ETV Bharat / international

এক মাসের ভারতীই লড়াইয়ের শক্তি অরুণার - ভারতী

ETV ভারত অরুণার অবিশ্বাস্য পরিশ্রম বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেয় । পাড়েরু মণ্ডলের বিশাখা জেলার বরিশিঙ্গি । এখানেই থাকেন অরুণা । আট মাসের গর্ভবতী । অরুণার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় । প্রসব যন্ত্রণা ওঠার পর অরুণার যাতে বিন্দুমাত্র কোনও কষ্ট না হয়, তার ব্যবস্থা করা হয় । আজ এক মাস এক দিন বয়স ছোট্ট ভারতীর ।

ARUNA DAUGHTER
অরুণা কথা
author img

By

Published : Dec 31, 2019, 8:04 PM IST

Updated : Jan 1, 2020, 3:51 PM IST

বরিশিঙ্গি (অন্ধ্র প্রদেশ), ৩১ ডিসেম্বর : ইচ্ছা থাকলে মানুষ অসাধ্য সাধন করে । যিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত তিনিও পাহাড়ের উচ্চ শিখরে আরোহণ করেন । অরুণা কথা হয়ত অনেকের অজানা । দরিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে জীবন চলে । শত অসুবিধা সত্ত্বেও পেটের ভাত জোগাড় করতে কঠিন পরিশ্রম করতে হয় । পাড়েরু মণ্ডলের বিশাখা জেলার বরিশিঙ্গি । এখানেই থাকেন অরুণা । আট মাসের গর্ভবতী । এই সময়েও কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছিল । পরিবারের জন্য এই অবস্থাতেও তাঁর বিশ্রাম ছিল না । এই সময়েও তাঁকে প্রায় 5 কেজি ওজনের ফুলের ব্যাগ বহন করে 5 কিলোমিটার পথ চলতে হত । কারণ, বাজারে গিয়ে সেই ফুল বিক্রি করতে হবে । ফুল বিক্রির টাকা দিয়ে সংসারের খরচ চালাতে হবে । তাই অরুণার কাছে বিশ্রাম চাওয়া বিলাসিতা মাত্র ।

অরুণা কথা

তাঁর এই লড়াইয়ের কথা তুলে ধরে ETV ভারত । ETV ভারত অরুণার এই অবিশ্বাস্য পরিশ্রম বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেয় । খবর পৌঁছায় মহিলা কমিশনেও । সেখানকার সদস্যরা অরুণার সঙ্গে দেখা করেন । বরিশিঙ্গিতে তাঁর (অরুণা) বাড়িতে যান । অরুণার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় । প্রসব যন্ত্রণা ওঠার পর অরুণার যাতে বিন্দুমাত্র কোনও কষ্ট না হয়, তার ব্যবস্থা করা হয় । চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা হয় । দারিদ্রের সঙ্গে যুঝতে থাকা অরুণার শরীরে রক্তাল্পতা থাকতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে রক্তদানের ব্য়বস্থা করা হয় । যাতে বিন্দুমাত্র কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় অরুণাকে, তার সব ব্যবস্থায় করা হয়েছিল ।

৩০ নভেম্বর এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন অরুণা । ঠিক এক মাস পর নাম রাখা হয় ছোট্ট সোনাটার । আজ এক মাস এক দিন বয়স ছোট্ট ভারতীর । এখনও তাঁর সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য সকলের এগিয়ে আসা, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য, কৃতজ্ঞতা জানাতে চোখের কণা চিকচিক করে ওঠে অরুণা ও তাঁর স্বামীর । খবর প্রচারিত হতেই অনেকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের । প্রাক্তন মন্ত্রী মণিকুমারী আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন । বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পাশে দাঁড়িয়েছে ।

নতুন বছরে ভারতীর হাত ধরে নতুন স্বপ্নের পথে পাড়ি দিতে শুরু করেছে দরিদ্রতাকে হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে থাকা পরিবারটা ।

