ওয়াশিংটন, 22 অক্টোবর : সিমলা চুক্তি অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তানের মুখোমুখি বসে কথা বলে সমস্যার সমাধান করে নেওয়া উচিত ৷ কিন্তু, সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে জড়িতদের প্রতি ইসলামাবাদের মদত দুই দেশের আলোচনায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছে অ্যামেরিকা ৷
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে, 1972 সালের সিমলা চুক্তি অনুযায়ী, ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি বসে কথা বলা উচিত ৷ একমাত্র তাতেই দুই দেশের মধ্যে তৈরি উত্তেজনা কমার সর্বাধিক সম্ভাবনা রয়েছে ৷"
তিনি আরও বলেন, "2002 থেকে 2007 ব্যাকচ্যানেল আলোচনার সময় ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীর সহ বেশ কয়েকটি ইশু নিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে ৷"
কিন্তু, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পরিস্থিতি নেই ৷ তাঁর কথায়, "উৎপাদনশীল দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরুর জন্য আস্থা বাড়াতে হবে ৷ সীমান্তে সন্ত্রাসবাদে জড়িত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির পক্ষে পাকিস্তানের অব্যাহত সমর্থন এই আলোচনার পথে বাধা তৈরি করেছে ৷"প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে স্বাগত জানান ওয়েলস ৷ ইমরান খান বলেছিলেন, "কাশ্মীরে সন্ত্রাস চালিয়ে যাওয়া পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিরা কাশ্মির ও পাকিস্তান দুই দেশেরই শত্রু ৷"
পাকিস্তানকে সতর্ক করে ওয়েলস বলেন, "জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তইবার মতো পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে ৷ পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ তাদের কাজের জন্য দায়বদ্ধ রয়েছেন ৷ আমরা বিশ্বাস করি যে, পাকিস্তান তার ভূখণ্ডের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ঠিকঠাক পদক্ষেপ নিলে তবেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মুখোমুখি কথা বলে সাফল্য আসবে৷"
অ্যামেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পে এর আগে একাধিকবার ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনায় বসার বলেছেন ৷ তিনি বলেন, "অ্যামেরিকা কাশ্মিরীদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকারকে সমর্থন করে ৷ কিন্তু জঙ্গিদের কাজকে নিন্দা করে ৷"