জেরুদালেম, 19 নভেম্বর: হামাসের হাতে বন্দি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ইজরায়েলের সরকারের উপর চাপ আরও বাড়ল। এবার জেরুজালেমের রাস্তায় নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে সরব হলেন বহু মানুষ। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনাও করলেন নাগরিকদের একটা বড় অংশ। তিনি যে কায়দায় যুদ্ধ সামলাচ্ছেন তাতে খুশি নন অনেকেই। এমতাবস্থায় হামাসের হাতে বন্দি 240 জন সহ-নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে চাপ বাড়ালেন নাগরিকরা।
7 অক্টোবর আচমকা হামলা চালিয়ে হাজার দেড়েক মানুষকে হত্যা করার পাশাপাশি এই 240 জনকে বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস। সেই থেকেই চলছে যুদ্ধ। নেতানিয়াহু প্রথম থেকেই বলে আসছেন, এই বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধে কোনও প্রকার বিরতির কথা ভাবছে না ইজরায়েল । এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন মানবিক সংগঠন যুদ্ধ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখার কথা বললেও সেই দাবি মানেনি ইজরায়েল।
এবার দেশের ভিতরে বন্দিদের ফিরিয়ে আনার চাপ বাড়ায় সরকার কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার। কূটনৈতিক মহলের একটা অংশ মনে করে, এবার যুদ্ধে আরও গতি আনার কথা ভাবতে পারে ইজরায়েল। সেটা হলে পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এমনই অবস্থায় আলাপ-আলোচনায় জোর দেওয়ার কথা বলছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। গাজায় এখন যেভাবে নিরাপরাধ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। কিছুদিন আগে পৃথিবীর বিভিন্ন বড়বড় শহরে গাজায় ইজরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করার দাবিতে মিছিল করেছিলেন প্যালেস্তাইনের সমর্থকরা। এবার হামাসার হাতে বন্দি সহ-নাগরিকদের মুক্ত করতে পথে নামল ইজরায়েল।
স্থানীয় সময় শনিবার জেরুজালেমে একটি বিরাট মিছিল শুরু হয়। প্রায় 70 কিমি রাস্তা অতিক্রম করেন হাজার হাজার মানুষ। হাতে বন্দিদের ছবি নিয়ে ধীরে ধীরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে এগোতে থাকে ভিড়। এখানেই প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হলেন অনেকে। 19 বছর বয়সি এক তরুণ বললেন, "হামাস যাঁদের বন্দি করে রেখেছে তাঁদেল মুক্তির জন্য যা যা দরকার সরকারকে সবটাই করতে হবে। আমাদের স্বজনরা ফিরে না আসা পর্যন্ত এই প্রতিবাদ চলবে।"
আরও পড়ুন: