কলকাতা, 2 অগস্ট: সকালে পতাকা উত্তোলন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন দিয়ে শুরু হওয়া ইস্টবেঙ্গলের 103 তম প্রতিষ্ঠা দিবস শেষ হল আশার মশাল ও প্রত্যাবর্তনের অঙ্গীকার দিয়ে (Jhulan Goswami is True Champion Says Leander Paes in East Bengal 103rd Foundation Day)। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে নাতিদীর্ঘ অনুষ্ঠানের আকর্ষণ ছিল ভারত গৌরব সম্মান এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার প্রদান ৷ ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবস মানেই মিলনমেলা ৷ প্রাক্তন ফুটবলারদের দীর্ঘ তালিকায় সোনাঝরা বিকেলের প্রত্যাবর্তন দেখল লাল-হলুদ সমর্থকরা ৷ যেখানে রাজ্যের রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের গলাতেও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে ঘিরে সামনে এল আবেগ ৷
মেয়র ফিরহাদ হাকিমের গলায় শোনা গেল লাল-হলুদ জার্সি চুরির গল্প ৷ তাপস রায়ের মুখে ইস্টবেঙ্গল ঘিরে আবেগের কথা ৷ সুজিত বসুর কথায় ক্রীড়াপ্রেম, বিশেষ করে ফুটবল প্রেমের কথা সামনে এল ৷ শ্যাম থাপার হাত থেকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মান নিয়ে স্বপন সেনগুপ্ত শোনালেন, দর্শকদের ভালোবাসার পাশাপাশি, কটূক্তি শুনে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ৷ আরেক লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মানে ভূষিত গৌতম সরকারের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন সমরেশ চৌধুরী ৷ তার পর ময়দানের ছোট বেকেনবাওয়ার গৌতমের মুখে ছিল লড়াকু ফুটবলের হাত ধরে প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলে রাখার রহস্য ৷
তবে, এ দিন যাবতীয় আকর্ষণ ছিল ঝুলন গোস্বামী এবং লিয়েন্ডার পেজকে ঘিরে ৷ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ভারত গৌরব সম্মানে সম্মানিত ঝুলন গোস্বামী স্বীকার করলেন তাঁর ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থনের গল্প ৷ খেলার ব্যস্ততায় কীভাবে ডার্বির স্কোরলাইন জেনে নিতেন, তা জানালেন প্রাক্তন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার ৷ তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলার রঞ্জি জয়ী দলের অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই চুক্তি ইমামি ও ইস্টবেঙ্গলের
আরেক ভারত গৌরব সম্মান প্রাপক লিয়েন্ডার পেজ এ দিন বান্ধবী কিম শর্মাকে নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ৷ এ দিন ঝুলনকে ‘ট্রু চ্যাম্পিয়ন’ বলে উল্লেখ করেন লিয়েন্ডার ৷ আর তাঁকে সঙ্গে ছিলেন, পরিবারের অন্য সদস্যরাও ৷ ছিলেন লিয়েন্ডারের বাবা ভেস পেজ ৷ দুই অলিম্পিয়ান লাল-হলুদ মঞ্চে আলো ছড়ালেন ৷ অসুস্থ হলেও, ছেলের ভারত গৌরব সম্মান প্রাপ্তির দৃশ্যকে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন ভেস পেজ ৷ দুই অলিম্পিয়ান পদকজয়ী এবং বাবা-ছেলের সম্পর্কের এই ফ্রেম ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চকে আলাদা মাত্রায় তুলে নিয়ে যায় এ দিন ৷ লিয়েন্ডার নিজের লড়াইয়ের কথা বলার পাশাপাশি ময়দানের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগ, লাল হলুদ জার্সিকে ঘিরে আবেগের কথা জানালেন ৷ আগামী দিনে তিনিও যে ইস্টবেঙ্গলকে সেরার মঞ্চে দেখতে চান, সেই আবদারও করলেন লিয়েন্ডার ৷ সব মিলিয়ে 103 তম প্রতিষ্ঠা দিবস হয়ে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গলের মিলন মঞ্চ ৷