পুণে, 27 মার্চ : রবিবার পুণেতে তৃতীয় তথা শেষ একদিনের ম্যাচে নামতে চলেছে ভারত ও ইংল্যান্ড ৷ দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়ের পর এই ম্যাচ এবার ফাইনালে পরিণত হয়েছে ৷ শেষ ম্যাচে যে জিতবে, সেই সিরিজ়ের দখল নেবে ৷ এই মুহূর্তে সিরিজের ফলাফল 1-1 ৷ শুক্রবার ভারতের দেওয়া 337 রান তাড়া করে দুর্দান্তভাবে সিরিজ়ে ফিরে এসেছে ইংল্যান্ড ৷ তাই এবার রবিবাসরীয় এই লড়াই জমে উঠবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা ৷
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান’ডে-তে ব্যাট ও বলে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করেছিল ভারতীয় ক্রিকেটাররা ৷ তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করে ভারতকে এক সময় চাপে ফেলে দিয়েছিল ৷ যেখান থেকে ভুবনেশ্বর কুমার, শার্দূল ঠাকুর এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার দাপুটে বোলিংয়ে ম্যাচ নিজেদের নামে করেছিল বিরাট বাহিনী ৷ তবে, দ্বিতীয় ওয়ান’ডে ম্যাচে তা আর করতে পারেনি ভারতীয় বোলাররা ৷ 336 রানের বিশাল রানকেও খুব সহজেই তাড়া করে ম্যাচ জিতে নেয় জস বাটলারের নেতৃত্বধীন ইংল্যান্ড ৷ যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন দুই ওপেনার জেসন রয় এবং জনি বেয়ার্স্টো ৷ দু’জনে মিলে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ করেন ৷ পরে রয় আউট হলে বেন স্টোকসের পাওয়ার হিটিং ভারতীয় দুই স্পিনারকে বিধ্বস্ত করে দেয় ৷ তাঁর 99 রানের ইনিংসে 10টা ছয় মেরেছিলেন বেন ৷ অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি থেকে 6 রান দূরে থেমে যাওয়া জনি বেয়ার্স্টো, দ্বিতীয় ম্যাচে আর ভুল করেননি ৷ তিনি 112 বলে 124 রানের আক্রমণাত্বক ইনিংস খেলেন ৷
আরও পড়ুন : কেন বল করছেন না হার্দিক? ম্যাচ শেষে কারণ জানালেন বিরাট
তাই তৃতীয় ম্যাচে ভারতীয় দল তথা অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ইংল্যান্ডের এই পাওয়ার প্যাক ব্যাটিং লাইনআপকে সামলানো ৷ তা করতে না পারলে সিরিজ় খোয়াতে হবে ভারতকে ৷ এই পরিস্থিতিতে ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা স্পিন বিভাগ ৷ প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ান’ডে ম্যাচেও কুলদীপ যাদব এবং ক্রুণাল পান্ডিয়ার বোলিংয়ে বড় শট খেলতে দ্বিধাবোধ করনি ইংল্যান্ড শিবির ৷ এমনকি এক সময় ভারতের হাতে থাকা ম্যাচ মাত্র 4 ওভারে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের দিকে করে নেন বেন স্টোকস এবং জনি বেয়ার্স্টো ৷ যেখানে কুলদীপের এক ওভারে 20 রান এবং ক্রুণালের এক ওভারে 28 রান তোলে ইংল্যান্ড ৷ ফলে দ্বিতীয় ওয়ান’ডে ম্য়াচে স্পিন বিভাগে পরিবর্তনের একটা সম্ভাবনা রয়েছে ৷ পাশাপাশি দ্বিতীয় ওয়ান’ডে ম্য়াচে হেরে কোহলি জানিয়েছিলেন, নতুন বলে উইকেট না নিলে কখনই ম্যাচ জেতা সম্ভব নয় ৷ এই পরিস্থিতিতে পেস বিভাগে বদল না হলেও, ভুবনেশ্বর কুমারদের উপরে যে বাড়তি দায়িত্ব বর্তাবে তা স্বাভাবিক ৷
আরও পড়ুন : প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাকে টেস্ট দলে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল গাভাসকরের
অন্যদিকে টস একটা বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে তৃতীয় ওয়ান’ডে-তে ৷ সন্ধ্যার পর পুণের মাঠে শিশির বড় ফ্যাক্টর ৷ যদিও, শেষ দুই ম্যাচে শিশির খুব একটা সমস্যা করেনি ৷ তবুও, ফ্লাড লাইটে পুণের পিচে ব্যাট করা অনেক সহজ দেখিয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৷ যা শুক্রবার ম্যাচ শেষে জানিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ৷ মোটের উপর রবিবারে ফাইনাল ম্যাচে ভারতীয় বোলিংয়ের একটা বড় পরীক্ষা হতে চলেছে ৷ বিশেষ করে নতুন বলে উইকেট নেওয়া এবং মাঝের ওভারে রান আটকানো সবচেয় বড় চ্য়ালেঞ্জ হতে চলেছে ভারতীয় দলের ৷