কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি : নিয়ম রক্ষার আর দু’টি ম্যাচ খেলা শেষ হলেই এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ঘিরে গড়ে ওঠা ধোঁয়াশা আরও বড় হবে। বিনিয়োগ সংস্থা এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সাবেক কর্তাদের মধ্যে প্রথম থেকেই একটা মতভেদ চলে আসছে। দু’পক্ষের মউ চুক্তি হলেও, চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই হয়নি এবং বিষয়টি এখন এমন পর্যায়ে গিয়েছে, যেখানে ফের লাল হলুদ সমর্থকদের মধ্যে বিনিয়োগ বা স্পনসর হারানোর আশঙ্কা জাঁকিয়ে বসছে ।
অনেকেই এই বিতর্কের মধ্যে অন্য ছবি দেখছেন । কারণ চুক্তিতে চূড়ান্ত সই হয়ে গেলে, সাবেক কর্তাদের ক্ষমতা হারানো শুধু নয়, ক্লাব তাবুতে প্রবেশাধিকার অধিকার থাকবে না। আর সেই অধিকার হারানোর আশঙ্কাকে সমর্থকদের অধিকার লঙ্ঘনের মোড়কে ঢেকে পেশ করছেন সাবেক কর্তারা। চুক্তির জটে প্রভাবিত হচ্ছে নতুন মরসুমের দলগঠন। বেশ কিছু দিন আগেই বিনিয়োগ সংস্থা ইঙ্গিত দিয়েছিল, বর্তমান দলের ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ নিয়ে তারা কথা বলতে পারছে না। মউ চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে সই করা সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, তিনি বর্তমানে এই জটিলতা সম্পর্কে অবহিত নন। তবে, বিচ্ছেদের পথে দু’পক্ষ হাটবে বলে মনে করেন না তিনি।
আরও পড়ুন : লাল-হলুদের ভুল কাজে লাগিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল সবুজ-মেরুন
এদিকে টনি গ্রান্ট নতুন মরসুমের দল গঠন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, "সত্যি কথা বলতে কি আমরা চলতি মরসুমের প্রথমদিন থেকে আগামী মরসুমের দল নিয়ে পরিকল্পনা করেছি। কোনও সন্দেহ নেই আমরা খুব কম সময়ের প্রস্তুতিতে আইএসএল খেলতে নেমেছিলাম । মাত্র দু’সপ্তাহ সময় পেয়েছিলাম তৈরি হওয়ার জন্য। অনেক ফুটবলার ছিল যাঁরা আইএসএল খেলেননি । ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে ভিন্ন পর্যায়ে ঢুকে পড়ার মত অবস্থা হয়েছিল। নতুন মরসুমের কথা মাথায় রেখে ফুটবলারদের উন্নতির দিকে চোখ রেখেছিলাম।সার্থক গুলুই, সৌরভ দাসদের মতো বেশ কয়েকজনের উন্নতি চোখে পড়েছে । দল গঠন সঠিক হয়নি বলে কয়েক জন কোচ বলছেন । কিন্তু বিশ্বে প্রতিটি ক্লাব চলতি মরসুমে নতুন মরসুমের দল তৈরি করার দিকে চোখ রাখে।"