ETV Bharat / international

টুইটারের ফ্যাক্ট চেক নোটিফিকেশন পাওয়ার পর সোশাল মিডিয়া বন্ধ করার হুমকি ট্রাম্পের

নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুটি টুইট করেছিলেন সম্প্রতি । সেই টুইটগুলিতে ফ্যাক্ট চেক নোটিফিকেশন পাঠায় টুইটার । এরপরই গতকাল সোশাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প ।

author img

By

Published : May 28, 2020, 11:43 AM IST

Donald Trump
ডোনাল্ড ট্রাম্প

ওয়াশিংটন, 28 মে : অ্যামেরিকার নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দু'টি টুইট করেছিলেন সম্প্রতি । সেই টুইটগুলিতে ফ্যাক্ট চেক নোটিফিকেশন পাঠায় টুইটার । এরপরই গতকাল সোশাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প ।

টুইটারের তরফে ফ্যাক্ট চেক নোটিফিকেশন পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প । অথচ তিনি প্রথম এই সোশাল মিডিয়া ক্ষেত্রটির বিরুদ্ধে 2020-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তোলেন । পরে ফের অভিযোগ তুলে বলেন, "এই সোশাল মিডিয়া ক্ষেত্রটি বাক স্বাধীনতায় বাধা দিচ্ছে ।" এই বিষয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, "প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি তা কোনওমতেই হতে দেব না ।"

এই হুঁশিয়ারির পর সমালোচকরা অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্টকে মনে করিয়ে দেন, বাক স্বাধীনতার বিষয়টি সংবিধান নিশ্চিত করে । সরকার বা প্রেসিডেন্ট তা নিশ্চিত করে না । তাছাড়া, টুইটার একটি বেসরকারি কম্পানি । তাই এই কম্পানি মিথ্যা প্রচারে বাধ্য নয় ।

সমালোচকদের কৌতূক ও উপহাসের পাত্র হওয়ার পর ট্রাম্প বুধবার বলেন, "রিপাবলিকরা মনে করেন, সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি রক্ষণশীলদের কণ্ঠ সম্পূর্ণভাবে নীরব করে দেবে । কিন্তু তা হওয়ার আগে আমরা এই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করে দেব । আমরা দেখেছি 2016-তে তারা কী করতে চেয়েছিল । যদিও তারা ব্যর্থ হয় । কিন্তু এবার আমরা মেল-ইন ব্যালটকে দেশে ঢুকতে দেব না । যারা বেশি এই মেল-ইন ব্যালটের মাধ্যমে জালিয়াতি করেছে তারাই জিতেছে । যেমন- সোশাল মিডিয়া । এখনই নিজেদের আচরণ ঠিক করো ।"

তাঁর এই বক্তব্যের তিন ঘণ্টা পর ট্রাম্প একটি টুইট করেন । লেখেন, "টুইটার সম্পর্কে আমরা যা বলছি তা যে সত্যি সেটা তারা নিজেরাই প্রমাণ করছে । বড় পদক্ষেপ করা হবে । " যদিও ট্রাম্পের এই হুমিক বা হুঁশিয়ারির পরিপ্রেক্ষিতে টুইটার বা অন্য সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি ।

  • Twitter has now shown that everything we have been saying about them (and their other compatriots) is correct. Big action to follow!

    — Donald J. Trump (@realDonaldTrump) May 27, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প বার বার দাবি করেন যে, মেল-ইন ব্যালটের ফলে নির্বাচনে রিগিং হয় । যদিও তার কোনও প্রমাণ নেই । তিনি নিজেও মেল-ইন ব্যালটের মাধ্যমেই ভোট দেন । অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, "ক্যালিফোর্নিয়া সরকার যে কাউকে মেল-ইন ব্যালট পাঠাতে পারে ।" তাঁর এই দাবিও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে । কারণ নথিভুক্ত ভোটাররাই ব্যালট পেয়ে থাকেন ।

