Anustup Majumdar in Fine Form: মগজাস্ত্রে শান দিয়ে মিশন রঞ্জি ট্রেকিংয়ে ফেলুদা ভক্ত অনুষ্টুপ - Ranji Trophy
উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, বরোদার মতো হরিয়ানার বিরুদ্ধেও বঙ্গশিবিরকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন বাংলা দলের মিস্টার ডিপেন্ডবল ৷ 38 বছর বয়সেও ধারাবাহিক রান করার ফর্মে কোনও ব্যতিক্রম নেই অনুষ্টুপ মজুমদারের ৷ অতীতে বহুবার বাংলাকে বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। চলতি রঞ্জিতেও সেই ফর্ম ধরে রেখে 24 জানুয়ারি থেকে ওড়িশার বিরুদ্ধে ইডেনে নামতে চলেছে তাঁর দল ৷ জয়ই এখন পাখির চোখ বাংলা দলের ৷
কলকাতা, 22 জানুয়ারি: জাতীয় দলের জার্সি না-চাপাতে পারার আক্ষেপ রয়েছে। তবে হতাশায় ডুবে যেতে রাজি নন, বরং বাংলাকে ফের রঞ্জি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলতে চান অনুস্ট প মজুমদার। মঙ্গলবার অর্থাৎ, 24 জানুয়ারি থেকে ওড়িশার বিরুদ্ধে ইডেনে খেলতে নামবে বাংলা। শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত হলেও এক নম্বর জায়গা ধরে রাখতে জয়ই পাখির চোখ মনোজ তিওয়ারির দলের।
ব্যাটার ও বোলাররা ছন্দে রয়েছেন। ধীরে হলেও দল জমাট বাঁধছে। প্রতিটি ক্রিকেটার নিজেদের লক্ষ্য সাজাচ্ছেন। আর তা দলের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে। ব্যাটারদের ধারাবাহিক রান করার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অনুষ্টুপ মজুমদারের ফর্ম। ছয় ম্যাচে সাড়ে পাঁচশোর ওপরে রান ৷ তার থেকেও বড় কথা দলের প্রয়োজনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। দিনের পর দিন একই দায়িত্ব সহকারে পালনের মধ্যে অনুপ্রেরণা কোথা থেকে পান বছর আটত্রিশের অনুষ্টুপ? উত্তরে বাংলা দলের মিস্টার ডিপেন্ডবল বললেন, "এইভাবে কোনও দিন ভাবিনি। চার বা পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আগামী ম্যাচগুলোতেও সেই চেষ্টা করে যেতে হবে আমাকে। এখানে নিজের ব্যাটিং স্কোরের চেয়ে দলের প্রয়োজনীয়তা আমার কাছে গুরুত্ব পেয়ে এসেছে, আসবেও।"
নিজেকে ছাপিয়ে যেতে তাঁর মতো করে পরিকল্পনা সাজান তিনি। প্রতিটি ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষের বোলারদের নিয়ে 'মানসিক ছবি' সাজান। "বিশ্বের অনেক ক্রিকেটারই ম্যাচের আগে এই ধরনের মাইণ্ড গেম খেলেন। ম্যাথু হেডেনের মতো অনেকেই রয়েছেন সেই তালিকায়। আমিও সেভাবে নিজের মতো করে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে থাকি, জানান অনুষ্টুপ। খেলার বাইরে আর তিনি কী পছন্দ করেন? উত্তরে "ফেলুদার গোয়েন্দা কাহিনী পড়তে ভালোবাসেন। শুধু ফেলুদা নয়, ব্যোমকেশ, কাকাবাবু, শার্লক হোমসের তদন্ত প্রক্রিয়া আমার ক্রিকেটীয় ইনিংস গড়ে তোলায় সাহায্য করে।"
আরও পড়ুন: ফের বিধ্বংসী আকাশদীপ, ইনিংসে জয় পেতে বাংলার দরকার 3 উইকে
ক্রিকেট জীবনের সায়াহ্ণে পৌঁছেও ফিটনেসকে গুরুত্ব দেন তিনি। ফিট থাকলে খেলা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তার আগে রঞ্জি ট্রফি জয়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করাই মূল লক্ষ্য তাঁর। বর্তমান দলের খামতি বলতে গিয়ে অনুষ্টুপের আঙুল ওপেনারদের দিকে। তাঁর মতে, "অভিমন্যু ঈশ্বরণ ছাড়া কেউ থিতু হতে পারছেন না। পাঁচ-ছয় জনকে দিয়ে চেষ্টা হল। ইনিংসের শুরুটা ভালো না-হলে মিডল অর্ডারে চাপ পড়ে যায়। নক আউটে ওপেনিংটা ঠিক হওয়া জরুরি।" তবে আপাতত মিশন ওড়িশায় চোখ। তারপর ধাপে ধাপে স্বপ্নপূরণের পথে পা বাড়াতে চান ট্রেকিং করতে ভালোবাসা বাংলার এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।