মুম্বই : চরস ও গাঁজা খুবই সাধারণ জিনিস । দেশের যে কোনও কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে একটু খুঁজলেই এগুলির সন্ধান পাওয়া যাবে । কোকেন ও এলএসডির সঙ্গে এগুলিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয় । রাস্তায় কেউ গাঁজা খেলে তার দিকে পুলিশ খুব একটা গুরুত্ব দেয় না । তবে সমস্যাটা তখনই হয় যখন কেউ এই নিষিদ্ধ বস্তুগুলির পাচার করতে শুরু করে । সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেন জাভেদ আখতার ।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার তদন্তের সময় মাদক যোগের ইঙ্গিত পায় নারকোটিকস কন্ট্রোল বিওরো (NCB) । এরপরই তদন্ত চালিয়ে মাদক যোগের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয় । জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলিউডের প্রথমসারির কয়েকজন তারকাকে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমতো সরগরম বলিউড ।
সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় জাভেদকে । তার উত্তরে তিনি বলেন, "আমি কখনও শুনিনি গাঁজা খেয়ে কেউ কাউকে খুন করে দিয়েছে ।" কিন্তু, যদিও কখনও জানতে পারেন তাঁর মেয়ে জ়োয়া ও ছেলে ফারহান আখতার গাঁজা সেবন করেন, তাহলে তখন তিনি কী করবেন ? এর উত্তরে খুব শান্তভাবে জাভেদ বলেন, "আমি তাদের এটা সেবন করতে বারণ করব । কারণ এটা শরীরের পক্ষে ভালো নয় । এক সময় আমি নিয়মিত মদ্যপান করতাম । কিন্তু, 1991 সাল থেকে আমি এই অভ্যেস ছেড়ে দিই । সেই তখন থেকে এখনও পর্যন্ত একটুও খাইনি । কারণ বুঝতে পেরেছিলাম যে কোনও ধরনের মাদকই শরীরে ক্ষতি করে । সন্তানদেরও আমি একই কথা বলব । তারা যদি শোনে তো ভালো, নাহলে আমি আর কি করতে পারি । ওরা দু'জনেই প্রাপ্ত বয়স্ক ।"
NCB-র তদন্ত সম্পর্কে জাভেদ বলেন, "আমি জীবনে কখনও মাদক সেবন করিনি । তবে কম বয়সে আমি খুব একটা শরীর নিয়ে সচেতন ছিলাম না । খুব মদ্যপান করতাম । কিন্তু, বর্তমান প্রজন্ম নিজেদের শরীর নিয়ে খুবই চিন্তিত । তাদের শরীর অনেক বেশি ফিট । আর শরীর ঠিক রাখতে তারা 2 থেকে 3 ঘণ্টা জিমে কাটায় । তাদের কি মাদক আসক্ত বলে মনে হয় ? তারা যথেষ্ট পেশাদার ও সচেতন । ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এখন আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল ।"