এই সবকিছুর পরেও ট্রাম্পের আশঙ্কা, মেল-ইন ভোটের ফলে তিনি হেরে যেতে পারেন । একমাত্র মানুষ সশরীরে গিয়ে ভোট দিলে তাঁর জয় নিশ্চিত হবে ।

ওয়াশিংটন, 28 মে : অ্যামেরিকার নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দু'টি টুইট করেছিলেন সম্প্রতি । সেই টুইটগুলিতে ফ্যাক্ট চেক নোটিফিকেশন পাঠায় টুইটার । এরপরই গতকাল সোশাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প ।

টুইটারের তরফে ফ্যাক্ট চেক নোটিফিকেশন পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প । অথচ তিনি প্রথম এই সোশাল মিডিয়া ক্ষেত্রটির বিরুদ্ধে 2020-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তোলেন । পরে ফের অভিযোগ তুলে বলেন, "এই সোশাল মিডিয়া ক্ষেত্রটি বাক স্বাধীনতায় বাধা দিচ্ছে ।" এই বিষয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, "প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি তা কোনওমতেই হতে দেব না ।"

এই হুঁশিয়ারির পর সমালোচকরা অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্টকে মনে করিয়ে দেন, বাক স্বাধীনতার বিষয়টি সংবিধান নিশ্চিত করে । সরকার বা প্রেসিডেন্ট তা নিশ্চিত করে না । তাছাড়া, টুইটার একটি বেসরকারি কম্পানি । তাই এই কম্পানি মিথ্যা প্রচারে বাধ্য নয় ।

সমালোচকদের কৌতূক ও উপহাসের পাত্র হওয়ার পর ট্রাম্প বুধবার বলেন, "রিপাবলিকরা মনে করেন, সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি রক্ষণশীলদের কণ্ঠ সম্পূর্ণভাবে নীরব করে দেবে । কিন্তু তা হওয়ার আগে আমরা এই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করে দেব । আমরা দেখেছি 2016-তে তারা কী করতে চেয়েছিল । যদিও তারা ব্যর্থ হয় । কিন্তু এবার আমরা মেল-ইন ব্যালটকে দেশে ঢুকতে দেব না । যারা বেশি এই মেল-ইন ব্যালটের মাধ্যমে জালিয়াতি করেছে তারাই জিতেছে । যেমন- সোশাল মিডিয়া । এখনই নিজেদের আচরণ ঠিক করো ।"

তাঁর এই বক্তব্যের তিন ঘণ্টা পর ট্রাম্প একটি টুইট করেন । লেখেন, "টুইটার সম্পর্কে আমরা যা বলছি তা যে সত্যি সেটা তারা নিজেরাই প্রমাণ করছে । বড় পদক্ষেপ করা হবে । " যদিও ট্রাম্পের এই হুমিক বা হুঁশিয়ারির পরিপ্রেক্ষিতে টুইটার বা অন্য সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি ।

  • Twitter has now shown that everything we have been saying about them (and their other compatriots) is correct. Big action to follow!

    — Donald J. Trump (@realDonaldTrump) May 27, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প বার বার দাবি করেন যে, মেল-ইন ব্যালটের ফলে নির্বাচনে রিগিং হয় । যদিও তার কোনও প্রমাণ নেই । তিনি নিজেও মেল-ইন ব্যালটের মাধ্যমেই ভোট দেন । অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, "ক্যালিফোর্নিয়া সরকার যে কাউকে মেল-ইন ব্যালট পাঠাতে পারে ।" তাঁর এই দাবিও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে । কারণ নথিভুক্ত ভোটাররাই ব্যালট পেয়ে থাকেন ।

এই সবকিছুর পরেও ট্রাম্পের আশঙ্কা, মেল-ইন ভোটের ফলে তিনি হেরে যেতে পারেন । একমাত্র মানুষ সশরীরে গিয়ে ভোট দিলে তাঁর জয় নিশ্চিত হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.