ETV Bharat / city

AC টু টায়ারে চেপে মাসে তিনবার "হাতসাফাই টুরে" তামিলনাড়ু যেত কমল

মাসে তিনবার তামিলনাড়ু যেত সে । যেত ট্রেনের AC টু টায়ারে । তারপর চলন্ত ট্রেনের কামরায় রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত মহিলা যাত্রীদের ব্যাগ থেকে চুরি করত সোনার গয়না ।

"হাতসাফাই টুরে" তামিলনাড়ু যেত কমল
author img

By

Published : Jun 16, 2019, 6:36 AM IST

শিলিগুড়ি, 16 জুন : মাসে তিনবার তামিলনাড়ু যেত । তবে অফিস টুর বা ডাক্তার দেখাতে নয় । হাতসাফাই করতে । ট্রেনের যাত্রীদের ব্যাগ থেকে চুরি করত সোনার গয়না । অনেকদিন ধরে বেশ ভালোই চলছিল কারবার । একাধিক যাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েও দুষ্কৃতীর হদিশ পাচ্ছিল না পুলিশ । কিন্তু হাল ছাড়েনি তদন্তকারীরা । আদাজল খেয়ে লেগে ছিল । আর তার ফলও মিলল । শুক্রবার শিলিগুড়ি থেকে পাকড়াও হল চোর । নাম কমল দাস ।

কমল শিলিগুড়ির বাসিন্দা । পুলিশ সূত্রে খবর, মাসে তিনবার তামিলনাড়ু যেত সে । যেত ট্রেনের AC টু টায়ারে । তারপর চলন্ত ট্রেনের কামরায় রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত মহিলা যাত্রীদের ব্যাগ থেকে চুরি করত সোনার গয়না । মাসকয়েক আগে একাধিক যাত্রী তামিলনাড়ু রেল পুলিশে সোনার গয়না চুরির অভিযোগ করেন । এরপর শুরু হয় তদন্ত । শুক্রবার তামিলনাড়ু পুলিশের 10 জনের একটি দল শিলিগুড়ি পৌঁছায় । রাতে অভিযান চালিয়ে তারা শিলিগুড়ি থেকে কমলকে গ্রেপ্তার করে । শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে কমলকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে নেয় তামিলনাড়ু রেল পুলিশ ।

দেখুন ভিডিয়ো

একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে তামিলনাড়ু রেল পুলিশ প্রতিটি ঘটনার দিন যে AC টু টায়ার কামরাগুলিতে চুরি হয়েছিল সেগুলির যাত্রী তালিকা খতিয়ে দেখে । তালিকা থেকে দেখা যায় প্রতিটি ঘটনার দিনই কমল দাস নামে এক ব্যক্তি সেই কামরাগুলিতে ছিল । পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে সে আদতে শিলিগুড়ির বাসিন্দা । যোগাযোগ করা হয় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে । এরপরই তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় কমলকে । তবে চোরাই মাল কোথায় আছে বা কেন সে চুরি করতে তামিলনাড়ুগামী ট্রেনগুলিকেই বেছে নিত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

শিলিগুড়ি, 16 জুন : মাসে তিনবার তামিলনাড়ু যেত । তবে অফিস টুর বা ডাক্তার দেখাতে নয় । হাতসাফাই করতে । ট্রেনের যাত্রীদের ব্যাগ থেকে চুরি করত সোনার গয়না । অনেকদিন ধরে বেশ ভালোই চলছিল কারবার । একাধিক যাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েও দুষ্কৃতীর হদিশ পাচ্ছিল না পুলিশ । কিন্তু হাল ছাড়েনি তদন্তকারীরা । আদাজল খেয়ে লেগে ছিল । আর তার ফলও মিলল । শুক্রবার শিলিগুড়ি থেকে পাকড়াও হল চোর । নাম কমল দাস ।

