ETV Bharat / sports

ধোনি অবসর নিক, চান বাবা-মা ! - icc

ধোনির বাবা-মা নাকি চান না তাঁদের ছেলে আর ভারতের জার্সি গায়ে চাপাক ।

ধোনির বাবা-মা নাকি চান না তাঁদের ছেলে আর ভারতের জার্সি গায়ে চাপাক ।
author img

By

Published : Jul 18, 2019, 6:54 AM IST

রাঁচি, 18 জুলাই : নিউজ়িল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালই কি ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির শেষ ম্যাচ ? ধোনি এখন কী করবেন ? প্রশ্নগুলি সবার মাথাতেই ঘুরপাক খাচ্ছে । তবে অবসরের বিষয়ে মুখ খোলেননি ধোনি নিজে । তবে তাঁর ছোটোবেলার কোচ কেশব ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ধোনির বাবা-মা নাকি চান না তাঁদের ছেলে আর ভারতের জার্সি গায়ে চাপাক ।

2007 সালে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম T-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতিয়েছেন, 2011 সালে কপিল দেবের পর দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ । 2013 সালে দেশকে জিতিয়েছেন ICC চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা । তবে সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে নিউজ়িল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পরেই ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা শুরু হয় । তাঁর ধীর গতির ব্যাটিং গোটা টুর্নামেন্টেই সমালোচনার শিকার হয়েছে । কিন্তু প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচে ধোনি ভারতকে ফিরিয়ে এনেছিলেন দুরন্ত এক হাফসেঞ্চুরিতে । তবে শেষরক্ষা হয়নি । মার্টিন গাপটিলের সরাসরি থ্রোতে শেষ হয়ে যায় ভারতের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্বপ্ন । পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠে, ধোনির ক্যারিয়ারও কি তবে শেষ ?

উত্তর জানা নেই কারোর । তবে কেশব ব্যানার্জি বলেন, "ধোনির বাবা-মা আমায় বলেছে ভারতের সব সংবাদমাধ্যম বলছে ধোনির অবসর নেওয়া উচিত । আমরাও চাই সে অবসর নিক । 10-12 বছর ধরে এই ভার সামলেছে ও । আর না ।" ধোনি এখনই বিদায় নিক, এটা অবশ্য চান না কেশব ব্যানার্জি । তিনি মনে করেন, ধোনির উচিত 2020 সালে অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত হতে চলা T-২০ বিশ্বকাপ খেলা । তিনি এই ব্যাপারে ধোনির বাবা-মাকে রাজি করানোর চেষ্টাও করেছেন বলে জানান ।

রাঁচি, 18 জুলাই : নিউজ়িল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালই কি ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির শেষ ম্যাচ ? ধোনি এখন কী করবেন ? প্রশ্নগুলি সবার মাথাতেই ঘুরপাক খাচ্ছে । তবে অবসরের বিষয়ে মুখ খোলেননি ধোনি নিজে । তবে তাঁর ছোটোবেলার কোচ কেশব ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ধোনির বাবা-মা নাকি চান না তাঁদের ছেলে আর ভারতের জার্সি গায়ে চাপাক ।

2007 সালে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম T-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতিয়েছেন, 2011 সালে কপিল দেবের পর দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ । 2013 সালে দেশকে জিতিয়েছেন ICC চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা । তবে সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে নিউজ়িল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পরেই ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা শুরু হয় । তাঁর ধীর গতির ব্যাটিং গোটা টুর্নামেন্টেই সমালোচনার শিকার হয়েছে । কিন্তু প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচে ধোনি ভারতকে ফিরিয়ে এনেছিলেন দুরন্ত এক হাফসেঞ্চুরিতে । তবে শেষরক্ষা হয়নি । মার্টিন গাপটিলের সরাসরি থ্রোতে শেষ হয়ে যায় ভারতের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্বপ্ন । পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠে, ধোনির ক্যারিয়ারও কি তবে শেষ ?

