কলকাতা : বহুবছর ধরে এই দিনে প্রচুর মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দেন । গ্রামগঞ্জ থেকে বহু মানুষ আবার চলেও আসেন প্রিয় বুম্বাদার কাছে । আর হবে না-ই বা কেন ? বছর বছর ধরে একইরকম জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন প্রসেনজিৎ । গ্রামের মানুষগুলোর কাছেও তিনি যেমন গ্রহণযোগ্য, শহুরে শিক্ষিত মানুষদের পছন্দের তালিকায় প্রথম স্থানে সেই প্রসেনজিৎই । তিনি থাকতে আর কোনও বিকল্প আছে কি এই ইন্ডাস্ট্রির ?
বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে রাস্তার উপর বুম্বাদার 'উৎসব' বাড়িটি পথচলতি মানুষের নজর এড়ায় না । সেই বাড়িতে বিশেষ দিনগুলিতে ভিড় জমে । আজকের দিনটিও তেমনই একটা দিন । আজ সারাদিন গেট খুলে রাখেন প্রসেনজিৎ । অবারিত দ্বার আজ তাঁর বাড়িতে ।
অভিনেতা আমাদের বললেন, "যাঁরাই আমাকে ভালোবাসেন, তাঁরা আসেন । তাঁদের সঙ্গে আমি সময় কাটাই । দুপুরের খাওয়াদাওয়া করি একসঙ্গে মিলে । বাচ্চারা নিজের হাতে রান্না করেন । ওদেরকে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খাওয়াই । ওরাও আমাকে কেক-পায়েস খাওয়ায় ।"
এছাড়াও, বন্ধুবান্ধবরা বাড়িতে আসেন । প্রায় রাত পর্যন্ত লোকজন আসা চলতেই থাকে । তবে এই বছরটা একটু আলাদা বুম্বাদার কাছে । বললেন, "এবছর আমার উদযাপনের মানসিকতাই নেই । তার প্রধান কারণ, সারা পৃথিবী এই মুহূর্তে অন্যরকম হয়ে রয়েছে । প্রচুর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছেন । চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে আছে । তার মধ্যেই আমাদের চলতে হচ্ছে । আমরা চলব । নিশ্চয়ই এগিয়ে যাব । ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, খুব শিগগিরই এই পৃথিবী সুস্থ হয়ে উঠুক । লড়াইটা আমাদের সকলের একসঙ্গে করতে হবে । তাই এই বছরটা আমি সেলিব্রেট করতে চাই না ।"
তবে যাঁরা আজ এত অস্থিরতার মধ্যেও প্রসেনজিৎকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা । " জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ওঁদের আনন্দ দিয়ে যেতে চাই ।", অভিনেতা-এন্টারটেইনার প্রসেনজিতের মুখ থেকে যেন এই শব্দগুলোই শুনতে চেয়েছিলেন আপামর সিনেমাপ্রেমী মানুষগুলো । সাধ মেটালেন চ্যাটার্জিবাবু ।