লন্ডন, 7 জুলাই : সত্যি হল জল্পনা ৷ শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (British Prime Minister Boris Jhonson Resigns) ৷
তিনি কি ইস্তফা দেবেন, এই নিয়ে জল্পনা কয়েকদিন ধরেই চলছিল ৷ বিশেষ করে গত কয়েকদিনে 50 জন মন্ত্রী পদত্যাগ করায়, সেই চাপ বেড়েছিল ৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বরিসের ইস্তফা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছিল ৷
এই অবস্থায় নিজেই বরিস জনসন নিজেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা করলেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের সেরা কাজ ছেড়ে দেওয়ার পর আমি কতটা ব্যথিত, তা আমি আপনাদের জানাতে চাই ৷’’ তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার জন্য ব্রিটিশদের ধন্যবাদও দিয়েছেন ৷
এদিন পদত্যাগের ঘোষণা তিনি করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন 10 ডাউনিং স্ট্রিট থেকে ৷ তবে এদিনই তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে যেতে হচ্ছে না ৷ যতদিন না নয়া প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হচ্ছে, ততদিন তাঁকে দায়িত্ব সামলাতে হবে ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজব, গত দু’দিন ধরে ব্রিটেনে এই রাজনৈতিক সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে ৷ সব মিলিয়ে 50 জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন ৷ পুরনোরা তো বটেই, নতুন যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের অনেকেই ইস্তফা দিয়েছেন ৷ এই পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করা ছাড়া জনসনের কাছে আর কোনও উপায় ছিল না ৷
গত তিন বছর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে রয়েছেন বরিস জনসন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে ৷ দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সমর্থকদের তিনি বাঁচিয়েছেন বলে অভিযোগ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি ব্রিটেনের সংসদকে বিভ্রান্ত করেছেন ৷ করোনাকালে লকডাউন সংক্রান্ত নিয়মও ভেঙেছেন ৷
সম্প্রতি ক্রিস পিনসার নামে কনজারভেটিভ পার্টির এক সদস্যের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে ৷ পুরো বিষয়টিই জনসন জানতেন বলে অভিযোগ ৷ তিনি ওই নেতাকে আড়াল করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে ৷ তার পরই জনসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বাড়তে থাকে ৷ যার জেরে পদত্যাগ করতে হল বরিসকে ৷
আরও পড়ুন : Boris Johnson: কেন পদত্যাগ করতে হল বরিস জনসনকে, জানালেন লন্ডনের বাঙালি কাউন্সিলর