কেনোহে বে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), 28 নভেম্বর: মার্কিন সমুদ্রে অবতরণ করা বিমান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে প্রায় সমস্ত জ্বালানি ৷ সোমবার এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন নৌসেনা ৷ এই বিমানটি হাওয়াই রানওয়েতে অবতরণ করার কথা ছিল ৷ কিন্তু তার বদলে রানওয়ে ছাড়িয়ে বিমানটি দুর্ঘটনাবশত সমুদ্রে গিয়ে পড়ে ৷ তবে জ্বালানি সরিয়ে নেওয়া হলেও বিমানটি কবে জল থেকে তোলা যাবে, তা এখনই জানা যায়নি ৷
নৌসেনার তরফে কেভিন লেনক্স বলেছেন, "পি-8এ বিমানে আনুমানিক 2 হাজার গ্যালন (7 হাজার 500 লিটার) জ্বালানি ছিল। নৌসেনা ট্যাঙ্কগুলি থেকে সমস্ত জ্বালানি বের করে নিয়েছে, যতটা তাদের পক্ষে বের করা সম্ভব হয়েছে । সমুদ্রে কোনও জ্বালানি মিশে যায়নি ৷ সফলভাবেই জ্বালানি সরানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে । জ্বালানি সরিয়ে নেওয়ার ফলে বাকি উদ্ধার অভিযানের ঝুঁকি কমবে ৷"
জানা গিয়েছে, 20 নভেম্বর এই বিমানটি কেনোহে বে'তে মেরিন কর্পস বেস হাওয়াইয়ের একেবারে উপকূলে জলের মধ্যে অবতরণ করেছিল ৷ তখন উড়ানে ছিল ন'জন ৷ তবে তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি। নিরাপদেই ন'জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এয়ার বেসটি হনোলুলু থেকে প্রায় 10 মাইল (16 কিলোমিটার) দূরে অবস্থিত। নৌসেনার মোবাইল ডাইভিং এবং উদ্ধারকারী ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্ক অ্যান্ডারসন ৷ তার কথায়, বিমানটি প্রবাল এবং বালির মিশ্রণের উপর রয়েছে । উড়ানের বাম ইঞ্জিনটি আপাতত বিশ্রাম নিচ্ছে । জোয়ারের সঙ্গে বিমানটি জলের তোড়ে একটু উপরে ওঠে ৷ তাই বিমানের পুরো ওজন পাথরের ওপর নেই বলে জানান তিনি ।
কেনোহে বে হল প্রবাল প্রাচীরের বাসস্থান এবং প্রাচীন হাওয়াইয়ান ফিশপন্ড এবং হ্যামারহেড হাঙরের প্রজনন ক্ষেত্র । বিমান সমুদ্রে অবতরণের ফলে প্রবালের ছোটখাটো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ৷ তবে সেখানে বিশাল কিছু ক্ষতি হয়নি বলে মনে হয় ৷ তবুও বর্তমানে বিমানটিকে স্থিতিশীল করা এবং এটি সরানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে ৷
বিমানটি সরিয়ে নেওয়ার পরে ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ণ করা হবে বলে রাজ্যের পরিবেশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন ৷ নৌসেনা বিমানটি সরানোর জন্য দুটি বিকল্প পথ অবলম্বন করছে । প্রথমটি এটিকে ভাসিয়ে রানওয়েতে একটি ক্রেনের সীমার মধ্যে নিয়ে আসা । তারপরে এটি রানওয়েতে ওঠানো হবে এবং এর ল্যান্ডিং গিয়ারে নামানো হবে, যা এখনও ভালো অবস্থায় রয়েছে । দ্বিতীয় বিকল্পটি হল, এটিকে সিলিন্ডারের উপরে ভাসিয়ে রানওয়েতে নিয়ে যাওয়া হবে । (সংবাদ সংস্থা -এপি)
আরও পড়ুন: