ETV Bharat / city

সারাবছর পড়াশোনা করলে পরীক্ষার আগে রাত জাগতে হয় না : শ্রীরূপা

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের জবাব দিলেন।

শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি
author img

By

Published : Mar 28, 2019, 12:08 AM IST

মালদা, ২৭ মার্চ : তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও। আজ দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেইসব অভিযোগের জবাব দিলেন দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি।

আজ তাঁর সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র ও দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের আহ্বায়ক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আজ গোটা দেশের মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে দেশের যোগ্য কাণ্ডারি হিসাবে মেনে নিয়েছে। তিনি এবং দলের কেন্দ্রীয়, রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব আমাকে দক্ষিণ মালদার মতো কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড় করিয়েছেন। এর জন্য আমরা গর্বিত। দক্ষিণ মালদা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং আসন। বিশেষ করে এখানে গঙ্গার ভাঙন আছে, সুরক্ষার অভাব রয়েছে, গ্রামবাসীদের অধিকাংশই দাদন নিয়ে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যান, বিভিন্ন গ্রামে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের অভাব রয়েছে, বিশাল গঙ্গায় জেলেদের মাছ ধরার তেমন সুযোগ সুবিধে নেই, এমন অনেক সমস্যা রয়েছে এই কেন্দ্রে। এর সঙ্গে বেকারি, স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাবও রয়েছে। আমি এই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করেছি। আমার লক্ষ্যই হচ্ছে মালদায় নির্ভয় গ্রাম গড়ে তোলা। আমি দীর্ঘদিন ধরে খাদ্য নিরাপত্তা ও রোজগারের জন্য গ্রামেগঞ্জে পদযাত্রার মাধ্যমে মানুষকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করে চলেছি।"

ভিডিয়োয় শুনুন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরির বক্তব্য

তিনি আরও বলেন, " বিশ্ব নারী দিবসে আমি মালদায় ছিলাম। সেদিন সংখ্যালঘু মানুষজন আমাদের দলে যোগ দিচ্ছিল। তার 24 ঘণ্টার মধ্যেই সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার রবীন্দ্র সরোবর থানায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, আমি নাকি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছি। আমি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করছি। আমার জন্মভূমি, কর্মভূমি মালদা। সবসময় পাখির চোখ রেখেছি মালদার উপর। তাহলে আমি রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা কীভাবে বিঘ্নিত করলাম? কীভাবেই বা মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিলাম? এটা হাস্যকর।"

তিনি অভিযোগ করেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই রাজ্যের 50 শতাংশ মহিলা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। এই পার্টি অফিসে শত শত বিজয়ী BJP প্রার্থী প্রাণের ভয়ে পড়েছিলেন। 10 হাজারের বেশি কার্যকর্তা রাজ্য ছেড়ে বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। চারদিকে ভয়, শঙ্কা এবং সন্ত্রাসের পরিবেশ। এখানে গণতন্ত্র-রক্ষা যাত্রা করতে দেওয়া হয়নি। দলের রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষকে নামতে দেওয়া হয়নি। এটা বিরোধীদের যে কোনও উপায়ে রুখে দেওয়ার চক্রান্ত। তিনি নিজেও তার শিকার। আসলে জেলায় সব স্তরের মানুষের মধ্যে BJP-কে নিয়ে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। আর তাতেই ভয় পাচ্ছে শাসকদল। সেই উৎসাহ রুখতেই এইসব চক্রান্ত। তিনি বলেন, "গতকাল থেকে আমার কাছে ফোন আসছে। আমার স্বামী রামকৃষ্ণ মিত্র নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি নাকি চক্রান্ত করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পশ্চিমবঙ্গের পিছনে লাগিয়ে দিচ্ছেন। এটা হাস্যকর। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন প্রায় দেড় বছর ধরে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে দীর্ঘ আলোচনার পর নির্ণয় করেন কোন রাজ্যে কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন। এই রাজ্যে কী ধরনের, কতটা কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন তা নির্ধারিত করার একমাত্র অধিকারী কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশ অনুয়ায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই সংখ্যক বাহিনী রাজ্যে পাঠিয়েছে। সেই নিয়মের বাইরে গিয়ে আমার স্বামী কোনও কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তিনি শুধু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা। ফলে এই অভিযোগও হাস্যকর। আসলে যে নির্ভয়দিদি 24 ঘণ্টা, 24 দিন অনশন করতে পারেন। হাজার হাজার কিলোমিটার হাঁটতে পারেন। তাঁকে ভয় পাচ্ছে শাসক।"

  • 2012 দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং শ্রীরূপাকে মহিলাদের জন্য কাজ করার বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাঁকে স্পেশাল টাস্কফোর্সের চেয়ারপার্সন করা হয়েছিল।
  • 2014 লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিল্লি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
  • 2015 তিনি BJP-তে যোগ দেন।
  • 2019 তিনি দক্ষিণ মালদার BJP প্রার্থী।

তাই এবার তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কে হতে যাচ্ছে?

শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন, "আমি দীর্ঘ সময় ধরে সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত। সবাই আমাকে নিরপেক্ষ সমাজসেবী হিসাবেই চেনে। আমি চোখে চশমা পরে কাজ করি না। আমার লক্ষ্য, মানুষের উন্নয়ন। আমার মনে হয়েছে BJP একটি আদর্শবাদী পার্টি। রাজনীতি ছাড়া মানুষের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। ড্রেনে নেমেই সেটা পরিষ্কার করতে হবে।"

তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে মালদা জেলা BJP-তে চাপা অসন্তোষ রয়েছে। এবিষয়ে কী বলবেন?
শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন,"আমি এই নিয়ে কোনও ক্ষোভ- বিক্ষোভ দেখতে পাইনি। উলটে প্রচুর নেতা-কর্মী আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন। কার্যকর্তাদের মধ্যেও অসম্ভব উৎসাহ লক্ষ্য করেছি। তাছাড়া কে কোন জায়গায় ভোটে দাঁড়াবে তা ঠিক করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। কিন্তু পার্টিতে সবাই এক। দলের প্রার্থীকে জেতানোই আমাদের সবার উদ্দেশ্য।"

আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আপনি ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে ভালোবাসেন। সেইজন্যই বারবার দলবদল করেন। কী বলবেন?
শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন, "বিরোধীরা যা ইচ্ছে বলতে পারে। উড়ো কথা শুনে তাঁরা উড়ো কথা বলেন। তবে এখন ভোটের বাজার। তাঁদেরও নতুন নতুন ইশু তৈরি করতে হবে। আর যাঁরা জিততে পারেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই ইশু তৈরি করা হয়। তবে আমার মনে হয়, এবার ভোটাররা কারোর পকেটে নেই।"

সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে 506 নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ। আলিপুর আদালত থেকে সেই মামলায় জামিন পেয়ে গতকাল রাতে মালদায় আসেন তিনি।

এত দেরি হয়ে যাওয়ায় প্রচারে কি প্রভাব পড়বে না?

শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন, "যারা সারা বছর পড়াশোনা করে, তাদের পরীক্ষার আগে রাত জাগতে হয় না।"

মালদা, ২৭ মার্চ : তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও। আজ দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেইসব অভিযোগের জবাব দিলেন দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি।

আজ তাঁর সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র ও দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের আহ্বায়ক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আজ গোটা দেশের মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে দেশের যোগ্য কাণ্ডারি হিসাবে মেনে নিয়েছে। তিনি এবং দলের কেন্দ্রীয়, রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব আমাকে দক্ষিণ মালদার মতো কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড় করিয়েছেন। এর জন্য আমরা গর্বিত। দক্ষিণ মালদা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং আসন। বিশেষ করে এখানে গঙ্গার ভাঙন আছে, সুরক্ষার অভাব রয়েছে, গ্রামবাসীদের অধিকাংশই দাদন নিয়ে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যান, বিভিন্ন গ্রামে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের অভাব রয়েছে, বিশাল গঙ্গায় জেলেদের মাছ ধরার তেমন সুযোগ সুবিধে নেই, এমন অনেক সমস্যা রয়েছে এই কেন্দ্রে। এর সঙ্গে বেকারি, স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাবও রয়েছে। আমি এই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করেছি। আমার লক্ষ্যই হচ্ছে মালদায় নির্ভয় গ্রাম গড়ে তোলা। আমি দীর্ঘদিন ধরে খাদ্য নিরাপত্তা ও রোজগারের জন্য গ্রামেগঞ্জে পদযাত্রার মাধ্যমে মানুষকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করে চলেছি।"

