কলকাতা, 31 জানুয়ারি: রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার-ফাইনালে (Ranji Trophy Quarter Final) প্রথমদিনেই ম্যাচের রাশ বাংলা দলের হাতে ৷ গতির অস্ত্রে শান দিয়ে ঝাড়খণ্ডকে 173 রানে অল আউট করে দিল বাংলা (Jharkhand All Out on 173 Runs Against Bengal) ৷ বাংলার দুই মিডিয়াম পেসার আকাশ দীপ এবং মুকেশ কুমারের সামনে দাঁড়াতে পারেননি ঝাড়খণ্ডের ব্যাটাররা ৷ আকাশ দীপ 4টি এবং মুকেশ কুমার 3টি উইকেট নিলেন ৷ এদিন মনোজ তিওয়ারিদের খেলা দেখতে মাঠে আসেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৷
ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার একদিনের ম্যাচে যে উইকেটে হয়েছিল, সেই উইকেটেই রঞ্জি ট্রফির শেষ আটের ম্যাচ হচ্ছে ৷ ওয়ান-ডে ম্যাচে গতির ঝড়ে প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলেছিলেন মহম্মদ সিরাজ ৷ মঙ্গলবার ইডেনে বাংলার পেসাররাও গতিতেই প্রতিপক্ষ ঝাড়খণ্ডকে অল্প রানে বেঁধে রাখলেন ৷ অনুষ্টুপ মজুমদার বলেছেন, এই 22 গজে বোলাররা প্রথম দু’দিন সাহায্য পাবে ৷ তাই প্রাথমিক ঝটকা সামলানো জরুরি ৷ ঝাড়খণ্ড পারেনি। বাংলা পারলে ম্যাচ সহজ হবে ৷
এদিন বাংলার রঞ্জি ম্যাচ দেখতে ইডেনে আসেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ এই মরশুমে প্রথমবার তিনি রঞ্জির ম্যাচ দেখতে ইডেনে এসেছিলেন ৷ চা-বিরতির সময় ইডেনে ঢোকেন তিনি ৷ দিনের শেষে সৌরভ যখন ইডেন ছাড়ছেন, তখন ঝাড়খণ্ডের ইনিংস 173 রানে শেষ ৷ কুমার সুরজ অপরাজিত 89 রান না করলে আরও কম রানে গুটিয়ে যেত বিরাট সিং'য়ের দল ৷
সকালে টস জিতে বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ সকাল থেকে মেঘলা আকাশ এবং সবুজ উইকেটে বাংলার পেসাররা দাপট দেখান ৷ মুকেশ কুমারের যোগদান যদি বাংলার পক্ষে আশীর্বাদ হয় ৷ তাহলে ম্যাচ শুরুর আগে ওয়ার্ম-আপ করতে গিয়ে সৌরভ তিওয়ারির হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিটকে যাওয়া ঝাড়খণ্ডের পক্ষে বড় ধাক্কা ৷ চলতি রঞ্জি মরসুমে সৌরভ তিওয়ারির ব্যাট ছ’শোরও বেশি রান এসেছে ৷ ফলে তাঁর চোট ঝাড়খণ্ডকে শুরুতেই বেকায়দায় ফেলে দেয় ৷
আরও পড়ুন: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শেফালি-রিচাদের সংবর্ধনা দেবেন সচিন
প্রথম থেকেই ঝাড়খণ্ড ব্যাটারদের নড়বড়ে দেখায় ৷ তিন নম্বরে নামা সুরজ কুমার দু’বার জীবনদান পান ৷ 55 রানে অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং 73 রানের মাথায় মনোজ তিওয়ারি ক্যাচ ফসকান ৷ তবে, মনোজের ক্ষেত্রে আম্পায়ার তালুবন্দি ক্যাচ বাতিল করে দেন ৷ দিনের শেষে যা নিয়ে অধিনায়ক মনোজ নিজের ক্ষোভপ্রেকাশ করেছেন ৷ জানান নিশ্চিত আউট না-পেয়ে তিনি হতাশ ৷ তবে, সামনে তাকাতে চান ৷ ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পঙ্কজ কুমারের 21 রান ৷ বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা জানান, লড়াই করে দল এতদূর পৌঁছেছে ৷ এখনও অনেকটা পথচলা বাকি ৷
আরও পড়ুন: বহিষ্কার করা হল লখনউয়ের ‘ভয়ঙ্কর’ পিচ প্রস্তুতকারী কিউরেটরকে