কলকাতা, ২১ ফেব্রুয়ারি : ওরা সাতজন ডিফারেন্ট বাই প্রফেশন, ইউনাইটেড বাই গ্রিন অ্যান্ড মেরুন। শিরায় শিরায় মোহনবাগানের সবুজ মেরুন রং ওদের রক্তে রং ধরায়। আশার আলো জ্বলে চোখে।
এ ফাইভ। চারবছর ধরে গানের ব্যান্ড হিসেবে পরিচিত হলেও ওরা সবাই মোহনবাগানের গান করতেই ভালোবাসে। তাই সবুজ মেরুন নৌকার সুখে দুঃখে এ ফাইভ ব্যান্ড হাল ছাড়ার বদলে শক্ত করে হাল ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকা নয়, গান লিখে সুর দিয়ে রেকর্ড করে ফেলেছে ওরা। ইতিমধ্যেই গানটি সবুজ মেরুন জনতার মনে ধরেছে। তাই তো চলতি আই লিগের শেষ ডার্বি খেলার শুরু ও মাঝে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কাঁপিয়ে বেজেছে এ ফাইভের তৈরি করা গান।
চারবছর ধরে গান করছে এ ফাইভ। ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন ধারার গান করলেও মোহনবাগানকে নিয়ে একটা গান বাঁধার স্বপ্ন ছিল সাত জনের এই দলটির। মাঝের সময়ে অনেকভাবে লেখা ও গাওয়া হয়েছে মোহনবাগানকে নিয়ে গান। যেখানে উঠে এসেছে ক্লাবের ইতিহাস, সাফল্য, ঐতিহ্য ও স্বপ্নের কথা। বাংলার মাটির সুরে তা বলা হয়েছে। কিন্তু এ ফাইভ একটু অন্যভাবে শিরায় শিরায় মোহনবাগান গানটিকে উপস্থাপন করেছে। সৌরভ ব্যানার্জির কলমে সবুজ মেরুনের কথায় একটু অন্যরকম ভালোলাগা রয়েছে। যা আরও মনোগ্রাহী হয়েছে সৌমাল্য সিনহা সুরে। অনন্য ধারার অন্য ভাবনার গানে মেঠো সুরের বদলে জায়গা নিয়েছে রক মিউজ়িক। যা ফুটবল খেলার মেজাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বটে।
এ ফাইভের ছোট্ট প্রয়াস অন্যমাত্রা পেয়েছে নচিকেতার যোগদানে। আধুনিক জীবনমুখী গানের বর্তমান ব্যাটন হাতে নিয়ে চলা মানুষটি শিরায় শিরায় সবুজ মেরুন গানটির সুরে মোহিত হয়ে কলম তুলে নিয়েছিলেন। গানের শেষ দুটো স্তবকে নচিকেতার ছোঁয়া। এই প্রথমবার নচিকেতা কোনও ব্যান্ডের জন্য কলম ধরলেন। প্রশংসা করলেন সুরের। যা প্রাপ্তি বলে জানিয়েছেন এ ফাইভ ব্যান্ডের অন্যতম হোতা অভিষেক দে।
এ ফাইভের দাবি ইতিমধ্যেই গানটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ক্লাবকে তাঁরা থিম সং করার অনুরোধ করেছেন। এখন দেখার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কোন পথে হয়। তবে এ ফাইভ ব্যান্ড থেমে থাকতে রাজি নয়। বরং কথায় ও সুরে সবুজ মেরুনের জয়গাথা তৈরি করে যেতে চায়।