ETV Bharat / elections

বড়জোড়ায় বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু গড়ার বার্তা মমতার - মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়

বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় সোমবারের শেষ নির্বাচনী জনসভাটি করেন তৃণমূল নেত্রী ৷ বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু গড়ার মতোই এক-একটি ভোট জুড়ে সরকার তৈরির বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ বুঝিয়ে দেন প্রতিটি ভোট কতটা জরুরি ৷

bengal assembly election 2021_wb_bnk_03_mamata_in_borjora_wbc10016
বড়জোড়ায় বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু গড়ার বার্তা সাদামাটা মমতার
author img

By

Published : Mar 22, 2021, 5:56 PM IST

বড়জোড়া, 22 মার্চ : সোমবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাঁকুড়া সফরের শেষ স্টপেজ ছিল বড়জোড়া ৷ দলীয় প্রার্থী অলোক মুখোপাধ্য়ায়ের সমর্থনে এখানেই দিনের শেষ নির্বাচনী জনসভাটি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ ভোট প্রচারে এসে ডুবে যান অতীতে ৷ নিজের লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে হয়ে পড়েন আবেগপ্রবণ ৷ নানা কথায় বুঝিয়ে দেন, তিনি কেবলমাত্র বাংলার প্রশাসনিক প্রধান নন, তিনি আদতেই বাংলার ঘরের মেয়ে, ‘নিজের মেয়ে’ ৷ সেই আবেগ উস্কে দিয়েই মা-বোনেদের কাছে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে ভোটভিক্ষা করেন মমতা ৷ বার্তা দেন বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু গড়ে তোলার ৷

মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সব সময়েই বলেন, রাজ্য়ের যেখানে যিনিই তৃণমূলের প্রার্থী হন না কেন, আদতে লড়াইটা তাঁরই ৷ তাই রাজ্যের মানুষ যদি তাঁকে আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পেতে চান, কিংবা চান তৃণমূল কংগ্রেসই ফের সরকার গড়ুক, তাহলে গোটা রাজ্য়েই তৃণমূল প্রার্থীদেরই ভোট দিতে হবে ৷ মমতার বার্তা, একটা একটা ভোট জুড়েই গোটা সরকারের ভিত রচিত হয় ৷ ঠিক যেমন বিন্দুতে বিন্দুতে রচিত হয় সিন্ধু ৷

বড়জোড়ার সভামঞ্চেও ফের একবার নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে সরব হন মমতা ৷ তাঁর ইঙ্গিত, ওই দিন কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি ৷ তাঁকে ইচ্ছা করেই আহত করা হয়েছে ৷ তাঁর অভিযোগ, বাম জমানায় বারবার তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে ৷ বহুবার মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছেন তিনি ৷ সেই আঘাতের রেশ আজও তাঁকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ৷ এদিন আবেগঘন গলায় মমতা বলেন, ‘‘আমি জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছি ৷ রাতের পর রাত ঘুম হয় না ৷’’

আরও পড়ুন : ইন্দাসের সভায় মমতার চমক ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প

মমতার বার্তা, নন্দীগ্রামে তাঁর আহত হওয়ার ঘটনা অতীতের সেইসব হামলার স্মৃতি আবার টাটকা করে দিয়েছে ৷ কিন্তু এভাবে তাঁকে কোনওদিন দমানো যায়নি ৷ আর এভাবে তাঁকে কোনও দিন আটকানো যাবেও না ৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, নন্দীগ্রামের ঘটনার পর চিকিৎসকরা তাঁকে অন্তত 15 দিন বিশ্রামে থাকতে বলেছিলেন ৷ কিন্তু নির্বাচনী মরশুমে মানুষের স্বার্থে তিনি তা মানেননি ৷ কারণ তাঁর আশঙ্কা, তিনি ভোটের ময়দান থেকে সরে গেলেই বাংলার মানুষের ভোট লুট করে নিয়ে যাবে বহিরাগতরা ৷

