ঝাড়গ্রাম, 22 মার্চ : বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত দু’পক্ষের চারজন ৷ ঝাড়গ্রামের এই ঘটনায় শুরু হয়েছে মামলা, পাল্টা মামলা রুজুর পালা ৷ নিহত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম দুর্গা সোরেন ৷ তাঁর ছোট ছেলে রূপচাঁদ সোরেন ঝাড়গ্রাম থানায় মোট 10 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কল্যাণ রানা ও লক্ষণ গিরিকে গ্রেফতার করেছে ৷
অন্যদিকে, এই ঘটনাতেই আহত হয়েছেন বিজেপি কর্মী তারক সাউ ৷ তাঁর ভাই পঞ্চায়েত সদস্য মানিক সাউ মোট 14 জনের বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম থানাতেই আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ তার ভিত্তিতে তপন পৈড়া ও সন্টু গিরিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
সোমবার ধৃত এই চারজনকেই ঝাড়গ্রামের সিজেএম আদালতের বিচারক এডুইন লেপচার এজলাসে তোলা হয়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক সন্টু গিরিকে তিনদিনের এবং কল্যাণ রানাকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷ বাকি দু’জনকে 14 দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয় ৷ পাশাপাশি, মামলার কেস ডায়ারিও আদালতে পেশ করতে বলেন বিচারক ৷
প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রাম থানার অগুইবনী অঞ্চলের নেতুরায় রবিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষের মৃত্যু হয় দুর্গা সোরেনের ৷ ঘটনায় গুরুতর জখম হন বিজেপি কর্মী তারক সাউ ৷ অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই রাতেই তাঁকে রাতেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয় ৷
আরও পড়ুন : তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়, আহত দুই
এদিন আদালত চত্বরে পুলিশ ভ্যানে বসে বিজেপি কর্মী কল্যাণ রানা বলেন, ‘‘পুলিশ আমার বাড়ির ছাদে উঠে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে আমাকে তুলে নিয়ে এসেছে ৷ আমি এঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই। যে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, তিনি অতিরিক্ত মদ্যপানের করে ছোটাছুটি করছিলেন ৷ সেই সময়েই পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্য়ু হয় ৷’’
অন্যদিকে ধৃত তৃণমূল কর্মী তপন পৈড়া বলেন, ‘‘আমি এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না ৷ সকালে পুলিশ গিয়ে আমাকে বলে তোমার নাম কী ? আমি তপন পৈড়া বলতেই আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে তুলে এনেছে ৷ আমি ঘটনাস্থলে ছিলামই না ৷ পরিকল্পনা করে আমাকে ফাঁসিয়েছে বিজেপি ৷’’