ওয়াশিংটন, 24 জুন : গ্রিনকার্ড অর্থাৎ H-1B ভিসা নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । তিনি জানান, অ্যামেরিকানদের চাকরি সুরক্ষিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এপ্রিল মাসে এক নির্দেশ জারি করে অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট 90 দিনের জন্য H-1B ভিসা বাতিল করেন । গত সোমবার সেই সময়সীমা বাড়িয়ে চলতি বছরের শেষ অর্থাৎ 31 ডিসেম্বর 2020 পর্যন্ত করা হয় ।
অ্যারিজো়নায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গতকাল ট্রাম্প বলেন, “এই মুহূর্তে আমরা অ্যামেরিকানদের চাকরি সুরক্ষিত করতে চাইছি ।” চলতি বছরের 3 নভেম্বর অ্যামেরিকায় প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন রয়েছে । তার আগে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছেন ট্রাম্প । তাঁঁর মতে COVID-19 এর জেরে অ্যামেরিকায় আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে । এই পরিস্থিতিতে সবার আগে অ্যামেরিকানদের চাকরি সুরক্ষিত করা জরুরি । অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট জানান, “এবছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে অ্যামেরিকার বেকারত্বের হার চারগুণ বেড়েছে । অ্যামেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম বেকারত্বের হার এই পর্যায়ে পৌঁছেছে ।” শুধু মে মাসে 13.3 শতাংশ হারে বেকারত্ব বেড়েছে । এরমধ্যে কয়েক লাখ অ্যামেরিকানের চাকরি গেছে ।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে সে দেশে কর্মরত ভারতীয়দের যথেষ্ট অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে । অ্যামেরিকায় আইনিভাবে পাকাপাকি থাকতে গেলে ভারতীয়দের কয়েক দশক অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে । অ্যামেরিকা প্রত্যেক বছর 1,40,000 গ্রিন কার্ড বা H-1B ভিসা প্রদান করে । এরমধ্যে যেসব অভিবাসী সেদেশে কাজ করছেন তাদের পরিবার যুক্ত রয়েছে । H-1B ভিসা বাতিলের ফলে অ্যামেরিকায় বসবাসকারী প্রায় 10 লাখ বিদেশি নাগরিক ও তাদের পরিবার সমস্যায় পড়েছেন । এইসব অভিবাসীরা গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করে এখনও হাতে পাননি ।
গ্রিনকার্ড আবেদনকারীর এই সংখ্যা প্রত্যেক বছর বাড়ছে । কারণ অ্যামেরিকার সংস্থায় কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা নিজেদের কিংবা সংস্থার খরচে সেখানে থাকছেন । এরা প্রত্যেকে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন । প্রতিবছর নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগ হওয়ায় আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে । পাশাপাশি প্রতি দেশ থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী সর্বোচ্চ 7 শতাংশ অভিবাসী গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন । এর ফলে ভারত ও চিনের মতো দেশগুলি থেকে যেসব অভিবাসী গ্রিন কার্ডের আবেদন করেন, তাঁঁদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় ।