কলকাতা, 31 মে : চুক্তি অনুসারে সোমবারই ছিল মরসুমের শেষদিন । জুন মাসের প্রথম দিন থেকে ব্রাইট এনোবাখারে, দেবজিৎ মজুমদাররা নতুন মরসুমে লাল হলুদ জার্সির জন্য অপেক্ষায় না থেকে নতুন দলের জন্য চেষ্টা করবেন । 31 মে এসসি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে ফের চিঠি পাঠানো হল লাল-হলুদ ক্লাব তাবুতে । সেখানে বলা হয়েছে, মউ চুক্তি এবং চূড়ান্ত চুক্তির মধ্যে পার্থক্য কোথায় তা জানানো হোক । একই কথার পুনরাবৃত্তি করে কর্তারা বিনিয়োগকারী সংস্থাকে চিঠি দিয়ে চলেছে । চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষরের ব্যাপারে এখনও অনড় অবস্থানে তারা ।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, ‘‘চিঠি এসেছে বলে জেনেছি । তবে ক্লাবে না যাওয়ায় বিষয়বস্তু জানি না । চিঠি তো আইনজীবীদের কাছে দেওয়া হয়েছে । তাই বিষয়বস্তু মঙ্গলবার ক্লাবে গিয়ে জেনে নেব ।’’ এখানে প্রশ্ন হল বিনিয়োগকারী সংস্থা লাল-হলুদ কর্তাদের চূড়ান্ত স্বাক্ষরের জন্য কতদিন অপেক্ষা করবেন ?
তাদের এক সদস্য বলছেন, এফএসডিএল যেদিন অর্থ জমা দেওয়ার চূড়ান্ত বার্তা দেবে সেদিনই তারা লক্ষণ রেখা টানবেন । সেখানেও ক্লাব সাড়া না দিলে এফএসডিএলকে তাদের অপারগতার কথা জানিয়ে দেওয়া হবে । এদিকে এসি ইস্টবেঙ্গলের ছয়জনের অপারেশানাল টিমের একজনকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । যা মোটেই ভালো লক্ষণ নয় । বিনিয়োগকারী সংস্থা বলছে ক্লাব চূড়ান্ত স্বাক্ষর যেদিন করবে সেদিনই অপারেশানাল টিমের সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে । তবে স্বাক্ষর যত দেরিতে হবে ততই দল গঠন যে কঠিন হবে তা বুঝতে পারছেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা । কারণ নয় জুন থেকে দলবদল শুরু । অন্যরা দল গোছানো শুরু করলেও লাল-হলুদের আকাশে অনিশ্চয়তা । তাই ক্লাবকর্তা এবং বিনিয়োগকারী সংস্থার দড়ি টানাটানিতে শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলে চূড়ান্ত ডামাডোল ।