কলকাতা : পেশায় উঠতি মডেল রিমা (নাম পরিবর্তত) প্রোমোশনাল শুটিংয়ের অফার পেয়ে থাইল্যান্ড যান । সেখানে কয়েকটি লোকেশনে শুটিং হবে বলে ওই এজেন্সির তরফে জানানো হয় তাঁকে । রিমা বলেন, "বুক অ্যান্ড রিল্যাক্স নামে একটি ট্র্যাভেল এজেন্সির প্রোমোশনাল শুটিংয়ের কাজে থাইল্যান্ড গিয়েছিলাম । যার মালিক ঋষি বুদ্ধদেব । ওখানে গিয়ে আমি বুঝতে পারি ঋষির মতলব ঠিক নেই । সে মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিল । আমার সঙ্গেও চেষ্টা করেছিল । একদিন রাতে আমাকে ফোন করে বলে সে আমার ঘরে আসতে চায় । আমি একদমই অনুমতি দিইনি । সঙ্গে সঙ্গে আমার বন্ধুদের ঘটনাটা জানাই । আমি রুম লক করে শুয়ে পড়ি ।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের সবার পাসপোর্ট ঋষি নিয়ে রেখেছিল । তারপর আমাদের ভয় দেখাত । আমার ফোনে আমার কাজ দেখতে চেয়েছিল । তখন সৃষ্টি নামে একটি মেয়ে আমার ফোন কেড়ে নেয় । তারপর ঋষি, সৃষ্টি আর অনামিকা নামে একজন আমাকে মারতে শুরু করে । একটি অ্যাপের মাধ্যমে আমাকে মারার ভিডিয়ো শেয়ার করে । তারপর আমার পরিবারকে ফোন করে দু'লাখ টাকা চায় । টাকা না দিলে থাই পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয় । আমার ফোন, জামাকাপড়, ব্যাগ সব ওরা নিয়ে রেখে দিয়েছিল ।"
রিমা বলেন, "পরের দিন একটি ক্রুজ়ে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে আমি কোনওরকমে লুকিয়ে একজনের থেকে ফোন নিয়ে বাড়িতে ফোন করি । বলি তাড়াতাড়ি টাকা পাঠাও । ততক্ষণে ঋষির কাছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও ফোন এসে গিয়েছিল । কিন্তু তারপরও ওরা আমাকে আবার একটা রুমে গিয়ে মারতে থাকে । আমার কোনও কথাই ওরা শুনছিল না ।"
এই সংক্রান্ত আরও খবর : শুটিংয়ের নামে থাইল্যান্ডে নিয়ে গিয়ে হেনস্থা কলকাতার মডেলকে
"পরে আমাকে অন্য একটা ঘরে আটকে রাখতে গেলে আমি কোনও রকমে সেখান থেকে পালাই । পাশেই একটা ভারতীয় পরিবার ছিল, তাদের কাছে সাহায্য চাই । তাঁরা আমার অবস্থা দেখে আমাকে সাহায্য করেন । আমি বাড়িতে ফোন করি । তারপর ইন্ডিয়ান এম্ব্যাসি ও থাই পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে । তারপর আমি দেশে ফিরি । গতকালই থানায় অভিযোগ জানিয়েছি । এখন পুলিশ কী করে সেটাই দেখার ।"
বাড়ি ফিরলেও এখনও আতঙ্কে রয়েছেন রিমা । ট্রমা থেকে বেরোতে সময় লাগবে কিছুটা । বেশ কয়েকদিন ধরে অভিনেতা- অভিনেত্রীদের হেনস্থার খবর শিরোনামেই রয়েছে । বাদ যাচ্ছেন না মডেলও । প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া উষসী সেনগুপ্ত, জিতু কমল, স্বস্তিকা দত্ত । আর এবার হেনস্থা হতে হল এই মডেলকে ।