কমল শিলিগুড়ির বাসিন্দা । পুলিশ সূত্রে খবর, মাসে তিনবার তামিলনাড়ু যেত সে । যেত ট্রেনের AC টু টায়ারে । তারপর চলন্ত ট্রেনের কামরায় রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত মহিলা যাত্রীদের ব্যাগ থেকে চুরি করত সোনার গয়না । মাসকয়েক আগে একাধিক যাত্রী তামিলনাড়ু রেল পুলিশে সোনার গয়না চুরির অভিযোগ করেন । এরপর শুরু হয় তদন্ত । শুক্রবার তামিলনাড়ু পুলিশের 10 জনের একটি দল শিলিগুড়ি পৌঁছায় । রাতে অভিযান চালিয়ে তারা শিলিগুড়ি থেকে কমলকে গ্রেপ্তার করে । শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে কমলকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে নেয় তামিলনাড়ু রেল পুলিশ ।

দেখুন ভিডিয়ো

একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে তামিলনাড়ু রেল পুলিশ প্রতিটি ঘটনার দিন যে AC টু টায়ার কামরাগুলিতে চুরি হয়েছিল সেগুলির যাত্রী তালিকা খতিয়ে দেখে । তালিকা থেকে দেখা যায় প্রতিটি ঘটনার দিনই কমল দাস নামে এক ব্যক্তি সেই কামরাগুলিতে ছিল । পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে সে আদতে শিলিগুড়ির বাসিন্দা । যোগাযোগ করা হয় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে । এরপরই তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় কমলকে । তবে চোরাই মাল কোথায় আছে বা কেন সে চুরি করতে তামিলনাড়ুগামী ট্রেনগুলিকেই বেছে নিত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

Intro:তামিলনাড়ু রেল পুলিশের ত্রাস শিলিগুড়ির লটারি ব্যবসায়ী, গ্রেপ্তার!

শিলিগুড়ি, ১৫ জুনঃ চলন্ত ট্রেনে রাতের অন্ধকারে যাত্রীদের ব্যাগ থেকে সোনার অলঙ্কার চুরিতে সিদ্ধহস্ত শিলিগুড়ির বাসিন্দা কমল দাস। তবে, সব জায়গায় এই কলাকুশলী দেখাত না সে। তার নজর ছিল তামিলনাড়ুতে। আর তাই মাসে তিনবার এসি টু টায়ারে যাত্রা করে তামিলনাড়ু যেতেন কমল। রাতের অন্ধকার নামতেই হাত সাফাই করতেন। যাত্রীদের ব্যাগ থেকে লুঠ করে নিতেন সোনার অলঙ্কার। বহুদিন ধরেই এই কর্মকান্ড করে চলছিলেন তিনি। যদিও তার টিকিটিও খুঁজে পাচ্ছিল না তামিলনাড়ু রেল পুলিশ। অবশেষে মাসকয় আগে কয়েকজন যাত্রীর তরফে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করতেই সাফল্য পেল তামিলনাড়ু রেল পুলিশ। শিলিগুড়ি থেকে পাকড়াও করে নিয়ে গেল কমল দাসকে।

জানা গিয়েছে, মাসকয় আগে একাধিক যাত্রী তামিলনাড়ু রেল পুলিশে সোনার অলঙ্কার চুরির অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে প্রথমে হাবুডুবু খাচ্ছিল রেল পুলিশ। অবশেষে রেল পুলিস ঘটনার দিনগুলি চিহ্নিত করে যাত্রীদের নামের তালিকা মেলাতে শুরু করেন৷ এরপরেই রেল পুলিশের নজরে আসে কমল দাস নামে ব্যক্তি প্রতি ঘটনার রাতেই তামিলনাড়ুতে কোন না কোন এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি টু টায়ারে সওয়ার হয়েছিলেন। এরপর সেই ব্যক্তির টাওয়ার লোকেশন সার্চ করে তামিলনাড়ুর রেল পুলিশ জানতে পারে ওই ব্যক্তি শিলিগুড়ির বাসিন্দা। তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ হয় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে। সবশেষে শুক্রবার শিলিগুড়ি এসে পৌঁছায় তামিলনাড়ু রেল পুলিশের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদানের পর ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে কমল দাসকে গ্রেপ্তার করে শিলিগুড়ি থানার সাদা পোষাকের পুলিশ। পরে শনিবার তাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে তামিলনাড়ু রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিলিগুড়ি থানার তরফে।

Body:.Conclusion:.

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.