ETV Bharat / state

ফের শহরে ডিজিটাল গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, ধৃত কৃষ্ণনগরের তিন বাসিন্দা - DIGITAL ARREST

চিনার পার্কে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থেকেই সমস্ত কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন ওই তিনজন বলে অভিযোগ ৷ তাঁদের কাছ থেকে ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে ৷

digital arrest in kolkata
ডিজিটাল গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে 66 লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 25, 2025, 6:02 PM IST

কলকাতা, 25 জানুয়ারি: টালিগঞ্জের পর এবার চারু মার্কেট থানা এলাকা ৷ আবারও দক্ষিণ কলকাতার বৃদ্ধাকে ডিজিটাল গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে 66 লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল । অবশ্য এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃত তিনজনই নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ৷ চিনার পার্কে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন সকলে ৷ সেখান থেকেই এই কর্মকাণ্ড চালাতেন তাঁরা বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম কুমারেশ হালদার, প্রতাপ রায় এবং উৎপল শিকদার । তাঁদেরকে গতকাল রাতে চিনার পার্কের ওই ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার । তাঁদের শনিবার আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ । বারবার পুলিশি তৎপরতা এবং সতর্কতা প্রচার অভিযানের পরেও সাধারণ মানুষের ডিজিটাল গ্রেফতার সম্পর্কে ভয় ভীতি কাটছে না, তা ফের একবার প্রমাণিত হল এদিনের ঘটনায় ৷

digital arrest in kolkata
টাকা ও ল্যাপটপ উদ্ধার লালবাজারের (নিজস্ব ছবি)

যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার ইটিভি ভারতকে বলেন, "এই ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছি । গায়েব হয়ে যাওয়া কয়েক লক্ষ টাকার মধ্যে কিছুটা টাকা আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি । ধৃতরা প্রত্যেকে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা হলেও তারা চিনার পার্কে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতেন এবং সেখানে অত্যাধুনিক টেকনোলজির সাহায্যে এই প্রতারণার ছক কষে ছিল ।"

লালবাজার সূত্রে খবর, গত 8 জানুয়ারি চারু মার্কেট থানায় এক বৃদ্ধা অভিযোগ করেন যে, তাঁকে ডিজিটাল গ্রেফতার করার নামে তাঁর থেকে 66 লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত নামে চারু মার্কেট থানার পুলিশ । পাশাপাশি এই ঘটনার সমান্তরাল তদন্তে নামেন কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের আধিকারিকরাও । ওই বৃদ্ধা অভিযোগ করেন, তাঁর কাছে একাধিক নম্বরে ফোন আসে এবং ফোনের ওপ্রান্ত থেকে বলা হয়, তারা দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল থেকে কথা বলছেন ৷ ওই বৃদ্ধার নামে বিভিন্ন এফআইআর রয়েছে এবং তাঁকে ডিজিটালই গ্রেফতার করা হবে । তবে তিনি যদি তাঁর গ্রেফতারি এড়াতে চান, সেক্ষেত্রে তাদের দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে 66 লক্ষ টাকা পাঠাতে হবে ।

এরপরেই ওই বৃদ্ধা বেশ কয়েক ধাপে 66 লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে । তারপরেই থানায় অভিযোগ জানান তিনি ৷ অভিযোগ পেয়ে তদন্ত নামে লালবাজার । অভিযুক্তদের দেওয়া মোবাইল নম্বর এবং ব্যাংকের যাবতীয় নথিপত্র পরীক্ষা করে তাদের তথ্য পান তদন্তকারীরা । ফোন নম্বরগুলি ট্র্যাক করে জানা যায়, তারা বর্তমানে রয়েছে চিনার পার্কে । সেখানে তল্লাশি অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ । পরে তাঁদেরকে গ্রেফতার করে । ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ফোন, ল্যাপটপ এবং বিভিন্ন ব্যাংকের পাসবুক ও চেকবুক ।

কলকাতা, 25 জানুয়ারি: টালিগঞ্জের পর এবার চারু মার্কেট থানা এলাকা ৷ আবারও দক্ষিণ কলকাতার বৃদ্ধাকে ডিজিটাল গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে 66 লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল । অবশ্য এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃত তিনজনই নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ৷ চিনার পার্কে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন সকলে ৷ সেখান থেকেই এই কর্মকাণ্ড চালাতেন তাঁরা বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম কুমারেশ হালদার, প্রতাপ রায় এবং উৎপল শিকদার । তাঁদেরকে গতকাল রাতে চিনার পার্কের ওই ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার । তাঁদের শনিবার আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ । বারবার পুলিশি তৎপরতা এবং সতর্কতা প্রচার অভিযানের পরেও সাধারণ মানুষের ডিজিটাল গ্রেফতার সম্পর্কে ভয় ভীতি কাটছে না, তা ফের একবার প্রমাণিত হল এদিনের ঘটনায় ৷

digital arrest in kolkata
টাকা ও ল্যাপটপ উদ্ধার লালবাজারের (নিজস্ব ছবি)

যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার ইটিভি ভারতকে বলেন, "এই ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছি । গায়েব হয়ে যাওয়া কয়েক লক্ষ টাকার মধ্যে কিছুটা টাকা আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি । ধৃতরা প্রত্যেকে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা হলেও তারা চিনার পার্কে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতেন এবং সেখানে অত্যাধুনিক টেকনোলজির সাহায্যে এই প্রতারণার ছক কষে ছিল ।"

লালবাজার সূত্রে খবর, গত 8 জানুয়ারি চারু মার্কেট থানায় এক বৃদ্ধা অভিযোগ করেন যে, তাঁকে ডিজিটাল গ্রেফতার করার নামে তাঁর থেকে 66 লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত নামে চারু মার্কেট থানার পুলিশ । পাশাপাশি এই ঘটনার সমান্তরাল তদন্তে নামেন কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের আধিকারিকরাও । ওই বৃদ্ধা অভিযোগ করেন, তাঁর কাছে একাধিক নম্বরে ফোন আসে এবং ফোনের ওপ্রান্ত থেকে বলা হয়, তারা দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল থেকে কথা বলছেন ৷ ওই বৃদ্ধার নামে বিভিন্ন এফআইআর রয়েছে এবং তাঁকে ডিজিটালই গ্রেফতার করা হবে । তবে তিনি যদি তাঁর গ্রেফতারি এড়াতে চান, সেক্ষেত্রে তাদের দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে 66 লক্ষ টাকা পাঠাতে হবে ।

এরপরেই ওই বৃদ্ধা বেশ কয়েক ধাপে 66 লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে । তারপরেই থানায় অভিযোগ জানান তিনি ৷ অভিযোগ পেয়ে তদন্ত নামে লালবাজার । অভিযুক্তদের দেওয়া মোবাইল নম্বর এবং ব্যাংকের যাবতীয় নথিপত্র পরীক্ষা করে তাদের তথ্য পান তদন্তকারীরা । ফোন নম্বরগুলি ট্র্যাক করে জানা যায়, তারা বর্তমানে রয়েছে চিনার পার্কে । সেখানে তল্লাশি অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ । পরে তাঁদেরকে গ্রেফতার করে । ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ফোন, ল্যাপটপ এবং বিভিন্ন ব্যাংকের পাসবুক ও চেকবুক ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.