আগরতলা, 8 ডিসেম্বর : হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে । সেই ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে ৷ এরই মাঝে বাড়িতে আটকে রেখে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ত্রিপুরার শান্তিবাজারে ৷ 17 বছরের ওই কিশোরীকে 6 ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গণধর্ষণ করে এক যুবক ও তার বন্ধুরা ৷ গণধর্ষণের পর নির্যাতিতার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ 90 শতাংশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে তার মৃত্যু হয় ৷
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তের বাড়ি থেকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে জি বি পন্থ হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ অভিযোগ, ওই কিশোরীকে দুই মাস বাড়িতে আটকে রেখেছিল অভিযুক্ত ৷ নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের মায়ের বিরুদ্ধেও ৷ কিশোরীর মৃত্যুর পর অভিযুক্ত ও তার মায়ের উপর হামলা করে স্থানীয় লোকজন ।
নির্যাতিতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে অজয় রুদ্রপাল নামে অভিযুক্ত যুবক 50 হাজার টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অপহরণ করেছিল কিশোরীকে ৷ নির্যাতিতার পরিবার 17 হাজার টাকা দিয়েছিল ৷ পুরো টাকা না পেয়ে অভিযুক্ত যুবক এই কাজ করেছে বলে জানিয়েছে ওই কিশোরীর পরিবার ৷
আরও পড়ুন : 11 মাসে 86 ধর্ষণ উন্নাওয়ে! তীব্র সমালোচনার মুখে যোগী সরকার
দক্ষিণ ত্রিপুরার পুলিশ সুপার জল সিং মীনা বলেন, "প্রধান অভিযুক্ত অজয়কে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ তাকে শান্তিবাজার থানায় রাখা হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন : উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে বন্ধ ঘরে যৌনদাসী বানিয়ে রাখা হয়েছিল , অধিকার ছিল না আকাশ দেখার
নির্যাতিতার পরিবারের তরফে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনা হয়েছে ৷ নির্যাতিতার মা দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল ৷ এরপর মুক্তিপণের দাবি আসার পর তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । কিন্তু পুলিশের থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি ৷
নির্যাতিতার মা আরও জানিয়েছেন, "অভিযুক্ত অজয় বেঙ্গালুরুতে এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিল ৷ সে বাড়ি ফেরার পর দেখা করে নির্যাতিতার সঙ্গে ৷ এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী ৷ মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে অভিযুক্ত ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করেছে । "