তাঁর দাবি, বই লিখে, গান লিখে যেটুকু রোজগার হয়, তাতেই তাঁর দিন চলে যায় ৷ একা একজন মানুষ, যিনি দিনে একবার মাত্র খাবার খান, তাঁর বেশি টাকা লাগে না বলেই দাবি মমতার ৷ সব মিলিয়ে বড়জোড়ার মঞ্চে আগাগোড়া নিজেকে আমজনতার এক অতি সাধারণ প্রতিনিধি হিসাবে তুলে ধরেছেন মমতা ৷

বড়জোড়া, 22 মার্চ : সোমবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাঁকুড়া সফরের শেষ স্টপেজ ছিল বড়জোড়া ৷ দলীয় প্রার্থী অলোক মুখোপাধ্য়ায়ের সমর্থনে এখানেই দিনের শেষ নির্বাচনী জনসভাটি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ ভোট প্রচারে এসে ডুবে যান অতীতে ৷ নিজের লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে হয়ে পড়েন আবেগপ্রবণ ৷ নানা কথায় বুঝিয়ে দেন, তিনি কেবলমাত্র বাংলার প্রশাসনিক প্রধান নন, তিনি আদতেই বাংলার ঘরের মেয়ে, ‘নিজের মেয়ে’ ৷ সেই আবেগ উস্কে দিয়েই মা-বোনেদের কাছে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে ভোটভিক্ষা করেন মমতা ৷ বার্তা দেন বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু গড়ে তোলার ৷

মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সব সময়েই বলেন, রাজ্য়ের যেখানে যিনিই তৃণমূলের প্রার্থী হন না কেন, আদতে লড়াইটা তাঁরই ৷ তাই রাজ্যের মানুষ যদি তাঁকে আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পেতে চান, কিংবা চান তৃণমূল কংগ্রেসই ফের সরকার গড়ুক, তাহলে গোটা রাজ্য়েই তৃণমূল প্রার্থীদেরই ভোট দিতে হবে ৷ মমতার বার্তা, একটা একটা ভোট জুড়েই গোটা সরকারের ভিত রচিত হয় ৷ ঠিক যেমন বিন্দুতে বিন্দুতে রচিত হয় সিন্ধু ৷

বড়জোড়ার সভামঞ্চেও ফের একবার নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে সরব হন মমতা ৷ তাঁর ইঙ্গিত, ওই দিন কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি ৷ তাঁকে ইচ্ছা করেই আহত করা হয়েছে ৷ তাঁর অভিযোগ, বাম জমানায় বারবার তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে ৷ বহুবার মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছেন তিনি ৷ সেই আঘাতের রেশ আজও তাঁকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ৷ এদিন আবেগঘন গলায় মমতা বলেন, ‘‘আমি জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছি ৷ রাতের পর রাত ঘুম হয় না ৷’’

আরও পড়ুন : ইন্দাসের সভায় মমতার চমক ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প

মমতার বার্তা, নন্দীগ্রামে তাঁর আহত হওয়ার ঘটনা অতীতের সেইসব হামলার স্মৃতি আবার টাটকা করে দিয়েছে ৷ কিন্তু এভাবে তাঁকে কোনওদিন দমানো যায়নি ৷ আর এভাবে তাঁকে কোনও দিন আটকানো যাবেও না ৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, নন্দীগ্রামের ঘটনার পর চিকিৎসকরা তাঁকে অন্তত 15 দিন বিশ্রামে থাকতে বলেছিলেন ৷ কিন্তু নির্বাচনী মরশুমে মানুষের স্বার্থে তিনি তা মানেননি ৷ কারণ তাঁর আশঙ্কা, তিনি ভোটের ময়দান থেকে সরে গেলেই বাংলার মানুষের ভোট লুট করে নিয়ে যাবে বহিরাগতরা ৷

তাঁর দাবি, বই লিখে, গান লিখে যেটুকু রোজগার হয়, তাতেই তাঁর দিন চলে যায় ৷ একা একজন মানুষ, যিনি দিনে একবার মাত্র খাবার খান, তাঁর বেশি টাকা লাগে না বলেই দাবি মমতার ৷ সব মিলিয়ে বড়জোড়ার মঞ্চে আগাগোড়া নিজেকে আমজনতার এক অতি সাধারণ প্রতিনিধি হিসাবে তুলে ধরেছেন মমতা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.