ETV Bharat / international

ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে উঠুক মানবাধিকার লঙ্ঘন ইশু, চিঠি ট্রাম্পকে - Human Rights

পাকিস্তানের সরকারকে চাপ দেওয়া হোক, যাতে নাগরিকদের জীবনযাত্রা সুরক্ষিত হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় ৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের সময় এই ইশুগুলি যাতে ট্রাম্প তুলে ধরেন, এমনই লিখেছেন কংগ্রেস সদস্যরা

ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে উঠুক মানবাধিকার লঙ্ঘন ইশু, চিঠি ট্রাম্পকে
author img

By

Published : Jul 22, 2019, 12:18 PM IST

ওয়াশিংটন, 22 জুলাই : পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাস দূর করতে হলে প্রথমে নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাতে হবে৷ নাগরিকদের মানবাধিকারে গুরুত্ব দিতে হবে ৷ বৈঠকে থাকুক সেই প্রসঙ্গ৷ অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাক্ষাতের আগে কংগ্রেস সদস্যদের চিঠিতে উঠে এল এই প্রসঙ্গ ৷ আজই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ৷ মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প-ইমরান৷

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে এই প্রথম কোনও পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী অ্যামেরিকা সফরে এলেন । তার আগেই অ্যামেরিকার কংগ্রেসের দশ সদস্য ট্রাম্পকে চিঠিতে জানালেন নিজেদের মত ৷ বললেন, ইমরানের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন কোন ইশু নিয়ে কথা বলতে পারেন প্রেসিডেন্ট৷ এই প্রথমবার দশ জন কংগ্রেস সদস্য চিঠি দিলেন প্রেসিডেন্টকে৷

কংগ্রেস সদস্যরা চিঠিতে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে যেন প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন ৷ কারণ 2001 সাল থেকে অ্যামেরিকার মাধ্যমে সামাজিক ও আর্থিক ত্রাণ হিসাবে প্রায় 30 বিলিয়ন ডলার ( ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় 20,70,62,25,00,00,0 টাকা ) অনুদান পেয়েছে পাকিস্তান৷ কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি ৷ এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সরকারের গাফিলতির কথাও বলেছেন তাঁরা ৷ সম্প্রতি সিন্ধ প্রদেশে HIV-র মতো মারণ রোগের প্রাদুর্ভাবের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে৷ পাকিস্তান প্রশাসন ও তার সমর্থকদের হাতে সিন্ধ প্রদেশে ইচ্ছাকৃতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি ৷

এ ছাড়াও জোর করে ধর্ম পরিবর্তন, নিজের থেকে অনেক বেশি বয়সের কোনও পুরুষকে বিয়ে করতে বাধ্য করার মতো ইশুও উল্লেখ রয়েছে কংগ্রেস সদস্যদের চিঠিতে ৷ তাঁরা ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ''সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের ব্যবহারে বদল আনতে আসলে নাগরিকদের দিকে দৃষ্টিপাত জরুরি ৷''

তাঁরা লিখেছেন, পাকিস্তানের সরকারকে চাপ দেওয়া হোক, যাতে নাগরিকদের জীবনযাত্রা সুরক্ষিত হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় ৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের সময় এই ইশুগুলি যাতে ট্রাম্প তুলে ধরেন, এমনই লিখেছেন কংগ্রেস সদস্যরা ৷ কংগ্রেস সদস্যরা হলেন ব্র্যাড শেরম্যান, অ্যান ওয়াগনার, অ্যাডাম বি স্কিফ, জান স্কাকোস্কি, এলেয়ানর এইচ নরটন, ক্যারোলিন বি মালোনি, ডেভিড ই প্রাইস, খুয়ান ভার্গাস, ডেভিড স্কেয়োইকার্ট, ড্যান ক্রেনশ৷

ইমরান অ্যামেরিকা পৌঁছানোর পর থেকেই বিতর্কের শুরু ৷ ওয়াশিংটন ডিসির এরিনা ওয়ানে অ্যামেরিকানিবাসী পাকিস্তানি নাগরিকদের উদ্দেশে বক্তব্য পেশ করছিলেন ইমরান খান । তখনই আচমকা নিজেদের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন স্বাধীন বালোচিস্তানের সমর্থকরা । ইমরানের বক্তৃতা সাময়িক বন্ধ হলেও দু-তিন মিনিটের মধ্যেই স্লোগানধারীদের প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের করে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা । কয়েকজন ইমরানের সমর্থককেও বালোচ সমর্থকদের ধাক্কা মেরে বের করে দিতে দেখা যায় ৷

আরও পড়ুন : কমান্ডার কুলভূষণকে নিয়ে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ : ইমরান খান

এদিকে ইমরানের সফরের শুরুতেও তার কেটেছে ৷ বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন না অ্যামেরিকা প্রশাসনের কোনও আধিকারিক । এর আগে কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে এমন কোনও আচরণ করা হয়েছে কি না তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই৷

সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে, এমন কী, জঙ্গিদের মদতের অভিযোগে অনুদান কাঁটছাট করেছে অ্যামেরিকা। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান তাঁদের ‘মিথ্যে বলেছে’। কূটনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মত, পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি সংগঠনগুলির তৎপরতা নিয়ে ইমরানের উপর চাপ বাড়াতে পারে অ্যামেরিকা প্রশাসন ।

