ETV Bharat / international

Zabiullah Mujahid : কাবুলে প্রতিপক্ষের নাকের ডগায় ছিলাম, ওরা আমাকে 'ভূত' ভেবেছিল : মুজাহিদ

তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (Zabiullah Mujahid) জানিয়েছেন, তিনি এতদিন কাবুলে তাঁর প্রতিপক্ষের নাকের ডগাতেই বসবাস করেছেন ৷ আফগানিস্তানে যুদ্ধ চলাকালীন তারা তাঁর উপস্থিতিকে পাত্তা দেয়নি, ভূতের মতো অদৃশ্য কেউ বলে মনে করেছে ৷ গত মাসে কাবুল দখলের পর প্রায় এক দশক পর প্রথমবার তিনি এক সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন ৷

তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ
তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ
author img

By

Published : Sep 13, 2021, 8:17 AM IST

ইসলামাবাদ, 13 সেপ্টেম্বর : সারাক্ষণ কাবুলেই ছিলেন ৷ প্রতিপক্ষের নাকের ডগায় ৷ কিন্তু তারা তাঁকে ভূতের মতো অদৃশ্য কেউ বলে গণ্য করেছে, জানালেন তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (Zabiullah Mujahid) ৷ গত মাসেই কাবুল দখলের পর মিডিয়ার সামনে আসেন তিনি ৷ এক দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবার সাংবাদিক সম্মেলনও করেন ৷ 43 বছরের মুজাহিদের জন্ম 1978 সাল নাগাদ, পাকসিয়া প্রদেশের গারদেজ় জেলায় ৷ তিনি এ-ও স্বীকার করেছেন যে তিনি উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের নওশেরার হাক্কানিয়া সেমিনারি (Haqqania seminary)-তে ইসলামি আইনশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে যার ডাকনাম 'তালিবান বিশ্ববিদ্যালয়' বা 'জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়' ৷

পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন (The Express Tribune)-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "ওরা (মার্কিন এবং আফগান সেনা) আমার উপস্থিতিকে পাত্তাই দেয়নি ৷ ভাবত আমি নেই ৷ আমাকে ধরার বহু চেষ্টা করেছে ওরা ৷ কিন্তু এতবার পালাতে সক্ষম হয়েছিলাম যে ওরা ভেবে নিয়েছিল যে 'জাবিহুল্লাহ' বলে বাস্তবে কেউ নেই ৷ তারপরও আফগানিস্তানে স্বাধীনভাবে চলাচল করেছি ৷ দীর্ঘদিন ধরে আমি কাবুলে থেকেছি ৷ সবার চোখের সামনেই ৷ যেখানেই তালিবান কিছু করেছে সেখানেই প্রথম সারিতে আমি থেকেছি ৷ এটা আমাদের প্রতিপক্ষকে বেশ ধন্দে ফেলেছিল ৷"

মুজাহিদের ছায়া-সত্ত্বার জন্য এই জল্পনাও তৈরি হয়েছিল যে তালিবানের মুখপাত্র কেউ একজন নয়, হতে পারে একাধিক জন ৷ মুজাহিদ বলেন, "আমি কিন্তু কখনওই আফগানিস্তান ছেড়ে যায়নি, যাওয়ার কথা ভাবিনি পর্যন্ত ৷ আমার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মার্কিন সেনা স্থানীয় লোকজনকে টাকা দিত ৷ আমার ধারণা, আমাকে খুঁজে বের করতে তার ভিত্তিতেই তারা অভিযান চালাত ৷"

মুজাহিদ বলেন, তাঁর পূর্বসূরির গ্রেফতারের পর তিনি তালিবানের মুখপাত্র হয়েছিলেন । পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা উমরকে (Mullah Omar) কখনও দেখেননি তিনি । কিন্তু তিনি শেখ মোল্লা মনসুর (Sheikh Mullah Mansoor) এবং শেখ হেবাতুল্লাহর (Sheikh Hebatullah) সঙ্গে কাজ করেছেন ৷

তালিবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানি (Sirajuddin Haqqani), জল ও জ্বালানি মন্ত্রী মোল্লা আবদুল লতিফ মনসুর (Mullah Abdul Latif Mansoor) এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নজিবুল্লাহ হাক্কানি (Najibullah Haqqani) জাতিপুঞ্জের ব্ল্যাকলিস্টে রয়েছেন ৷ মুজাহিদের মতো শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবদুল বাকি হাক্কানি-ও (Maulana Abdul Baqi Haqqani) হাক্কানিয়া সেমিনারি পড়াশোনা করেছেন ৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে অনুদান পেয়েছে ।