বরিশিঙ্গি (অন্ধ্র প্রদেশ), ৩১ ডিসেম্বর : ইচ্ছা থাকলে মানুষ অসাধ্য সাধন করে । যিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত তিনিও পাহাড়ের উচ্চ শিখরে আরোহণ করেন । অরুণা কথা হয়ত অনেকের অজানা । দরিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে জীবন চলে । শত অসুবিধা সত্ত্বেও পেটের ভাত জোগাড় করতে কঠিন পরিশ্রম করতে হয় । পাড়েরু মণ্ডলের বিশাখা জেলার বরিশিঙ্গি । এখানেই থাকেন অরুণা । আট মাসের গর্ভবতী । এই সময়েও কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছিল । পরিবারের জন্য এই অবস্থাতেও তাঁর বিশ্রাম ছিল না । এই সময়েও তাঁকে প্রায় 5 কেজি ওজনের ফুলের ব্যাগ বহন করে 5 কিলোমিটার পথ চলতে হত । কারণ, বাজারে গিয়ে সেই ফুল বিক্রি করতে হবে । ফুল বিক্রির টাকা দিয়ে সংসারের খরচ চালাতে হবে । তাই অরুণার কাছে বিশ্রাম চাওয়া বিলাসিতা মাত্র ।

অরুণা কথা

তাঁর এই লড়াইয়ের কথা তুলে ধরে ETV ভারত । ETV ভারত অরুণার এই অবিশ্বাস্য পরিশ্রম বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেয় । খবর পৌঁছায় মহিলা কমিশনেও । সেখানকার সদস্যরা অরুণার সঙ্গে দেখা করেন । বরিশিঙ্গিতে তাঁর (অরুণা) বাড়িতে যান । অরুণার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় । প্রসব যন্ত্রণা ওঠার পর অরুণার যাতে বিন্দুমাত্র কোনও কষ্ট না হয়, তার ব্যবস্থা করা হয় । চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা হয় । দারিদ্রের সঙ্গে যুঝতে থাকা অরুণার শরীরে রক্তাল্পতা থাকতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে রক্তদানের ব্য়বস্থা করা হয় । যাতে বিন্দুমাত্র কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় অরুণাকে, তার সব ব্যবস্থায় করা হয়েছিল ।

৩০ নভেম্বর এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন অরুণা । ঠিক এক মাস পর নাম রাখা হয় ছোট্ট সোনাটার । আজ এক মাস এক দিন বয়স ছোট্ট ভারতীর । এখনও তাঁর সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য সকলের এগিয়ে আসা, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য, কৃতজ্ঞতা জানাতে চোখের কণা চিকচিক করে ওঠে অরুণা ও তাঁর স্বামীর । খবর প্রচারিত হতেই অনেকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের । প্রাক্তন মন্ত্রী মণিকুমারী আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন । বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পাশে দাঁড়িয়েছে ।

নতুন বছরে ভারতীর হাত ধরে নতুন স্বপ্নের পথে পাড়ি দিতে শুরু করেছে দরিদ্রতাকে হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে থাকা পরিবারটা ।

Intro:Body:

        

Aruna belonged to Barisingi of Visakha District Paderu Mandal... suffered a lot of difficulties while she was pregnant.  For wealth of her family...During the eighth month of pregnancy she would tarvel to 5 km, carrying flowers weighing about 15 kg. Aruna hardships were brought out to world by ETV and ETV Bharat. With a series of articles published on her problems made the world aware.  

Female Commission members who knew about Aruna... went to BarisIngi and confined her. On the way to the hospital during delivery ... Doctors recommended to KGH in Vishakha...as doctors already  told her... that there is no suffecient blood... enough for delivery. With the help of the authorities and ETV Bharat...blood was donated to Aruna. 

Aruna was given some financial assistance by former minister Manikumari. On November 30, she gave birth to a baby girl. The naming ceremony was held on Sunday... and they named baby as Bharathi. The birth star also fulfilled their dream of matching the name of Bharti. However, if she would give birth to a boy they would name him as bharat says Aruna and her Husband. 

Conclusion:
Last Updated : Jan 1, 2020, 3:51 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.