জেনেভা ও দিল্লি, 29 অক্টোবর : 5 অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জারি করা হয় বেশ কিছু বিধিনিষেধ ৷ ধীরে ধীরে কয়েকটি বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয় ৷ তবে এখনও কিছু বিধিনিষেধ জারি রয়েছে ৷ এই অবস্থায় জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য ভারতের কাছে আর্জি জানাল রাষ্ট্রসংঘ ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মানবাধিকার নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন বলে এক বিবৃতিতে জানালেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনারের মুখপাত্র রূপার্ট কোলভিল ৷
ওই বিবৃতিতে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন জানিয়েছে, 12 সপ্তাহ আগে 5 অগাস্ট লোকসভায় কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পাশ হয় । সেই সঙ্গে পাশ হয় জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল , 2019 । 370 ধারা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীরের আংশিক স্বায়ত্বশাসন বিলোপ হয় । জম্মু ও কাশ্মীর ভেঙে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র । বৃহস্পতিবার (31 অক্টোবর) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে । 370 ধারা প্রত্যাহারের পর জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে বিধিনিষেধ জারি করা হয় । পরে অবশ্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয় ।
ল্যান্ডলাইন ফোন ব্যবহারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে ৷ আংশিক চালু হয়েছে সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন একটি মোবাইল পরিষেবা ৷ একথা উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধের জেরে কাশ্মীরের বাসিন্দারা মানধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ৷ তা যাতে না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে ভারতকে আর্জি জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন ৷
আজ ইউরোপীয় ইউনিয়নের 23 জন প্রতিনিধি জম্মু ও কাশ্মীর পরিদর্শন করেন ৷ তার আগে সোমবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন এবং ওই এলাকা নিয়ে সরকারের অগ্রাধিকারের স্পষ্ট ছবি দেখতে পাবেন তাঁরা ৷ এর আগেও আন্তর্জাতিক মহলকে ভারত আশ্বস্ত করেছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