ETV Bharat / international

লকডাউন : যতদিন প্রয়োজন ততদিন যৌনকর্মীদের খাদ্য জোগাবে বাংলাদেশ

সারা বিশ্বে কোরোনা আতঙ্ক ৷ জারি লকডাউন ৷ কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশের সর্ব বৃহৎ যৌনপল্লির যৌনকর্মীদের যতদিন প্রয়োজন ততদিন জরুরি খাদ্য সামগ্রী প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷

বাংলাদেশ
বাংলাদেশ
author img

By

Published : Apr 7, 2020, 3:44 PM IST

Updated : Apr 7, 2020, 4:01 PM IST

ঢাকা, 7 এপ্রিল : দেশে 12 টি সরকারি অনুমোদিত যৌনপল্লি কম করে 5 এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ৷ মার্চের 20 তারিখে সেই কথাই ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ সরকার ৷ এই বারোটি স্থানের মধ্যেই রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ যৌনপল্লি দৈলতদিয়া ৷ যেখানে রয়েছেন প্রায় 1,500 মহিলা যৌনকর্মী ৷ কাজকর্ম বন্ধ হওয়ার ফলে যৌনকর্মীরা সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানায় ৷ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে তাঁদের প্রত্যেককে 30 কেজি চাল, ভাড়ায় একটি ফ্রিজ ও 25 অ্যামেরিকান ডলার দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে ৷

ঢাকার পশ্চিম গোলান্দায় অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই যৌনপল্লি, দৈলতদিয়া ৷ সেখান কার এক সরকারি আধিকারিক রুবায়েত হায়াত জানান, ইতিমধ্যেই জরুরি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ গত সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েগিয়েছে ৷ তবে এখন পর্যন্ত টাকা দেওয়া হয়নি ৷ সেই সঙ্গে শাটডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে 14 এপ্রিল পর্যন্ত৷

তিনি জানান, " আমরা তাঁদের (যৌনকর্মী) একবার খাদ্য সামগ্রী দিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি না ৷ আমাদের তাঁদের প্রত্যেককে প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করতে হবে ৷ কারণ আমরা জানি না এই ভাইরাসের প্রকোপ কতদিন থাকবে ৷" তিনি আরও জানান, "আমরা ইতিমধ্যেই মন্ত্রককের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছি, তার পক্রিয়া চলছে ৷" একটি বিদেশি সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি ৷

বাংলাদেশে যৌনব্যবসা বৈধ্য হলেও 160 মিলিয়ন জনসংখ্যা বিশিষ্ট মুশলিম প্রধান দেশের অনেকেই এই ব্যবসা অনৈতিক বলে মনে করেন ৷ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কোরোনায় আক্রান্ত হযে মৃত্যু হয়েছে 12 জনের ৷ কমপক্ষে আক্রান্ত হয়েছেন 120 জন৷ দৈলতাদিয়ার একজন যৌনকর্মী বলেন, "খাদ্য আমাদের কাছে এখন খুব প্রয়োজনীয় ৷ জরুরি খাদ্য সামগ্রী আমাদের আর্শিবাদ ৷ কিন্তু খাবারের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টাকার ও প্রয়োজন ৷"

ওই যৌনকর্মী জানান, "আমাদের কাছে ভাত, ডাল আছে৷ কিন্তু মাছ, মাংসর কী হবে? আমাদের ওষুধ ও স্যানিটারি ন্যাপকিন ও কেনার প্রয়োজন আছে ৷ আমরা সমাজের একটি দূর্বল গোষ্ঠি, আর অর্থ ছাড়া পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে ৷"

বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত অন্যান্য যৌনপল্লিতে কর্মরত যৌমকর্মীদেরও খাবর সরবরাহ করা হয়েছে ৷ 2000 সাল থেকে এই সমস্ত যৌনকর্মীদের জন্য কাজ করে চলেছে এমন একটি সংগঠনের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে মুক্তি মহিলা সমিতি নামে একটি মানবধিকার সংগঠন যৌনকর্মীদের সাহায্য করে চলেছে ৷ ওই সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ যৌনকর্মীদের রোজকার উপার্জনে রোজের রুটি-রুজি জোটে ৷ নয়জনের মধ্যে একজন এমন থাকে যে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হয় ৷