উত্তর জানা নেই কারোর । তবে কেশব ব্যানার্জি বলেন, "ধোনির বাবা-মা আমায় বলেছে ভারতের সব সংবাদমাধ্যম বলছে ধোনির অবসর নেওয়া উচিত । আমরাও চাই সে অবসর নিক । 10-12 বছর ধরে এই ভার সামলেছে ও । আর না ।" ধোনি এখনই বিদায় নিক, এটা অবশ্য চান না কেশব ব্যানার্জি । তিনি মনে করেন, ধোনির উচিত 2020 সালে অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত হতে চলা T-২০ বিশ্বকাপ খেলা । তিনি এই ব্যাপারে ধোনির বাবা-মাকে রাজি করানোর চেষ্টাও করেছেন বলে জানান ।

Intro:মালদা, ১৩ জুলাই : সরকারি প্রাথমিক স্কুল৷ নাম শুনলেই অনেকের কপাল কুঁচকে ওঠে৷ সেখানে তো পড়াশোনাই হয় না! ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ কি গোল্লায় যেতে দেওয়া যায়! অভিভাবকদের এই চিন্তাধারায় বর্তমান সময়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল৷ শুধু শহরে নয়, বেসরকারি স্কুলের রমরমা ব্যবসা এখন শহর ছাড়িয়ে অখ্যাত গ্রামেও৷ কিন্তু শুধুমাত্র একটু সদিচ্ছা থাকলে সরকারি স্কুলও হয়ে উঠতে পারে অত্যাধুনিক৷ খুদে পড়ুয়াদের পড়ানো যেতে পারে একেবারে আধুনিক পদ্ধতিতে৷ সেই ছবিই দেখা গেছে ইংরেজবাজার ব্লকের কোতওয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌলতপুর গ্রামে৷Body:১৯৭৩ সালে দৌলতপুর গ্রামে চালু হয়েছিল মালিহা প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ প্রথমে গ্রামেরই হাতে গোনা কয়েকজন ছেলেমেয়ে নিয়ে শুরু হয় পঠনপাঠন৷ সেই স্কুলই এখন আধুনিক প্রাথমিক স্কুলের মডেল হিসাবে গড়ে উঠেছে৷ স্কুলে অডিয়ো ভিশুয়াল ক্লাসে শিক্ষাগ্রহণ করছে খুদেরা৷ স্কুলে মিড-ডে মিল ঠিকমতো তৈরি হচ্ছে কিনা, কোনদিন কী রান্না হবে, খাবার খাওয়ার আগে সবাই ঠিকমতো হাত ধুচ্ছে কিনা, সেসব দেখার দায়িত্বও নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে খুদের দল৷ এমনকি স্কুল থেকে পড়ুয়াদের খাতা, পেন্সিল সহ পড়ার অন্যান্য উপকরণ বিক্রির ব্যবস্থাও রয়েছে৷ তার হিসাব রাখার দায়িত্বও স্কুল সংসদের প্রধানমন্ত্রীর৷ শুধু স্কুল পড়ুয়াদেরই নয়, গ্রামবাসীদেরও সময়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলার পথ দেখাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষকরা৷ স্কুলের আঙিনায় প্রতিদিন রাখা হয় সেদিনের একাধিক সংবাদপত্র৷ স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে সেই সংবাদপত্র পড়েন এলাকার মানুষজনও৷ নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করেই শিক্ষকরা এই সব সংবাদপত্র কিনে থাকেন৷
         বর্তমানে স্কুলে ছাত্রসংখ্যা ১১৫৷ প্রায় সবাই নিম্নবিত্ত পরিবারের৷ শিক্ষক রয়েছেন ৫ জন৷ এই শিক্ষকরাই নিজেদের স্কুলকে নিয়ে গিয়েছেন এক অন্য উচ্চতায়৷ স্কুলের সহশিক্ষক সুজয়কুমার মণ্ডল জানালেন, নিজেদের কাহিনি৷ তিনি বলেন, "আমরা দু'জন শিক্ষক ২০১০ সালে এই স্কুলে যোগদান করি৷ দেখি, এই স্কুলে তেমন পড়ুয়া নেই৷ যে ক'জন ছাত্র রয়েছে, তারাও ঠিকমতো স্কুলে আসে না৷ এরপরেই আমরা সবাই আলোচনা করে ঠিক করি, নতুন কিছু করতে হবে৷ অনেক চিন্তাভাবনা মাথায় ভিড় করে৷ কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় অর্থের৷ অবশেষে ২০১৬-১৭ সালে আমরা স্কুল সংস্কার ক্ষেত্রে কিছু টাকা পাই৷ সেই টাকার সঙ্গে আরও কিছু অর্থ জোগাড় করে আমরা স্কুলটি নতুন রূপে সাজিয়ে তুলি৷ স্কুলের নবরূপ দেখে গ্রামের মানুষজন এবং গ্রাম পঞ্চায়েতও উৎসাহিত হয়৷ তারাও কিছু আর্থিক সাহায্য করে৷ সেই অর্থ দিয়ে আমরা স্কুলকে এই অবস্থায় নিয়ে এসেছি৷ আর স্কুলে অডিয়ো ভিশুয়াল ব্যবস্থায় ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনাটা আমার বাড়ি থেকে শুরু হয়েছে৷ আমি যখন ছোটো বাচ্চাদের বাড়িতে পড়াতাম তখন ইউটিউবে ছবি দেখাতাম৷ তাতে বাচ্চারা উৎসাহিত হত৷ স্কুলেও দেখেছি, কিছুক্ষণ পড়াশোনার পর ক্লাস শেষ হলে বাচ্চারা খেলায় মত্ত হয়ে যায়৷ তাই আমি অডিয়ো ভিশুয়ালের মাধ্যমে খেলাচ্ছলে ওদের পড়ানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি৷ যাতে ওরা ভাবে, ওরা টিভি দেখছে৷ সেই কম্পিউটার কেনা কিংবা আনুষঙ্গিক খরচের কিছুটা আমরাই বহন করি৷ আমাদের দেখাদেখি এলাকার আরেকটি স্কুলেও এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে৷ আমাদের স্কুলে যারা পড়ে, তাদের বেশিরভাগই বাড়িতে ঠিকমতো খেতে পায় না৷ তাদের জন্য এই শিক্ষাব্যবস্থা ভালো কাজ করেছে৷ যে বাচ্চারা আগে স্কুল আসতে চাইত না, তারা এখন নিজে থেকেই স্কুলে আসছে৷ এর ফলে আমাদের স্কুলে স্কুলছুটের সংখ্যাও এখন শূন্য৷ এই স্কুল গ্রামবাসীদেরও গর্বের৷ স্কুলকে পরিচ্ছন্ন রাখতে তারাও বিনা পারিশ্রমিকে স্কুলে কাজ করে৷ আরও অনেক পরিকল্পনা মাথায় রয়েছে৷ অর্থের সংকুলান হলেই সেসব কাজ করা হবে৷"
         স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী নূর খাতুন জানায়, "টিভি দেখে পড়তে ভালো লাগে৷ এতে পড়া মনে থাকে৷" অন্যদিকে স্কুলের ছাত্র সংসদের প্রধানমন্ত্রী, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র নাসিম শেখের বক্তব্য, "আমি প্রধানমন্ত্রী৷ স্কুলের সবাই আমার কথা মেনে চলে৷ স্কুলের মিড-ডে মিলের রান্না, খাবার খাওয়ার সময় সবাই ঠিকমতো হাত ধুচ্ছে কিনা তাও আমি দেখি৷ স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীরা যেসব জিনিস কেনে, তার হিসাবও আমি রাখি৷ হিসাবে কখনও গোলমাল হয় না৷ আর শিক্ষকরা যেভাবে টিভিতে ছবি দেখিয়ে পড়ান, সেটা আমাদের সবার খুব ভালো লাগে৷"
Conclusion:বর্তমানে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলিতে এই পদ্ধতিতেই প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাদান করা হয়৷ সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে সেই পদ্ধতি চালু করেছেন মালিহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, শিক্ষকদের এই প্রচেষ্টার কথা জানাই নেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের৷ সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংসদের এক কর্মী৷ গোটা বিষয়টি জানানো হয় সংসদের চেয়ারম্যান আশিস কুণ্ডুকে৷ সব শুনে "মিটিং-এ ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন তিনি৷" এটা কি সরকারি ব্যবস্থাকে আড়াল করার চেষ্টা চেয়ারম্যানের! হতেও পারে৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.