রিল লাইফে তিনি জনপ্রিয় খলনায়ক হিসেবে । এক কথায় ভিলেন । কিন্তু, রিয়েল লাইফে এখন তিনি হিরো । তিনি সোনু সুদ ।
কোনও গডফাদার ছাড়াই যাঁরা ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম । ছোটো থেকে সিনেমা জগতের সঙ্গে কোনও যোগসূত্রই ছিল না । পড়াশোনা করেছেন ইলেকট্রিনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে । মা ছিলেন ইংরেজির অধ্যাপক আর বাবার ছিল কাপড়ের দোকান ।
তামিল ছবি 'কাল্লাঝাগর' দিয়ে অভিনয়ে হাতেখড়ি । প্রথম ছবিতেই তাঁকে দেখা গিয়েছিল খলনায়কের চরিত্রে । এরপর 2002 সালে বলিউডে অভিষেক সোনুর । শাহিদ-ই-আজ়মে তাঁকে দেখা যায় ভগত সিংয়ের চরিত্রে । বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ না দেখলেও, দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছিল এই ছবি । ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'যোধা আকবর'-এ সোনুর অভিনয় অনেকের মনেই জায়গা করে নিয়েছিল । দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছিলেন 'দাবাং'-এর ছেদি সিং হিসেবেও ।
'সিং ইজ় কিং'-এর লখন সিং-কেও মনে ধরেছিল দর্শকদের । এছাড়াও সেরা ভিলেন হিসেবে পেয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দি পুরস্কার । তেলুগু হরর ফিল্ম 'অরুণধোতি'-র জন্য বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টর হিসেবে পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও । 2009 সালে ইংরেজি ছবি 'সিটি অফ লাইফ'-এ দেখা গেছে তাঁকে । হলিউড ছবি 'লেজেন্ড অফ হারকিউলিস'-এর হিন্দি ভার্সনে হারকিউলিস চরিত্রটির জন্য কণ্ঠও দেন তিনি ।
দীর্ঘদিন ধরেই যিনি নেগেটিভ চরিত্রের জন্য পরিচিত লকডাউনে সেই সোনুই সবার চোখে হয়ে উঠেছেন হিরো । পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে সকলের মন জয়ে করে নিয়েছেন তিনি । লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থাও করেন এই অভিনেতা । পাশে দাঁড়ান দুস্থদের । সোশাল মিডিয়ায় যখনই তাঁকে কেউ সমস্যার কথা জানিয়েছেন সঙ্গে সঙ্গে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন ।
এখন সোনু শুধু অভিনেতাই নন, হয়ে উঠেছেন অনেকের পরিবারেরই একজন । সংকটের সময় মানবিকতার যে নিদর্শন তিনি রেখেছেন, তা হয়তো ভুলতে পারবেন না কেউই । ভিলেন থেকে এখন অনেকেরই মসিহা তিনি । আর সেই কারণে এখন রিল লাইফে হিরোর প্রস্তাব আসছে তাঁর কাছে । সেই দিন হয়তো আর খুব বেশি দেরি নেই । যখন রিল লাইফ হিরোর চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে ।
আগামীর জন্য জন্মদিনে সোনু সুদকে অনেক শুভেচ্ছা ।