কারমূল্যে কাটছাঁট করে হলেও যেন মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্তটুকু রাখে, এটুকুই চাওয়া ৷

কলকাতা, 20 মার্চ : ফুটবল হোক বা ক্রিকেট ৷ খেলার মাঠে জীবন সংশয় যে কোনও সময় ঘটতে পারে ৷ তাই আর্থিক নিরাপত্তাকে পাশে রেখে মাঠে যে কোনও খেলোয়াড়ের ন্যূনতম চাহিদাটুকু কী হতে পারে ? অন্ততপক্ষে সেবাযানের ব্যবস্থা আর সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত ৷ শনিবার এই ন্যূনতম প্রাথমিক চাহিদাটুকুর অভাবে কুঁড়িতেই ঝরে গেল একটি তরতাজা ফুটবলারের প্রাণ ৷ গত মরশুমে কলকাতা প্রিমিয়র লিগে রেলওয়ে এফসি'র রানার্স হওয়ার অন্যতম কারিগর ছিলেন কৃষ্ণনগরের দেবজ্যোতি ঘোষ ৷ জিতেছিলেন একাধিক ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ৷ তবু অভাবের সংসার ৷ তাই অফ-সিজনে খেপের মাঠ থেকে ডাক এলে না করতেন না ৷ ছোটদলের ফুটবলাররা যেটা আকছার করে থাকেন ৷

সবই ঠিক ছিল ৷ শুধু ওই ন্যূনতম অথচ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনটুকুই হয়ত রাখতে ভুলে গিয়েছিলেন আয়োজকরা ৷ পাশেই ধুবুলিয়ার বেলপুকুরে স্থানীয় এক টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে শনিবার দেবজ্যোতির বুকে বল লাগে ৷ এরপর সম্ভবত হৃদযন্ত্রের জটিলতার কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল বছর পঁচিশের ছেলেটা ৷ শুরু হয় বমি ৷ অথচ মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা তো ছিলই না, এমনকী কোনও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও নাকি ছিল না আয়োজক কমিটির তরফে ৷ যদিও আয়োজক কমিটির তৎপরাতেই দেবজ্যোতিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর ৷ পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল ৷ কিন্তু দেবজ্যোতি ততক্ষণে চিরঘুমের দেশে (Railway FC footballer dies due to cardiac arrest during a match on Saturday) ৷

আসন্ন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলে খেলার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল কৃষ্ণনগরের চৌরাস্তার বাসিন্দা দেবজ্যোতির ৷ এই তো গতবছর ইউরো চলাকালীন ডেনমার্কের ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে থেকে কেঁদে আকুল হয়েছিল ফুটবল জনতা ৷ সিমোন কাজেরের মত সতীর্থ পাওয়ার ভাগ্য হয়ত সব ফুটবলারের হয় না ৷ কিন্তু ওই ঘটনা থেকে আদতে আমরা কিছুই শিখিনি তা প্রমাণ হল এদিনের ঘটনায় ৷ তাই অ্যাম্বুলেন্স থাকলে যে দেবজ্যোতিকে বাঁচানো যেত সেই তর্কে গেলেও কোনওভাবেই এই ত্রুটিপূর্ণ আয়োজনের দায় এড়াতে পারে না কর্তৃপক্ষ ৷

আরও পড়ুন : লগ্নি নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে, ফুটবল উন্নয়নে শেখ রাসেলের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল

আর দায় এড়াতে পারে না অবশ্যই আমাদের বাংলা তথা দেশের ঘুণধরা ফুটবল সিস্টেম ৷ যেখানে অর্থের অসম বণ্টনের কারণে দেবজ্যোতির মত প্রতিভাদের অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে হয় ৷ আঁকড়ে বাঁচতে হয় খেপের মাঠকে ৷ সেই সিস্টেমকে রাতারাতি বদলে ফেলা যাবে না ৷ তেমনই দেবজ্যোতির মৃত্যুতে বাংলায় খেপের ফুটবল যে বন্ধ হয়ে যাবে, তেমনটাও নয় ৷ তবে এরপর থেকে খেলোয়াড়দের কথা ভেবে প্রত্যেকটা টুর্নামেন্ট কমিটি পুরস্কারমূল্যে কাটছাঁট করে হলেও যেন মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্তটুকু রাখে, এটুকুই চাওয়া ৷

Last Updated : Mar 20, 2022, 7:27 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.