কাবুল, 7 ডিসেম্বর : নিজে পড়াশোনা করতে পারেননি । চান তিন মেয়েই প্রতিষ্ঠিত হোক । চান ছেলেদের মতোই মেয়েদেরও তৈরি করতে । যাতে দিন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা তাদের না হয় । তিন মেয়েকে স্কুলে পৌঁছতে আফগানিস্তানের মিয়া খান তাই প্রতিদিন 12 কিলোমিটার যান । তাদের ছুটি হওয়া পর্যন্ত সেখানেই অপেক্ষা করেন । আর এটাই তার রোজকার রুটিন ।
আফগানিস্তানের সুইডিস কমিটির উদ্যোগে চলে নুরানিয়া স্কুল । সেখানেই পড়ে মিয়া খানের তিন মেয়ে । তাঁর কাছে, মেয়েদের পড়াশোনা সবসময় দরকার । তাই দিনের হাজারো কাজের মাঝে এই কাজটি তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । এলাকায় মহিলা চিকিৎসক নেই, তাই তিনি চান মেয়েরা চিকিৎসকই হোক ।
তাঁর কথায়, "আমি পড়াশোনা জানি না । প্রতিদিন কাজ করলে দিন হিসেবে টাকা পাই । কিন্তু আমার কাছে আমার মেয়েদের পড়াশোনা অত্যন্ত দামি । তার কারণ আমাদের এলাকায় কোনও মহিলা চিকিৎসক নেই । আমি খুব ইচ্ছে, আমার মেয়েদের একটা ছেলের সমান তৈরি করার । পড়াশোনা করানো ও প্রতিষ্ঠিত করা ।"
মিয়া খানের এক মেয়ে তাঁর বাবাকে নিয়ে বলেন, "আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছি । আমি এটার জন্য খুশি যে আমি পড়াশোনা করতে পারছি । আমার বাবা নয় দাদা প্রতিদিন আমাদের স্কুলে নিয়ে যায় বাইকে করে । সেখানে অপেক্ষা করে ছুটি শেষে বাড়ি নিয়ে আসে ।"
সোশাল মিডিয়ায় মিয়া খান এখন ভাইরাল । সকলেই তাঁর চিন্তাধারার প্রশংসা করেছেন । কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁর মানসিকতাকে । অনেকেই লিখেছেন, "গর্বিত এমন বাবাদের জন্য, তিনিই আসল হিরো । অনেক শ্রদ্ধা আপনাকে ।"