ETV Bharat / sports

কোরোনা ভাইরাসের জাঁতাকলে অথৈ জলে বাংলার সাঁতারুরা - বাংলার সাঁতারু

নির্দেশিকা জারি করেনি দেশের সুইমিং ফেডারেশন ৷ তাই অথৈ জলে পড়েছে বাংলার সাঁতারুরা ৷

কোরোনা ভাইরাসের জাঁতাকলে অথৈ জলে বাংলার সাঁতারুরা
কোরোনা ভাইরাসের জাঁতাকলে অথৈ জলে বাংলার সাঁতারুরা
author img

By

Published : Jun 6, 2020, 12:27 PM IST

কলকাতা, 6 জুন: কোরোনা ভাইরাসের দাপটে ক্রীড়া দুনিয়া কার্যত স্তব্ধ । ইতিউতি বল গড়ানোর চেষ্টা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়েছে বলা যাবে না । এই অবস্থায় অথৈ জলে পড়েছেন দেশের সাতারুরা । দেশের সুইমিং ফেডারেশন এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি । ফলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সাঁতারুরা লক্ষ্যহীনভাবে সময় কাটাচ্ছেন । এই অনিশ্চয়তার ঢেউ লেগেছে বাংলার সাঁতারেও ।

বাংলায় প্রায় 500 থেকে 1000 জন এমন সাঁতারু রয়েছেন যাঁরা সাঁতার, ডাইভিং, ওয়াটার পোলোর সঙ্গে যুক্ত । দুশোটি ক্লাবে তারা নিয়মিত অনুশীলন করেন এবং তাদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন । কিন্তু তাঁরাও জানেন না সামনে কোন প্রতিযোগিতা রয়েছে । এই অবস্থায় দিশেহারা রাজ্য সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব স্বপন আদক । সাঁতারুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত স্বপ্নন আদক বলেছেন, "এই বছরটা আমাদের কাছে কালো হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে । ফেডারেশন কোনও নির্দেশিকা না পাঠানোয় আমিও কোনও নির্দেশ দিতে পারছি না । অথচ এমন বহু সাঁতারু রয়েছেন যাদের কাছে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে প্রমাণ করার শেষ সুযোগ ছিল । তারা সুযোগ হারাচ্ছে দেখে আমি দুঃখিত । একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,"বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় ভালো ফল করার সুবাদে অনেকে চাকরির সুযোগ পায় । ভালো স্কুল কলেজে ভরতির দরজাও খোলে । কিন্তু এই অবস্থায় সবকিছু বন্ধ ।"

সাধারণত সাঁতারের মরশুম শুরু হয় হয় এপ্রিল মাস থেকে । মে মাসের শেষ সপ্তাহে কিংবা জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে হয় রাজ্য সাঁতার । জুন মাসের শেষ সপ্তাহ বা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় বয়সভিত্তিক সাঁতারের জাতীয় প্রতিযোগিতা । সেপ্টেম্বরে হয় সিনিয়র ন্যাশনাল । কিন্তু সেই সবকিছু এখন অস্তাচলে । টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন শুধু রাজ্য চ্যাম্পিয়নশীপ আয়োজন করতে পারবে বলে জানিয়েছে । বঙ্গ সাঁতারের নিয়ামক সংস্থাও কী এই ধরনের কোনও পরিকল্পনার কথা ভাবছে? স্বপন আদক বলছেন, ফেডারেশনের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোনও কিছুই করতে পারছেন না । রাজ্য সরকার টেবিল টেনিস, টেনিস এবং গলফ খেলার অনুশীলনের অনুমতি দিয়েছে । সেই মতো সাঁতারের পুলে লেনের পারস্পরিক ব্যবধান বাড়িয়ে একটা চেষ্টার ইঙ্গিত স্বপনবাবু দিয়েছেন । এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে পারেন । তবে ওয়াটার পোলো খেলা আয়োজনের সুযোগ রাজ্য সাঁতার সংস্থার সচিব দেখছেন না ।

