শিলিগুড়ি, 13 জুন : দেশজুড়ে চলছে লকডাউন ৷ ফলে বন্ধ সবকিছুই ৷ বন্ধ স্কুল, কলেজও ৷ তবে, আগামী জুলাই থেকে শুরু হতে পারে স্কুল কলেজের পঠন-পাঠন । এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়স্তরেও সিলেবাস কমিয়ে পঠনপাঠন শুরু করতে পারে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ৷ ট্রাঙ্কড সিলেবাস তৈরি করে গ্রুপ ভাগ করে ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । তাদের দাবি , আর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে না পঠন পাঠন । তাই বিকল্প পদ্ধতিতে পড়াশোনা চালাতে উপাচার্যকে প্রস্তাব দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ।
এই বিষয়ে রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকার বলেন, কোরোনা পরিস্থিতির জেরে পড়াশোনা স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা কঠিন ৷ ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রুপ ভাগ করে পড়াশোনা করাতে হবে ৷ তাঁর কথায়, "দেরিতে পড়াশোনা শুরু করিয়ে 180 দিন ক্লাস করানো অসম্ভব । তাই UGC গাইডলাইন মেনে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কমানো হবে সিলেবাস । তৈরি করা হবে ট্রাঙ্কড সিলেবাস ৷ সেই সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা করে পরীক্ষা দেবেন ছাত্রছাত্রীরা ।"
কিন্তু শুধু সিলেবাস কমালেই সমস্যা মিটবে না বিশ্ববিদ্যালয়ের । তিনি আরও জানান, "বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগে কয়েক হাজার পড়ুয়া আছে । তাই ভাবনা-চিন্তা হচ্ছে ছোটো ছোটো দল তৈরি করে ছেলেমেয়েদের পড়ানো যেতে পারে । যদি 120 জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে একটি বিভাগ হয় । যে ঘরে ক্লাস হয় তাতে প্রতি বেঞ্চে 3 জন বসে ক্লাস করতেন । ক্লাসরুম তৈরি 120 জনের জন্যই ৷ তবে, এখন তা আর সম্ভব না । রোল নম্বরের ভিত্তিতে তাই জোড়-বিজোড় পদ্ধতি বা গ্রুপ তৈরি করে পড়ানো ছাড়া আমাদের কাছে আর বিকল্প নেই । তাই কাটছাট হওয়া সিলেবাসে একদল ছাত্রকে পড়িয়ে সিলেবাস সম্পন্ন করতে হবে ৷ তারপর ফের আর এক দলকে ডেকে পড়াতে হবে । প্রতি বিভাগে প্রতিটি দল এসে সিলেবাস সম্পূর্ণ করার পর স্যানিটাইজ় করতে হবে বিভাগকে । সেটা সপ্তাহে 2 - 3 দিন ক্লাস করালে করা যাবে না ৷ এই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করবে বিষয় বিভাগীয় প্রধানরা ৷ তবে এসব সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি । আমরা উপাচার্যকে প্রস্তাব দিচ্ছি । তিনিই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন । তারপর আমরা জুলাই থেকে পড়াশোনা শুরু করতে পারব । "