শিলিগুড়ি, 27 জুলাই : লকডাউনের পর বিমান চলাচল শুরু হতে ভিড় বেড়েছিল বাগডোগরা বিমানবন্দরে । সেই পরিস্থিতি কিছুটা পালটেছে । যাত্রী সংখ্যা মাঝে কিছুটা কম হয়েছিল । তবে ধীরে ধীরে ফের যাত্রী সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে । তাই দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চাইছে বাগডোগরা বিমানবন্দর ।
রাজ্যে কলকাতা বিমানবন্দর ছাড়া সচল রয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দর । কলকাতার পাশাপাশি দিল্লি, বেঙ্গালুরু, মুম্বই ও গুয়াহাটির মধ্যে প্রতিদিন চলাচল করছে একাধিক বিমান । যাত্রীরা জানাচ্ছেন, জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করতে হচ্ছে । কম সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের বিমানে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত থাকায় খুশি যাত্রীরাও । বিমানে যাত্রী কম থাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একটি আসন ছেড়ে বসছেন যাত্রীরা ৷ ফলে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে ৷ বিমানে ওঠার আগে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে । ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিসসহ যাত্রীদের স্যানিটাইজ়েশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ৷ যা নিয়ে সন্তুষ্ট যাত্রীরা । শিলিগুড়িতে ট্রাভেল এজেন্সির তরফে হেমন্ত আগরওয়াল জানান, ‘‘এই মুহূর্তে পর্যটকের আনাগোনা নেই বললে চলে । তবে জরুরি কাজে বিমানে যাতায়াত করছেন অনেক যাত্রী । ধাক্কা সামলে আপাতত অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে এখনকার পরিস্থিতি । সাধারণ মানুষের মন থেকে ভয় কাটছে ধীরে ধীরে ৷ COVID-19 পরিস্থিতির কারণে হঠাৎ বিমান বাতিলের সংখ্যা অনেক কমেছে । ফলে দুর্ভোগ কমেছে যাত্রীদের ।’’ পাশাপাশি তিনি জানান, ‘‘বিমান বাতিলের ক্ষেত্রে আগে বেশ কিছু সংস্থা যাত্রীদের টাকা ফেরতের বদলে ক্রেডিট নোট দিত ৷ এখন সে সমস্যা নেই । এখন বিমান চলাচল করায় হঠাৎ বিমান বাতিলের সংখ্যা কমার পাশাপাশি আর ক্রেডিট নোট দিয়ে নয়, যাত্রীদের টাকা সরাসরি ফেরাচ্ছে বিমান সংস্থাগুলি ।’’
বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সুব্রমণি পি জানান, ‘‘আগে গড়ে এই বিমান বন্দর থেকে দিনে 40টি বিমান ওঠানামা করত । কিন্তু কোরোনার জেরে এখন সেই সংখ্যা নেমেছে 10 থেকে 12-তে । আগে দিনে গড়ে 12 হাজার যাত্রী বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে চলাচল করতেন ৷ এখন দুই থেকে তিন হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন ।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘যাত্রীদের স্বাস্থ্য বিধির কথা ভেবে বিমানবন্দরে চালু রয়েছে টাচ ফ্রি স্ক্রিনিং ব্যবস্থা । এর পাশাপাশি বিমানবন্দর স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে । বিমান বাতিল হচ্ছে না বললে চলে ।’’