দিল্লি, 3 জুন : সুব্রত পালের প্রশংসায় এবারসন্দেশ ঝিঙ্গান। ভারতীয় ফুটবল দলের এক নম্বর ডিফেন্ডার বলছেন সুব্রত পালের মতপরিশ্রম পাগল ফুটবলার তিনি দেখেননি। এর আগে ভারতীয় দলের সিনিয়র গোলরক্ষকের প্রশংসাকরেছিলেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। বাঙালি গোলরক্ষককে তিনি তাঁর অনুপ্রেরণা বলেছিলেন।স্বাভাবিকভাবেই জুনিয়র সতীর্থদের কাছ থেকে ভূয়সী প্রশংসা পেয়ে নিজের মুগ্ধতাপ্রকাশ করতে কার্পণ্য করেননি সুব্রত পাল স্বয়ং।
কোনওসন্দেহ নেই সাম্প্রতিক সময়ে গোলের নীচে তাঁর অবস্থান মানে পুরো দলের বাড়তিআত্মবিশ্বাস। তাঁর অবিশ্বাস্য গোলরক্ষা তাঁকে স্পাইডারম্যান অ্যাখ্যা দিয়েছে এবংতা মিলেছে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে। পরিশ্রম এবং নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ারঅদম্য চেষ্টা সুব্রত পালকে সম্মানের উচ্চ আসনে বসিয়ে দিয়েছে।
সন্দেশঝিঙ্গান বলছেন,"সুব্রতভাই একজন ফুটবলের প্রতি উৎসর্গিত মানুষ।আমি ওঁনার মতো পরিশ্রম পাগল মানুষ দেখিনি।যদি কেউ জানতে চায় পরিশ্রম ব্যাপারটা ঠিক কি তাহলে তাঁকে বলব সুব্রত ভাইয়ের সঙ্গেএকটা দিন কাটাতে।"
ভারতীয়ফুটবলের আয়রন ম্যান ডিফেন্ডার বলছেন, 2011সালে কাতারে অনুষ্ঠিত AFC এশিয়ান কাপে সুব্রত পালের অবিশ্বাস্যপারফরম্যান্সের কথা। যেখানে সমস্ত প্রচারের আলো শুধু দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিনিয়ে নিয়েছিলেন বর্ষীয়ান গোলরক্ষক। তাঁকে একই সাজঘরে থেকে সামনে থেকে দেখারঅভিজ্ঞতা একটা আলাদা অনুভূতি, বলছেন সন্দেশ ঝিঙ্গান।" মানুষটি ভোর চারটের সময় ঘুমথেকে ওঠেন।সবার আগে মাঠে পৌঁছন। আর সবার শেষে মাঠ থেকে বেরোন। যখন ঘুমোন তখনওফুটবল নিয়ে চিন্তা করেন। সেই কারনেই মানুষটি এখনও ফর্মের চূড়োয় রয়েছেন। সত্যিইমানুষটির তুলনা নেই," প্রশংসাসন্দেশ ঝিঙ্গানের।
সিনিয়রফুটবলারের সঙ্গে আলাপের প্রথম দিনের কথা বলেছেন ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার। মহেশ গাউলিদেখা করতে এসেছিলেন সন্দেশ ঝিঙ্গানের সঙ্গে । সেই সময় সুব্রত পালের রুমমেট ছিলেন 17 বছরের সন্দেশ। প্রতিভাবান ডিফেন্ডারকেআশীর্বাদ করতে মহেশ গাউলিকে বলেছিলেন সুব্রত পাল। দুজন কিংবদন্তি ফুটবলারকে সামনেথেকে দেখার অভিজ্ঞতা আজও মনে করতে পারেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। 17 বছর বয়সি ফুটবলারের কাছে সেদিনপুরোটাই ছিল স্বপ্ন। 2017 সালেত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সময় ট্রফি তোলার স্মৃতি আজও উজ্বল 26 বছরের ডিফেন্ডারের মনে। বাঙালি গোলরক্ষককেঅঘোষিত নেতা বলেছেন তিনি। দলকে অনুপ্রাণিত করতে টিম মিটিং এ সুব্রত পালের মোটিভেশনটকের কথা শোনা গেল সন্দেশ ঝিঙ্গানের মুখে।