ভিডিয়োয় শুনুন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরির বক্তব্য

তিনি আরও বলেন, " বিশ্ব নারী দিবসে আমি মালদায় ছিলাম। সেদিন সংখ্যালঘু মানুষজন আমাদের দলে যোগ দিচ্ছিল। তার 24 ঘণ্টার মধ্যেই সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার রবীন্দ্র সরোবর থানায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, আমি নাকি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছি। আমি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করছি। আমার জন্মভূমি, কর্মভূমি মালদা। সবসময় পাখির চোখ রেখেছি মালদার উপর। তাহলে আমি রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা কীভাবে বিঘ্নিত করলাম? কীভাবেই বা মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিলাম? এটা হাস্যকর।"

তিনি অভিযোগ করেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই রাজ্যের 50 শতাংশ মহিলা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। এই পার্টি অফিসে শত শত বিজয়ী BJP প্রার্থী প্রাণের ভয়ে পড়েছিলেন। 10 হাজারের বেশি কার্যকর্তা রাজ্য ছেড়ে বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। চারদিকে ভয়, শঙ্কা এবং সন্ত্রাসের পরিবেশ। এখানে গণতন্ত্র-রক্ষা যাত্রা করতে দেওয়া হয়নি। দলের রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষকে নামতে দেওয়া হয়নি। এটা বিরোধীদের যে কোনও উপায়ে রুখে দেওয়ার চক্রান্ত। তিনি নিজেও তার শিকার। আসলে জেলায় সব স্তরের মানুষের মধ্যে BJP-কে নিয়ে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। আর তাতেই ভয় পাচ্ছে শাসকদল। সেই উৎসাহ রুখতেই এইসব চক্রান্ত। তিনি বলেন, "গতকাল থেকে আমার কাছে ফোন আসছে। আমার স্বামী রামকৃষ্ণ মিত্র নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি নাকি চক্রান্ত করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পশ্চিমবঙ্গের পিছনে লাগিয়ে দিচ্ছেন। এটা হাস্যকর। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন প্রায় দেড় বছর ধরে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে দীর্ঘ আলোচনার পর নির্ণয় করেন কোন রাজ্যে কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন। এই রাজ্যে কী ধরনের, কতটা কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন তা নির্ধারিত করার একমাত্র অধিকারী কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশ অনুয়ায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই সংখ্যক বাহিনী রাজ্যে পাঠিয়েছে। সেই নিয়মের বাইরে গিয়ে আমার স্বামী কোনও কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তিনি শুধু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা। ফলে এই অভিযোগও হাস্যকর। আসলে যে নির্ভয়দিদি 24 ঘণ্টা, 24 দিন অনশন করতে পারেন। হাজার হাজার কিলোমিটার হাঁটতে পারেন। তাঁকে ভয় পাচ্ছে শাসক।"

  • 2012 দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং শ্রীরূপাকে মহিলাদের জন্য কাজ করার বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাঁকে স্পেশাল টাস্কফোর্সের চেয়ারপার্সন করা হয়েছিল।
  • 2014 লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিল্লি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
  • 2015 তিনি BJP-তে যোগ দেন।
  • 2019 তিনি দক্ষিণ মালদার BJP প্রার্থী।

তাই এবার তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কে হতে যাচ্ছে?

শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন, "আমি দীর্ঘ সময় ধরে সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত। সবাই আমাকে নিরপেক্ষ সমাজসেবী হিসাবেই চেনে। আমি চোখে চশমা পরে কাজ করি না। আমার লক্ষ্য, মানুষের উন্নয়ন। আমার মনে হয়েছে BJP একটি আদর্শবাদী পার্টি। রাজনীতি ছাড়া মানুষের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। ড্রেনে নেমেই সেটা পরিষ্কার করতে হবে।"

তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে মালদা জেলা BJP-তে চাপা অসন্তোষ রয়েছে। এবিষয়ে কী বলবেন?
শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন,"আমি এই নিয়ে কোনও ক্ষোভ- বিক্ষোভ দেখতে পাইনি। উলটে প্রচুর নেতা-কর্মী আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন। কার্যকর্তাদের মধ্যেও অসম্ভব উৎসাহ লক্ষ্য করেছি। তাছাড়া কে কোন জায়গায় ভোটে দাঁড়াবে তা ঠিক করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। কিন্তু পার্টিতে সবাই এক। দলের প্রার্থীকে জেতানোই আমাদের সবার উদ্দেশ্য।"

আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আপনি ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে ভালোবাসেন। সেইজন্যই বারবার দলবদল করেন। কী বলবেন?
শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন, "বিরোধীরা যা ইচ্ছে বলতে পারে। উড়ো কথা শুনে তাঁরা উড়ো কথা বলেন। তবে এখন ভোটের বাজার। তাঁদেরও নতুন নতুন ইশু তৈরি করতে হবে। আর যাঁরা জিততে পারেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই ইশু তৈরি করা হয়। তবে আমার মনে হয়, এবার ভোটাররা কারোর পকেটে নেই।"

সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে 506 নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ। আলিপুর আদালত থেকে সেই মামলায় জামিন পেয়ে গতকাল রাতে মালদায় আসেন তিনি।

এত দেরি হয়ে যাওয়ায় প্রচারে কি প্রভাব পড়বে না?

শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন, "যারা সারা বছর পড়াশোনা করে, তাদের পরীক্ষার আগে রাত জাগতে হয় না।"

Intro:মালদা, ১১ মার্চ : যুবকের আত্মহত্যায় আইন নিজেদের হাতে তুলে নিলেন মালদা শহরের বাসিন্দারা৷ অভিযোগ, নেশায় আসক্ত হয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক৷ আরও অভিযোগ, যুব সমাজকে নেশায় ডুব দিতে সাহায্য করছে স্থানীয় একটি ওষুধের দোকান৷ তাই এই আত্মহত্যার ঘটনা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত জনতা ভাঙচুর চালায় ওই ওষুধের দোকানে৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদা শহরের মীরচক এলাকায়৷Body:মৃত যুবকের নাম রোহিত শেখ৷ বয়স ১৮৷ বাড়ি ইংরেজবাজার পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধুলিপাড়ায়৷ বাবা আজিম শেখ শ্রমিকের কাজ করেন৷ অভিযোগ, মীরচকের বেশ কয়েকটি ওষুধের দোকানে বেআইনিভাবে মাদক বিক্রি হয়৷ সেই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন রোহিত৷ গতকাল রাত দুটো নাগাদ নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি৷ নেশার ঝোঁকে আত্মহত্যা করার খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ আজ সকালে স্থানীয় মানুষজন ওই ওষুধের দোকানে ভাঙচুর চালায়৷ দোকান থেকে মাদক কাফসিরাপ সহ একাধিক মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা৷
         আজিম শেখ জানান, তিনি সারাদিন বাইরে কাজ করেন৷ সেই সময় তাঁর ছেলে ট্যাবলেট ও মাদক কফসিরাপের নেশা করত৷ বর্তমানে মাদকদ্রব্যে ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা৷ দিনে প্রায় ৪-৫ পাতা ট্যাবলেট নিত তাঁর ছেলে৷ কয়েকদিন আগেই তাঁরা জানতে পারেন, এলাকারই একটি ওষুধের দোকানে এসব মাদক বিক্রি হয়৷ গতকাল রাতে তাঁর ছেলে নেশার ঝোঁকে গলায় ফাঁস গালিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ আজ স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দোকানে ভাঙচুর করে৷ সমস্ত মাদক দ্রব্য পুড়িয়ে দেয়৷ স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন শেখ জানান, রোহিতকে ধরে তাঁদের এলাকায় নেশাগ্রস্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত চারজন মারা গিয়েছে৷ এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে৷ অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ খবর পেলে পুলিশ বিক্রেতাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে৷ মাদকও বাজেয়াপ্ত করছে৷ কিন্তু ৪-৫ দিন পরে মাদক সহ বিক্রেতাদের ফের ছেড়ে দিচ্ছে৷ এলাকার বেশিরভাগ যুবক এখন ভয়ংকরভাবে মাদকাসক্ত৷ তাঁরা চান, পুলিশ এই মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক৷
Conclusion:ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ তাই আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.