কোরোনা ভাইরাস রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে । যা ওয়াটার পোলোতে সম্ভব নয় । সাঁতার, ডাইভিংয়ে দূরত্ব বজায় চেষ্টা করলেও সম্ভব । কিন্তু ওয়াটার পোলোতে তা নৈব নৈচ চ । জাতীয় পর্যায়ের ওয়াটার পোলোতে বাংলার ছেলে এবং মেয়েদের সাফল্য নজর কাড়া । তাই এই অবস্থায় তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ৷

কলকাতা, 6 জুন: কোরোনা ভাইরাসের দাপটে ক্রীড়া দুনিয়া কার্যত স্তব্ধ । ইতিউতি বল গড়ানোর চেষ্টা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়েছে বলা যাবে না । এই অবস্থায় অথৈ জলে পড়েছেন দেশের সাতারুরা । দেশের সুইমিং ফেডারেশন এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি । ফলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সাঁতারুরা লক্ষ্যহীনভাবে সময় কাটাচ্ছেন । এই অনিশ্চয়তার ঢেউ লেগেছে বাংলার সাঁতারেও ।

বাংলায় প্রায় 500 থেকে 1000 জন এমন সাঁতারু রয়েছেন যাঁরা সাঁতার, ডাইভিং, ওয়াটার পোলোর সঙ্গে যুক্ত । দুশোটি ক্লাবে তারা নিয়মিত অনুশীলন করেন এবং তাদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন । কিন্তু তাঁরাও জানেন না সামনে কোন প্রতিযোগিতা রয়েছে । এই অবস্থায় দিশেহারা রাজ্য সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব স্বপন আদক । সাঁতারুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত স্বপ্নন আদক বলেছেন, "এই বছরটা আমাদের কাছে কালো হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে । ফেডারেশন কোনও নির্দেশিকা না পাঠানোয় আমিও কোনও নির্দেশ দিতে পারছি না । অথচ এমন বহু সাঁতারু রয়েছেন যাদের কাছে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে প্রমাণ করার শেষ সুযোগ ছিল । তারা সুযোগ হারাচ্ছে দেখে আমি দুঃখিত । একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,"বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় ভালো ফল করার সুবাদে অনেকে চাকরির সুযোগ পায় । ভালো স্কুল কলেজে ভরতির দরজাও খোলে । কিন্তু এই অবস্থায় সবকিছু বন্ধ ।"

সাধারণত সাঁতারের মরশুম শুরু হয় হয় এপ্রিল মাস থেকে । মে মাসের শেষ সপ্তাহে কিংবা জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে হয় রাজ্য সাঁতার । জুন মাসের শেষ সপ্তাহ বা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় বয়সভিত্তিক সাঁতারের জাতীয় প্রতিযোগিতা । সেপ্টেম্বরে হয় সিনিয়র ন্যাশনাল । কিন্তু সেই সবকিছু এখন অস্তাচলে । টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন শুধু রাজ্য চ্যাম্পিয়নশীপ আয়োজন করতে পারবে বলে জানিয়েছে । বঙ্গ সাঁতারের নিয়ামক সংস্থাও কী এই ধরনের কোনও পরিকল্পনার কথা ভাবছে? স্বপন আদক বলছেন, ফেডারেশনের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোনও কিছুই করতে পারছেন না । রাজ্য সরকার টেবিল টেনিস, টেনিস এবং গলফ খেলার অনুশীলনের অনুমতি দিয়েছে । সেই মতো সাঁতারের পুলে লেনের পারস্পরিক ব্যবধান বাড়িয়ে একটা চেষ্টার ইঙ্গিত স্বপনবাবু দিয়েছেন । এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে পারেন । তবে ওয়াটার পোলো খেলা আয়োজনের সুযোগ রাজ্য সাঁতার সংস্থার সচিব দেখছেন না ।

কোরোনা ভাইরাস রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে । যা ওয়াটার পোলোতে সম্ভব নয় । সাঁতার, ডাইভিংয়ে দূরত্ব বজায় চেষ্টা করলেও সম্ভব । কিন্তু ওয়াটার পোলোতে তা নৈব নৈচ চ । জাতীয় পর্যায়ের ওয়াটার পোলোতে বাংলার ছেলে এবং মেয়েদের সাফল্য নজর কাড়া । তাই এই অবস্থায় তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.