ঢাকা, 7 এপ্রিল : দেশে 12 টি সরকারি অনুমোদিত যৌনপল্লি কম করে 5 এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ৷ মার্চের 20 তারিখে সেই কথাই ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ সরকার ৷ এই বারোটি স্থানের মধ্যেই রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ যৌনপল্লি দৈলতদিয়া ৷ যেখানে রয়েছেন প্রায় 1,500 মহিলা যৌনকর্মী ৷ কাজকর্ম বন্ধ হওয়ার ফলে যৌনকর্মীরা সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানায় ৷ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে তাঁদের প্রত্যেককে 30 কেজি চাল, ভাড়ায় একটি ফ্রিজ ও 25 অ্যামেরিকান ডলার দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে ৷

ঢাকার পশ্চিম গোলান্দায় অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই যৌনপল্লি, দৈলতদিয়া ৷ সেখান কার এক সরকারি আধিকারিক রুবায়েত হায়াত জানান, ইতিমধ্যেই জরুরি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ গত সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েগিয়েছে ৷ তবে এখন পর্যন্ত টাকা দেওয়া হয়নি ৷ সেই সঙ্গে শাটডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে 14 এপ্রিল পর্যন্ত৷

তিনি জানান, " আমরা তাঁদের (যৌনকর্মী) একবার খাদ্য সামগ্রী দিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি না ৷ আমাদের তাঁদের প্রত্যেককে প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করতে হবে ৷ কারণ আমরা জানি না এই ভাইরাসের প্রকোপ কতদিন থাকবে ৷" তিনি আরও জানান, "আমরা ইতিমধ্যেই মন্ত্রককের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছি, তার পক্রিয়া চলছে ৷" একটি বিদেশি সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি ৷

বাংলাদেশে যৌনব্যবসা বৈধ্য হলেও 160 মিলিয়ন জনসংখ্যা বিশিষ্ট মুশলিম প্রধান দেশের অনেকেই এই ব্যবসা অনৈতিক বলে মনে করেন ৷ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কোরোনায় আক্রান্ত হযে মৃত্যু হয়েছে 12 জনের ৷ কমপক্ষে আক্রান্ত হয়েছেন 120 জন৷ দৈলতাদিয়ার একজন যৌনকর্মী বলেন, "খাদ্য আমাদের কাছে এখন খুব প্রয়োজনীয় ৷ জরুরি খাদ্য সামগ্রী আমাদের আর্শিবাদ ৷ কিন্তু খাবারের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টাকার ও প্রয়োজন ৷"

ওই যৌনকর্মী জানান, "আমাদের কাছে ভাত, ডাল আছে৷ কিন্তু মাছ, মাংসর কী হবে? আমাদের ওষুধ ও স্যানিটারি ন্যাপকিন ও কেনার প্রয়োজন আছে ৷ আমরা সমাজের একটি দূর্বল গোষ্ঠি, আর অর্থ ছাড়া পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে ৷"

বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত অন্যান্য যৌনপল্লিতে কর্মরত যৌমকর্মীদেরও খাবর সরবরাহ করা হয়েছে ৷ 2000 সাল থেকে এই সমস্ত যৌনকর্মীদের জন্য কাজ করে চলেছে এমন একটি সংগঠনের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে মুক্তি মহিলা সমিতি নামে একটি মানবধিকার সংগঠন যৌনকর্মীদের সাহায্য করে চলেছে ৷ ওই সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ যৌনকর্মীদের রোজকার উপার্জনে রোজের রুটি-রুজি জোটে ৷ নয়জনের মধ্যে একজন এমন থাকে যে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হয় ৷

Last Updated : Apr 7, 2020, 4:01 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.