করাচি, 30 জুলাই: তিনি প্রথম হিন্দু মহিলা ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট ৷ আর দেশটা পাকিস্তান ৷ পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন- সকলের ভুল ভাঙিয়ে একপ্রকার ইতিহাস গড়েছেন মনীষা রোপেতা (Manisha Ropeta) ৷ পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তিনি এবার মহিলা রক্ষাকর্তা এবং তাঁর মতো আরও অনেক তরুণী আর মহিলার নতুন অনুপ্রেরণা (First Hindu Woman DSP Manisha Ropeta of Pakistan) ৷
মনীষা রোপেতার বয়স 26 ৷ তিনি পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের জাকোবাবাদের বাসিন্দা ৷ পাকিস্তানে বেশির ভাগ মহিলাই অপরাধীদের টার্গেট এবং পুরুষের দ্বারা নিপীড়িত বলে উঠে এসেছে বিভিন্ন সমীক্ষায় ৷ সে দেশেই গত বছর সিন্ধ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় পাশ করেন মনীষা ৷ শুধু তাই নয়, 152 জনের মধ্যে মেধাতালিকায় 16 নম্বরে নাম ছিল তাঁর ৷ এখন তিনি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ৷ এরপর তাঁকে অপরাধ অধ্যুষিত লায়ারি (Lyari) অঞ্চলে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশের (Deputy Superintendent of Police, DSP) পদে নিযুক্ত করা হবে ৷
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে 80 শতাংশ অ-মুসলিম কম বেতন পায়, বলছে এনসিএইচআর রিপোর্ট
এই নজিরবিহীন সাফল্য নিয়ে তিনি বলেন, "আমি এবং আমার বোনেরা সেই পুরনো পিতৃতান্ত্রিক সমাজে বড় হয়েছি ৷ আমাদের বলা হত যদি পড়াশোনা করে চাকরিবাকরি করতে হয়, তাহলে শিক্ষক অথবা ডাক্তার হতে হবে ৷ মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য হিসেবে এই বিশ্বাসটাকে ভাঙতে চেয়েছি, শেষ করতে চেয়েছি ৷" মেয়েরা চাইলে পুলিশে অথবা আদালতে চাকরি করতে পারে, জানালেন হবু ডিএসপি ৷
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম-এর 'দ্য গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স' অনুযায়ী মহিলাদের উপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের নিরিখে পাকিস্তান 153টি দেশের মধ্যে 151তম স্থানে রয়েছে ৷ অরৌত ফাউন্ডেশন নামে একটি পাকিস্তানি এনজিও মহিলাদের অধিকারের জন্য কাজ করছে ৷ তারা জানাচ্ছে দেশের 70 শতাংশ মহিলাই পারিবারিক হিংসার শিকার ৷ আর তাদের উপর এই অত্যাচার করে তাদের স্বামী অথবা কাছের মানুষেরাই ৷ এহেন পাকিস্তানেই নয়া ইতিহাস লিখলেন মনীষা ৷