আরও পড়ুন : Taliban: মহিলাদের পড়াশোনায় ছাড়, তবে পুরুষদের সঙ্গে ক্লাস নয় ; ফতেয়া তালিবান সরকারের

ইসলামাবাদ, 13 সেপ্টেম্বর : সারাক্ষণ কাবুলেই ছিলেন ৷ প্রতিপক্ষের নাকের ডগায় ৷ কিন্তু তারা তাঁকে ভূতের মতো অদৃশ্য কেউ বলে গণ্য করেছে, জানালেন তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (Zabiullah Mujahid) ৷ গত মাসেই কাবুল দখলের পর মিডিয়ার সামনে আসেন তিনি ৷ এক দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবার সাংবাদিক সম্মেলনও করেন ৷ 43 বছরের মুজাহিদের জন্ম 1978 সাল নাগাদ, পাকসিয়া প্রদেশের গারদেজ় জেলায় ৷ তিনি এ-ও স্বীকার করেছেন যে তিনি উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের নওশেরার হাক্কানিয়া সেমিনারি (Haqqania seminary)-তে ইসলামি আইনশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে যার ডাকনাম 'তালিবান বিশ্ববিদ্যালয়' বা 'জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়' ৷

পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন (The Express Tribune)-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "ওরা (মার্কিন এবং আফগান সেনা) আমার উপস্থিতিকে পাত্তাই দেয়নি ৷ ভাবত আমি নেই ৷ আমাকে ধরার বহু চেষ্টা করেছে ওরা ৷ কিন্তু এতবার পালাতে সক্ষম হয়েছিলাম যে ওরা ভেবে নিয়েছিল যে 'জাবিহুল্লাহ' বলে বাস্তবে কেউ নেই ৷ তারপরও আফগানিস্তানে স্বাধীনভাবে চলাচল করেছি ৷ দীর্ঘদিন ধরে আমি কাবুলে থেকেছি ৷ সবার চোখের সামনেই ৷ যেখানেই তালিবান কিছু করেছে সেখানেই প্রথম সারিতে আমি থেকেছি ৷ এটা আমাদের প্রতিপক্ষকে বেশ ধন্দে ফেলেছিল ৷"

মুজাহিদের ছায়া-সত্ত্বার জন্য এই জল্পনাও তৈরি হয়েছিল যে তালিবানের মুখপাত্র কেউ একজন নয়, হতে পারে একাধিক জন ৷ মুজাহিদ বলেন, "আমি কিন্তু কখনওই আফগানিস্তান ছেড়ে যায়নি, যাওয়ার কথা ভাবিনি পর্যন্ত ৷ আমার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মার্কিন সেনা স্থানীয় লোকজনকে টাকা দিত ৷ আমার ধারণা, আমাকে খুঁজে বের করতে তার ভিত্তিতেই তারা অভিযান চালাত ৷"

মুজাহিদ বলেন, তাঁর পূর্বসূরির গ্রেফতারের পর তিনি তালিবানের মুখপাত্র হয়েছিলেন । পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা উমরকে (Mullah Omar) কখনও দেখেননি তিনি । কিন্তু তিনি শেখ মোল্লা মনসুর (Sheikh Mullah Mansoor) এবং শেখ হেবাতুল্লাহর (Sheikh Hebatullah) সঙ্গে কাজ করেছেন ৷

তালিবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানি (Sirajuddin Haqqani), জল ও জ্বালানি মন্ত্রী মোল্লা আবদুল লতিফ মনসুর (Mullah Abdul Latif Mansoor) এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নজিবুল্লাহ হাক্কানি (Najibullah Haqqani) জাতিপুঞ্জের ব্ল্যাকলিস্টে রয়েছেন ৷ মুজাহিদের মতো শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবদুল বাকি হাক্কানি-ও (Maulana Abdul Baqi Haqqani) হাক্কানিয়া সেমিনারি পড়াশোনা করেছেন ৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে অনুদান পেয়েছে ।

আরও পড়ুন : Taliban: মহিলাদের পড়াশোনায় ছাড়, তবে পুরুষদের সঙ্গে ক্লাস নয় ; ফতেয়া তালিবান সরকারের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.