বনগাঁ,12 অগাস্ট : বর্ষাকালে নদীর জলকে কাজে লাগিয়ে রমরমিয়ে চলে পাচারকাজ ৷ গতকাল উত্তর 24 পরগনার বনগাঁর হরিদাসপুরের জলসীমান্ত এলাকা থেকে পাচারের আগেই প্রচুর পরিমাণে প্রসাধনী, ওষুধ, জুতো, মাস্ক ও পোশাক-সহ অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করল BSF । সামগ্রী উদ্ধার করলেও পলাতক পাচারকারীরা । উদ্ধার হওয়া সামগ্রীগুলো BSF-র পক্ষ থেকে পেট্রাপোলের শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।
BSF সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর বাজারমূল্য 21 লাখ 69 হাজার 975 টাকা । কোরোনা পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে পারাপারের ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা । বিশেষ করে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে কাঁটা তারহীন এলাকায় । তারই মধ্যে গভীর রাতে পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে । সোমবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনগাঁ হরিদাসপুর BPO-র 158 নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা সজাগ ছিলেন । আরও জানা গিয়েছে, হরিদাদপুর সংলগ্ন ইছামতী লাগোয়া বাঁওড় বাংলাদেশের জলসীমান্তের একেবারেই কাছেই । এই জলপথ ধরেই জলের নীচ দিয়ে কয়েকজন পাচারকারীরা পাচারের চেষ্টা করছিল । বিষয়টি নিয়ে BSF-র এক কর্তা বলেন, 'পাচারকারীরা জলজঘাসের নীচ দিয়ে এমনভাবে যাচ্ছিল, যে সাধারণ চোখে দেখে মনে হবে, সেগুলো জলের প্রবাহে ভেসে যাচ্ছে । পাশাপাশি, ঘাসের মাঝখান থেকে ছোট ছোট পাইপ বের করা ছিল । সেগুলির মাধ্যমে জলের নীচ থেকে পাচারকারীরা শ্বাস নিচ্ছিল । পাচারের সামগ্রীগুলি প্রায় 20 টি ব্যাগে করে জলের নীচ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল । পরে ভয়ে তারা জলের নীচে ফেলে রেখেই রাতের অন্ধকারে চম্পট দিয়েছে । BSF-র দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের DIG সুরিন্দার সিং গুলারিয়া জানিয়েছেন, "রাতের দিকে পাচারকারীরা সম্প্রতি অতিসক্রিয় হওয়ায় বাহিনীকেও সেইভাবে সতর্ক করা হয়েছে । উদ্ধার হওয়া যাবতীয় সামগ্রী পেট্রাপোল স্থলবন্দরের শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।