ইন্দোর, 11 ফেব্রুয়ারি: রঞ্জি ট্রফির নক-আউটে ডিআরএস চেয়ে চিঠি দিয়েছেন মনোজ তিওয়ারি । দেশীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায় কেন ডিআরএস-এর প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করেছেন চিঠিতে। আম্পায়ারদের ছোট ছোট ভুলে কোনও দলকে কতটা ভুগতে হতে পারে, সেই কথা রয়েছে বাংলার অধিনায়কের চিঠিতে। মনোজের ডিআরএস ব্যবস্থা চালু করার আবেদন কতটা প্রাসঙ্গিক তা হোলকার স্টেডিয়ামে বাংলার দ্বিতীয় ইনিংসে অনুষ্টুপ মজুমদারের এলবিডব্লু'র সিদ্ধান্তে প্রমাণিত (Bengal in its way to beat Madhya Pradesh) ।
কুমার কার্তিকেয়র বল ব্যাটে লেগে লেগ আম্পায়ারের দিকে যাচ্ছে দেখে রানের জন্য দৌড় শুরু করেছিলেন অনুষ্টুপ । কিন্তু কার্তিকেয় এবং হিমাংশু মন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ার অনুষ্টুপকে আউট বলে ঘোষণা করেন। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পরে দ্বিতীয় ইনিংসে 80 রানে পৌঁছে বিতর্কিত আউটে বিরক্ত বাংলার অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ । মাঠ ছাড়ার আগে আম্পায়ারকে কিছু বলেনও তিনি। রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির বিরল কৃতিত্ব হাতছাড়া হওয়ার চেয়েও ফাইনালের আগে ব্যাটিং প্র্যাকটিসটা আরও বেশি করে সেরে নিতে চেয়েছিলেন। তা বানচাল হতেই হতাশ বাংলার 'রুকু' (অনুষ্টুপের ডাকনাম)। প্রথম ইনিংসে 120 রান করার পর তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে 80 রানের ইনিংস সাজালেন 7টি বাউন্ডারিতে ।
268 রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই চালকের আসনে বাংলা । রঞ্জি ফাইনালের পথ অনেকটা সহজ হলেও প্রতিপক্ষকে জায়গা ছাড়তে নারাজ লক্ষ্মীরতন শুক্লার ছেলেরা । চতুর্থদিনের শেষে আপাতত 547 রানে এগিয়ে বাংলা । প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার ব্যাটিং দলগত সংহতির ফসল । অনুষ্টুপের 80 রানের পাশে চমক প্রদীপ্ত প্রামাণিক । মধ্যপ্রদেশের বোলারদের শাসন করলেন টপ অর্ডার ব্যাটারদের ঢঙে । ঈশান পোড়েলকে নিয়ে তাঁর 56 রানের জুটি বাংলাকে পৌঁছে দিল 9 উইকেটে 279 রানে। প্রদীপ্ত প্রামাণিক অপরাজিত রইলেন 60 রানে। যা সাজানো 3টি চার এবং 5টি বিশাল ছক্কায় ।
আরও পড়ুন: খেলো ইন্ডিয়া শীতকালীন গেমসের তৃতীয় সংস্করণের উদ্বোধনে অনুরাগ ঠাকুর
করণ লাল এবং অভিমন্যু ঈশ্বরণ দ্রুত ফিরে যাওয়ার পরে সুদীপ ঘরামি এবং অনুষ্টুপ মজুমদার দলকে শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড় করানোর কাজটি করতে থাকেন । আবেশ খান, কুমার কার্তিকেয়, সারাংশ জৈন, গৌরব যাদব, অনুভব আগরওয়ালদের প্রতিটি বলকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়েই ফের বড় রানের ইনিংস গড়তে থাকেন এই জুটি । তাঁদের 85 রানের পার্টনারশিপ মধ্যপ্রদেশকে আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় । সুদীপ ঘরামি ব্যক্তিগত 41 রানে ফিরে যাওয়ার পর অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি অনুষ্টুপের সঙ্গে যোগ দেন । প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও মনোজ বড় রান করতে পারলেন না । 15 রানে ফিরে যান দলের নেতা । অভিষেক পোড়েল (1) প্রথম ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ । শাহবাজ আহমেদ ফিরে যান 29 রানে । মধ্যপ্রদেশ বোলারদের মধ্যে 6 উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল সারাংশ জৈন । 3 উইকেট কুমার কার্তিকেয়র ঝুলিতে ।