ইসলামাবাদ, 25 মে : অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে 80 শতাংশের মাইনে মুসলিম সম্প্রদায়ের তুলনায় কম ৷ আর সরকারি দফতরগুলিতে প্রায় অর্ধেক পদ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত থাকলেও তার বেশির ভাগই ফাঁকা পড়ে আছে ৷ পাকিস্তানে মুসলিম ছাড়া অন্য সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের এই তথ্য উঠে এসেছে 'আনইকোয়াল সিটিজেনস: এনডিং সিস্টেমিক ডিসক্রিমিনেশন এগেনস্ট মাইনরিটিস' রিপোর্টে ৷ স্থানীয় একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এর সাহায্যে ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রিসার্চ বা এনসিএইচআর এই সমীক্ষা চালিয়েছে (NCHR reports 80 per cent non-Muslims employed with less salary in Pakistan) ৷
রিপোর্ট (National Commission for Human Rights) জানাচ্ছে, কাজের পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ, সুরক্ষার যথেষ্ট যন্ত্রাংশের অভাব, চাকরির কোনও নিশ্চয়তা নেই, কর্মরত অবস্থায় কেউ মারা গেলে বা আহত হলে তার পরিবারকে অত্যন্ত কম পরিমাণে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় ৷ তাছাড়া সাফাই কর্মীরা সমাজে অচ্ছুৎ এবং ম্যানহোলে ঢুকে অনেকেই মারা যান ৷ এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে কমিশন কয়েকটি সমাধানের পথ বাতলেছে ৷
এবিষয়ে পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রী রিয়াজ হুসেন পিরজাদা বলেন, "এনসিএইচআর-এর পাঠানো চিঠির উপর ভিত্তি করে মানবিকার মন্ত্রক সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে ৷ প্রত্যেকটি প্রদেশের মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়ে তাঁদের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷"
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আথার মিনাল্লাহ বলেন, "আইন না মানলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে থাকে ৷ সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিক সমান ৷ এখনও 'সাধারণ নাগরিক' শব্দটাই বেশি ব্যবহার করা হয় ৷" তিনি আক্ষেপ করেন, আদালতের বিচারই যথেষ্ট নয় ৷ সরকার, নাগরিক সমাজ এবং সংবাদমাধ্যম এগিয়ে না আসা পর্যন্ত কোনও পরিবর্তন হতে পারে না ৷
এনসিএইচআর চেয়ারপার্সন রাবিয়া জাভেরি আঘা (Rabiya Javeri Agha) বলেন, "এনসিএইচআর-এর প্রচেষ্টায় কেন্দ্র এবং প্রাদেশিক সরকারগুলি লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা এই বৈষম্যমূলক আচরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে ৷ সংখ্যালঘু নাগরিকদের সাংবাধিনাকি রক্ষাকবচ দেওয়ার কথা জানিয়েছে ৷"