ETV Bharat / sitara

স্বস্তিকার পুজোর আকাশে উঁকি দিল বাবার স্মৃতি - স্বস্তিকা

আজ ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন স্বস্তিকা । সেখানে বান্ধবীর বাড়ির পুজোয় মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে তাঁকে । সেই মুহূর্তের একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন তিনি ।

োে্
েো্
author img

By

Published : Oct 25, 2020, 6:22 PM IST

কলকাতা : একটা ঝড় কেড়ে নিয়ে গিয়েছে তাঁর প্রিয় মানুষটিকে । সম্পূর্ণ একলা করে দিয়েছে তাঁকে । কিন্তু, এখনও সেই মানুষটিকে ভুলতে পারেননি তিনি । প্রতিটা আনন্দের মুহূর্তেই বার বার বাবা সন্তু মুখার্জিকে মনে পড়ে যায় স্বস্তিকার । আর দুর্গাপুজোর সময়ও তার অন্যথা হয়নি । উৎসবের মুহূর্তেও ফের মনের কোণে উঁকি দিল বাবার স্মৃতি ।

দুর্গাপুজোর আনন্দে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন স্বস্তিকা । প্রতিদিনই সোশাল মিডিয়ায় নিত্য নতুন সাজে দেখা যাচ্ছে তাঁকে । পুজোর দিনগুলিতে প্রতি বছরই এক বান্ধবীর বাড়িতে যান তিনি । এবারও তার অন্যথা হয়নি । সেখানে সবার সঙ্গে মিশে যান তিনি । কিন্তু, শত ভিড়ের মাঝেও বাবার কথা তাঁর মনে পড়ে যায় । তখনই যেন বুকটা হু হু করে ওঠে ।

আজ ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন স্বস্তিকা । সেখানে বান্ধবীর বাড়ির পুজোয় মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে তাঁকে । সেই মুহূর্তের একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন তিনি । আর তার ক্যাপশনে লেখেন, "ভোরে ঢাকের শব্দে ঘুম ভাঙল । ঘুমের টুকরোগুলোকে বালিশের উপর যত্ন করে শুইয়ে রেখে স্নানঘরের পালা । আগের রাতে বের করে রাখা শাড়িটার তখন দেমাক দেখে কে ! আলমারির বাকি বারো হাটগুলোর ততক্ষণে মুখ ভার । হিংসেতে তেলে বেগুন । সুগন্ধীর স্প্রে ভেজা চুলের কান ঘেঁষে দেওয়ালে লাগলো । মোবাইলের ঘড়ি দু’হাত কোমরে রেখে ‘বেরো বেরো’ করছে !"

এরপর বান্ধবী চান্দ্রেয়ীর বাড়িতে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "চান্দ্রেয়ীর বাড়ির অলিন্দে মাকে ঘিরে চেনা ভিড় । “কি রে এসে গেছিস, তোর কথাই ভাবছিলাম !” .... আবার এক বছর পর । পর পর ছয় বছর । রিচুয়াল বলে কথা । মাস্কমুখী চোখ দুটোয় ধোঁয়ার ঝাঁঝ । কোনও কাজ রাখিনি আজ । ফুলে ফুলে ঢাকা মায়ের পা । লুকিয়ে গল্প করছে কোশাকুশির সঙ্গে । সন্ধিপুজো, সন্ধ্যারতি ~ সব একে একে জানান দেয় মা আছেন ।"

এইরকম শত ভিড়ের মাঝেও বাবার কথা মনে পড়ে যায় স্বস্তিকার । টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলো জমা হতে থাকে মনের মাঝে । তিনি লেখেন, "টুকরো টুকরো স্মৃতির মাঝে মেঘ কেটে যায় আপন সাজে । দুপুরে আলিপুর বললো দুর্যোগ গেছে কেটে, নো মোর চাপ । হঠাৎ ঝলমলে আকাশ থেকে একটুকরো রোদ বেয়ে নীচে নেমে এসে কানের দুলটায় টোকা মেরে বাবা বলে গেল... “কী রে? মিস করছিস?”..."।

বাবা বড়ই কাছের মানুষ ছিল স্বস্তিকার । সুখ, দুঃখ, হাসি, ঠাট্টা সব কিছুর সাথিই ছিলেন তাঁর বাবা । কিন্তু, 11 মার্চ সব কিছুই শেষ হয়ে যায় । প্রয়াত হন সন্তু মুখার্জি । দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন । ওইদিন সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন । বাবার মৃত্যু ওলটপালট করে দিয়ে যায় স্বস্তিকার জীবন । ভেঙে পড়েছিলেন তিনি । তারপর ধীরে ধীরে নিজের মনকে বুঝিয়েছেন । নিজেকে শক্ত করেছেন । কিন্তু, তাও মাঝে মাঝেই বাবার স্মৃতি নাড়িয়ে দেয় তাঁকে ।

কলকাতা : একটা ঝড় কেড়ে নিয়ে গিয়েছে তাঁর প্রিয় মানুষটিকে । সম্পূর্ণ একলা করে দিয়েছে তাঁকে । কিন্তু, এখনও সেই মানুষটিকে ভুলতে পারেননি তিনি । প্রতিটা আনন্দের মুহূর্তেই বার বার বাবা সন্তু মুখার্জিকে মনে পড়ে যায় স্বস্তিকার । আর দুর্গাপুজোর সময়ও তার অন্যথা হয়নি । উৎসবের মুহূর্তেও ফের মনের কোণে উঁকি দিল বাবার স্মৃতি ।

দুর্গাপুজোর আনন্দে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন স্বস্তিকা । প্রতিদিনই সোশাল মিডিয়ায় নিত্য নতুন সাজে দেখা যাচ্ছে তাঁকে । পুজোর দিনগুলিতে প্রতি বছরই এক বান্ধবীর বাড়িতে যান তিনি । এবারও তার অন্যথা হয়নি । সেখানে সবার সঙ্গে মিশে যান তিনি । কিন্তু, শত ভিড়ের মাঝেও বাবার কথা তাঁর মনে পড়ে যায় । তখনই যেন বুকটা হু হু করে ওঠে ।

আজ ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন স্বস্তিকা । সেখানে বান্ধবীর বাড়ির পুজোয় মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে তাঁকে । সেই মুহূর্তের একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন তিনি । আর তার ক্যাপশনে লেখেন, "ভোরে ঢাকের শব্দে ঘুম ভাঙল । ঘুমের টুকরোগুলোকে বালিশের উপর যত্ন করে শুইয়ে রেখে স্নানঘরের পালা । আগের রাতে বের করে রাখা শাড়িটার তখন দেমাক দেখে কে ! আলমারির বাকি বারো হাটগুলোর ততক্ষণে মুখ ভার । হিংসেতে তেলে বেগুন । সুগন্ধীর স্প্রে ভেজা চুলের কান ঘেঁষে দেওয়ালে লাগলো । মোবাইলের ঘড়ি দু’হাত কোমরে রেখে ‘বেরো বেরো’ করছে !"

এরপর বান্ধবী চান্দ্রেয়ীর বাড়িতে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "চান্দ্রেয়ীর বাড়ির অলিন্দে মাকে ঘিরে চেনা ভিড় । “কি রে এসে গেছিস, তোর কথাই ভাবছিলাম !” .... আবার এক বছর পর । পর পর ছয় বছর । রিচুয়াল বলে কথা । মাস্কমুখী চোখ দুটোয় ধোঁয়ার ঝাঁঝ । কোনও কাজ রাখিনি আজ । ফুলে ফুলে ঢাকা মায়ের পা । লুকিয়ে গল্প করছে কোশাকুশির সঙ্গে । সন্ধিপুজো, সন্ধ্যারতি ~ সব একে একে জানান দেয় মা আছেন ।"

এইরকম শত ভিড়ের মাঝেও বাবার কথা মনে পড়ে যায় স্বস্তিকার । টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলো জমা হতে থাকে মনের মাঝে । তিনি লেখেন, "টুকরো টুকরো স্মৃতির মাঝে মেঘ কেটে যায় আপন সাজে । দুপুরে আলিপুর বললো দুর্যোগ গেছে কেটে, নো মোর চাপ । হঠাৎ ঝলমলে আকাশ থেকে একটুকরো রোদ বেয়ে নীচে নেমে এসে কানের দুলটায় টোকা মেরে বাবা বলে গেল... “কী রে? মিস করছিস?”..."।

বাবা বড়ই কাছের মানুষ ছিল স্বস্তিকার । সুখ, দুঃখ, হাসি, ঠাট্টা সব কিছুর সাথিই ছিলেন তাঁর বাবা । কিন্তু, 11 মার্চ সব কিছুই শেষ হয়ে যায় । প্রয়াত হন সন্তু মুখার্জি । দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন । ওইদিন সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন । বাবার মৃত্যু ওলটপালট করে দিয়ে যায় স্বস্তিকার জীবন । ভেঙে পড়েছিলেন তিনি । তারপর ধীরে ধীরে নিজের মনকে বুঝিয়েছেন । নিজেকে শক্ত করেছেন । কিন্তু, তাও মাঝে মাঝেই বাবার স্মৃতি নাড়িয়ে দেয় তাঁকে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.