কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর: আশার ফুলকি আছে, তবে তার আগ্রাসী স্ফুরণ নেই । ফলে সুযোগ তৈরি করেও তার ফায়দা তুলতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল এফসি । আইএসএলে প্রথম ম্যাচে সোমবার লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ ছিল জামশেদপুর এফসি । সবে দেশের এক নম্বর লিগের বল গড়ানো শুরু হয়েছে । কোনও দল সম্পর্কে এখনই সিদ্ধান্ত টানা অনুচিৎ । তা সত্ত্বেও বলতে হয় তিন বছরের অন্ধকার সরিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে আলোয় ফেরাতে কার্লেস কুয়াদ্রাতের আরও সময় দরকার। একইকথা বলতে হয় স্কট কুপারের জামশেদপুর এফসি সম্পর্কেও ।
পুরো 90 মিনিট জুড়েই গোল করার লোকের অভাবে ভুগল ইস্টবেঙ্গল । বিশেষ করে সিভেরিও তোরো । প্রথমার্ধে অন্তত দু'টো সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন । যা থেকে গোল না করা অপরাধ । তিন মিনিটে নিশু কুমারের সেন্টার থেকে নেওয়া তাঁর হেড বাইরে । 37 মিনিটে বোরহার পাস থেকে ফের গোল নষ্ট সিভেরিওর । 43 মিনিটে ফের সিভেরিও এবং নাওরেম মহেশ সিংয়ের গোল নষ্ট । 11 হাজারেরও বেশি লাল-হলুদ সমর্থক শুধুমাত্র আশায় ভর দিয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এসেছিলেন । কিন্তু প্রিয় দলের খেলা দেখে তারা বিরক্ত ।
ডুরান্ড কাপের পারফরম্যান্স তাদের আশা দেখিয়েছিল । কিন্তু আইএসএলের প্রথম ম্যাচের বিবর্ণ ফুটবল অনুরাগীদের আশাহত করবে । স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন হার দিয়ে গতবছর আইএসএল অভিযান শুরু করেছিলেন । কুয়াদ্রাত বলছেন, প্রতিটি পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু ঘরের মাঠে নড়বড়ে জামশেদপুরকে একাধিকবার বাগে পেয়েও ফায়দা তুলতে না-পারার খেসারত হয়তো পরবর্তী সময়ে দিতে হতে পারে । বিরতির পরেও একই ছবি । বরং আরও বিরক্তিকর । ফলে গোলের মুখ খোলেনি ।
আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়তে ক্লেইটন সিলভাকে বোরহার বদলে নামিয়েও কাজ হয়নি । ফলস্বরূপ আইএসএলের শুরুতে গোলশূন্য ড্র ইস্টবেঙ্গলের । অ্যাওয়ে ম্যাচে জামশেদপুর এফসি প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে লাল-হলুদ রক্ষণ ভাঙতে চেয়েছিল । কিন্তু তাদের সেই চেষ্টাতেও ধার নেই । তাই জর্ডন এলসের না-থাকা সত্ত্বেও পার্দো এবং খাবরাকে দিয়ে রক্ষণ সাজিয়ে কুয়াদ্রাত উতরে গেলেন । শনিবার হায়দরাবাদ এফসি'র বিরুদ্ধে খেলবে ইস্টবেঙ্গল । কিন্তু এই অগোছালো ফুটবল না-শোধরাতে পারলে কুয়াদ্রাতের জয় আরও দীর্ঘায়িত হবে বৈকি ৷