ইসলামাবাদ, 5 সেপ্টেম্বর : ‘‘চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক হয়ে যাবে ৷’’ পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (Inter service intelligence) বা আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফইজ হামিদ (Faiz Hameed) বিনা ঘোষণায় গতকাল তালিবানের দখলে থাকা যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানিস্তানে পৌঁছান ৷ সেখানেই এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান ৷ প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর ফইজ হামিদকে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরে ৷ সেখানেই এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কী আশা করছেন, আফগানিস্তানে কী হতে চলেছে ? এই প্রশ্নের জবাবেই হাসিমুখে ওই সাংবাদিককে এই জবাব দেন হামিদ ৷
প্রসঙ্গত, গতকাল আইএসআই প্রধানের কাবুলে পা রাখার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, তালিবানের দখল মুক্ত থাকা আফগানিস্তানের পঞ্জশিরে পাকিস্তান সেনা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ নর্দান অ্যলায়েন্সের তরফে জানানো হয়েছে, তালিবান জঙ্গিদের সাদা পোশাকে পাকিস্তান সেনা ও আল কায়দার জঙ্গিরা পঞ্জশিরে হামলা চালিয়েছে ৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই কূটনৈতিকমহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি পঞ্জশিরে পাকসেনার হামলাই আইএসআই প্রধানের কাবুল যাওয়ার অন্যতম কারণ ! তবে, পাকিস্তান সরকার তথা আইএসআই’কে উল্লেখ করে এক পাকিস্তানের এক সংবাদপত্র দাবি করেছে, আফগানিস্তানে তালিবানের সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করার জন্যই আইএসআই’র ডিরেক্টর জেনারেল ফইজ হামিদের নেতৃত্বাধীন এক প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানে গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Indians Trapped in Cyprus : সাইপ্রাসে আটকে স্বামী, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রীর আর্তি
সেখানেই এক সাংবাদিক বিমানবন্দরের বাইরে হামিদকে প্রশ্ন করেন, আপনি কী তালিবানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ? যার সংক্ষিপ্ত জাবাবে আইএসআই প্রধান বলেন, ‘‘না, আমি নিশ্চিত নই ৷’’ এর পরেই হামিদ তাঁর পাশে থাকা আফগানিস্তানে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত মনসৌর আহমেদ খানের দিকে ইশারা করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে বলেন ৷ কিন্তু, তিনি জবাব দেওয়ার আগেই ওই সাংবাদিক ফইজ হামিদকে আরও একটি প্রশ্ন করেন ৷ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি কী আশা করছেন, আফগানিস্তানে কী হতে চলেছে ? যার জবাবে হামিদ হাসিমুখে সাংবাদিককে জবাব দেন, ‘‘আমি সবে নেমেছি ৷ চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক হয়ে যাবে ৷’’
আরও পড়ুন : Taliban and Panjshir : পঞ্জশিরে খতম 600 তালিবানি, দাবি প্রতিরোধ বাহিনীর
অন্যদিকে, হামিদের এই কাবুল সফরকে তালিবানের উপর আন্তর্জাতিক কমিউনিটির চাপ তৈরির কৌশল বলেও মনে করছে কূটনীতিকরা ৷ মনে করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক কমিউনিটিতে গ্রহণযোগ্য একটি সরকার গঠনের জন্য আইএসআই প্রধান তালিবানের শীর্ষনেতা এবং কমান্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে সেখানে গিয়েছেন ৷ আর সেখানে চিনের ভূমিকা সবচেয়ে বড় বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ কারণ, পাকিস্তান তথা আইএসআই’র চালিকা শক্তি যে এখন বেজিং তা আন্তর্জাতিক স্তরে বেসরকারিভাবে সব দেশই কমবেশি মেনে নিয়েছে ৷ পাশাপাশি আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের সীমান্ত নিরাপত্তা এবং দুই দেশের অর্থনীতি ও অন্যান্য বিষয় নিয়েও তালিবানের জঙ্গিনেতাদের সঙ্গে ফইজ হামিদ আলোচনায় বসবেন বলে জানা গিয়েছে ৷