কলকাতা, ২৪ নভেম্বর : ফের হার বাংলাদেশের, তাও অসহায় ভাবে । ইন্দোরের পরে কলকাতায় দুই দিনের চেয়ে সামান্য বেশি সময়ে ভারতের বিরুদ্ধে অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের । স্কোরবোর্ড বলছে ৮.৪ ওভারেই শেষ তৃতীয় দিনের খেলা । ১৯৫ রানেই থেমে গেল বেঙ্গল টাইগারদের যাবতীয় প্রতিরোধ । আর দলের এই ভরাডুবির কারণ হিসাবে দলগত ব্যর্থতাই তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক ।
মমিনূল হক বলেছেন বোলিং পারফরম্যান্স মন্দের ভালো হলেও ব্যাটিং একেবারেই ভালো হয়নি । তবে তিনি বা তার দল আশা ছাড়তে নারাজ । বরং নতুন বছরে বেশি সংখ্যায় টেস্ট ম্যাচ খেলে উন্নতি করতে চান । যাতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের পাশাপাশি বাংলাদেশের টেস্ট দলও বিপক্ষের কাছে সমীহ আদায় করতে পারে । পরিসংখ্যান বলছে নেতৃত্বের চাপ বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাটিং পারফরমেন্সে প্রভাব ফেলেছে । তবে মমিনুল হক নিজের পারফরমেন্স গ্রাফের অবনতির চেয়ে দলের সামগ্রিক পারফরমেন্সে বেশি হতাশ ।
লাল বলের তুলনায় গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ বেশি, প্রথম দিন থেকে বলে আসছেন তিনি । কিন্তু গোলাপি বল সামলাতে যে ধৈর্যের প্রয়োজন হয়, তা তাঁর দল দেখাতে ব্যর্থ বলে অভিমত মমিনুলের । তার জন্যে কোনও অজুহাত দিতে রাজি নয় তিনি । মূলত স্পিন নির্ভর দল পদ্মাপাড়ের ক্রিকেট টিম । এবার স্পোর্টিং উইকেটে খেলে অবস্থা বদলের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন মমিনূল ।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তেও ভুল দেখছেন না তিনি । কারণ ফিল্ডিং নিলে ভারত বড় রানের বোঝা চাপাত বলে মনে করেন তিনি । ভারতীয় তিন পেসারই বিধ্বংসী এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক । তামিম ইকবাল ও শাকিব আল হাসানের ছিটকে যাওয়াও দলের সমস্যা বাড়িয়েছে বলে স্বীকার করছেন মমিনুল । তবে ভারত সফরে হারলেও ভেঙে পড়ছেন না, বরং শিক্ষা নিয়ে ফিরে আসার অঙ্গীকারের ছাপ স্পষ্ট বাংলাদেশ অধিনায়কের মুখে ।