ওয়াশিংটন, 22 জুলাই : পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাস দূর করতে হলে প্রথমে নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাতে হবে৷ নাগরিকদের মানবাধিকারে গুরুত্ব দিতে হবে ৷ বৈঠকে থাকুক সেই প্রসঙ্গ৷ অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাক্ষাতের আগে কংগ্রেস সদস্যদের চিঠিতে উঠে এল এই প্রসঙ্গ ৷ আজই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ৷ মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প-ইমরান৷

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে এই প্রথম কোনও পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী অ্যামেরিকা সফরে এলেন । তার আগেই অ্যামেরিকার কংগ্রেসের দশ সদস্য ট্রাম্পকে চিঠিতে জানালেন নিজেদের মত ৷ বললেন, ইমরানের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন কোন ইশু নিয়ে কথা বলতে পারেন প্রেসিডেন্ট৷ এই প্রথমবার দশ জন কংগ্রেস সদস্য চিঠি দিলেন প্রেসিডেন্টকে৷

কংগ্রেস সদস্যরা চিঠিতে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে যেন প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন ৷ কারণ 2001 সাল থেকে অ্যামেরিকার মাধ্যমে সামাজিক ও আর্থিক ত্রাণ হিসাবে প্রায় 30 বিলিয়ন ডলার ( ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় 20,70,62,25,00,00,0 টাকা ) অনুদান পেয়েছে পাকিস্তান৷ কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি ৷ এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সরকারের গাফিলতির কথাও বলেছেন তাঁরা ৷ সম্প্রতি সিন্ধ প্রদেশে HIV-র মতো মারণ রোগের প্রাদুর্ভাবের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে৷ পাকিস্তান প্রশাসন ও তার সমর্থকদের হাতে সিন্ধ প্রদেশে ইচ্ছাকৃতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি ৷

এ ছাড়াও জোর করে ধর্ম পরিবর্তন, নিজের থেকে অনেক বেশি বয়সের কোনও পুরুষকে বিয়ে করতে বাধ্য করার মতো ইশুও উল্লেখ রয়েছে কংগ্রেস সদস্যদের চিঠিতে ৷ তাঁরা ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ''সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের ব্যবহারে বদল আনতে আসলে নাগরিকদের দিকে দৃষ্টিপাত জরুরি ৷''

তাঁরা লিখেছেন, পাকিস্তানের সরকারকে চাপ দেওয়া হোক, যাতে নাগরিকদের জীবনযাত্রা সুরক্ষিত হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় ৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের সময় এই ইশুগুলি যাতে ট্রাম্প তুলে ধরেন, এমনই লিখেছেন কংগ্রেস সদস্যরা ৷ কংগ্রেস সদস্যরা হলেন ব্র্যাড শেরম্যান, অ্যান ওয়াগনার, অ্যাডাম বি স্কিফ, জান স্কাকোস্কি, এলেয়ানর এইচ নরটন, ক্যারোলিন বি মালোনি, ডেভিড ই প্রাইস, খুয়ান ভার্গাস, ডেভিড স্কেয়োইকার্ট, ড্যান ক্রেনশ৷

ইমরান অ্যামেরিকা পৌঁছানোর পর থেকেই বিতর্কের শুরু ৷ ওয়াশিংটন ডিসির এরিনা ওয়ানে অ্যামেরিকানিবাসী পাকিস্তানি নাগরিকদের উদ্দেশে বক্তব্য পেশ করছিলেন ইমরান খান । তখনই আচমকা নিজেদের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন স্বাধীন বালোচিস্তানের সমর্থকরা । ইমরানের বক্তৃতা সাময়িক বন্ধ হলেও দু-তিন মিনিটের মধ্যেই স্লোগানধারীদের প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের করে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা । কয়েকজন ইমরানের সমর্থককেও বালোচ সমর্থকদের ধাক্কা মেরে বের করে দিতে দেখা যায় ৷

আরও পড়ুন : কমান্ডার কুলভূষণকে নিয়ে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ : ইমরান খান

এদিকে ইমরানের সফরের শুরুতেও তার কেটেছে ৷ বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন না অ্যামেরিকা প্রশাসনের কোনও আধিকারিক । এর আগে কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে এমন কোনও আচরণ করা হয়েছে কি না তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই৷

সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে, এমন কী, জঙ্গিদের মদতের অভিযোগে অনুদান কাঁটছাট করেছে অ্যামেরিকা। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান তাঁদের ‘মিথ্যে বলেছে’। কূটনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মত, পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি সংগঠনগুলির তৎপরতা নিয়ে ইমরানের উপর চাপ বাড়াতে পারে অ্যামেরিকা প্রশাসন ।

Ghaziabad (UP), July 22 (ANI): Meet Akansha Tiwari, a Uttar Pradesh Public Service Commission (UPPSC) aspirant from Uttar Pradesh's Ghaziabad. She has topped the UPPSC Civil Judge Junior Division examinations. While speaking to ANI, Akansha Tiwari said, "I would suggest the young aspirants to believe in themselves and keep doing their hard work".
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.