ETV Bharat / city

যুবতিকে গণপ্রহার, উদ্ধারে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

author img

By

Published : Aug 7, 2020, 3:57 AM IST

ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবতিকে আটকে রাখে গ্রামবাসীরা ৷ তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও ৷ ঘটনাটি কালিয়াচক 2 ব্লকের চকপ্রতাপপুর গ্রামের ৷

malda police
যুবতিকে রক্ষা করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

মালদা, 7 অগাস্ট : এক যুবতিকে উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ ৷ গ্রামবাসীদের হামলায় জখম হয়েছেন তিন পুলিশকর্মী ও 10 সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের দুটি গাড়িও ৷ বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে কালিয়াচক 2 ব্লকের চকপ্রতাপপুর গ্রামে ৷ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে 26 জনকে গ্রেপ্তার করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ৷ ধৃতদের বৃহস্পতিবার জেলা আদালতে পেশ করা হলে সবার জামিনের আবেদন নাকচ করে 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে চকপ্রতাপপুর গ্রামে এক অচেনা যুবতিকে দেখতে পাওয়া যায় ৷ ওই যুবতি নাকি গ্রামের একটি বাচ্চা ছেলেকে ভুল বুঝিয়ে একটি লিচুবাগানে নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ সেই দৃশ্য দেখে ফেলে এলাকার কয়েকজন যুবক ৷ তারা বাগানে গিয়ে ওই যুবতিকে ধরে ফেলে ৷ এই খবর চাউর হতেই এলাকায় ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়ে ৷ বেশি রাতেও চকপ্রতাপপুর সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঘটনাস্থানে চলে আসে ৷ ওই যুবতিকে মারধর শুরু হয় ৷ খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ৷ পুলিশকর্মীরা ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের হাত থেকে ওই যুবতিকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে জনরোষ আছড়ে পড়ে পুলিশের উপর ৷ শুরু হয়ে যায় ইটবৃষ্টি ৷ খবর পেয়ে থানা থেকে ঘটনাস্থানে ছুটে আসে আরও পুলিশ ৷ কিন্তু তাতেও জনরোষ কমানো যায়নি ৷ ইটের আঘাতে মাথা ফাটে কনস্টেবল সুভাষ টুডুর ৷ আহত হন দুই ASI শ্যামল বর্মণ, দ্বিজেন রবিদাস এবং 10 জন সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ গ্রামবাসীরা OC-র গাড়ি সহ আরও একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় ৷ কোনওরকমে ওই যুবতিকে উদ্ধার করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে পুলিশ ৷ যুবতি সহ আহতদের সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বাঙ্গিটোলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৷

এই ঘটনায় মোথাবাড়ি থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা রুজু করেছে ৷ বৃহস্পতিবার দিনভর ধরপাকড় চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে 26 জনকে ৷ OC বিটুন পাল জানিয়েছেন, “ছেলেধরা সন্দেহে গ্রামবাসীরা এক যুবতিকে আটকে রেখেছিল ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে যায় ৷ ওই যুবতিকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় ৷ তাতে তিন পুলিশকর্মী সহ মোট 13 জন আহত হয়েছেন ৷ গ্রামবাসীরা পুলিশের দুটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছে ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 26 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এদিন তাদের জেলা আদালতে তোলা হয়েছে৷ গোটা ঘটনার পুলিশি তদন্ত জারি রয়েছে৷”

ঘটনাপ্রসঙ্গে কালিয়াচক 2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কু রহমান বিশ্বাস বলেন, “ছেলেধরা গুজবের জেরেই গতকাল রাতে এই ঘটনা ঘটেছে৷ ওই যুবতি অপরিচিত৷ তিনি নাকি একটি ছেলেকে ভুল বুঝিয়ে লিচুবাগানে নিয়ে গিয়েছিলেন৷ ওই যুবতিকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের উপর জনতার রোষ আছড়ে পড়ে৷ তবে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা অনভিপ্রেত৷ এটা মেনে নেওয়া যায় না৷ তবে এই ঘটনায় পুলিশ অনেক নিরাপরাধ মানুষকেও গ্রেপ্তার করেছে ৷ আমি গোটা ঘটনায় যথাযথ পুলিশি তদন্তের দাবি জানাচ্ছি৷”

মালদা, 7 অগাস্ট : এক যুবতিকে উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ ৷ গ্রামবাসীদের হামলায় জখম হয়েছেন তিন পুলিশকর্মী ও 10 সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের দুটি গাড়িও ৷ বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে কালিয়াচক 2 ব্লকের চকপ্রতাপপুর গ্রামে ৷ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে 26 জনকে গ্রেপ্তার করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ৷ ধৃতদের বৃহস্পতিবার জেলা আদালতে পেশ করা হলে সবার জামিনের আবেদন নাকচ করে 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে চকপ্রতাপপুর গ্রামে এক অচেনা যুবতিকে দেখতে পাওয়া যায় ৷ ওই যুবতি নাকি গ্রামের একটি বাচ্চা ছেলেকে ভুল বুঝিয়ে একটি লিচুবাগানে নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ সেই দৃশ্য দেখে ফেলে এলাকার কয়েকজন যুবক ৷ তারা বাগানে গিয়ে ওই যুবতিকে ধরে ফেলে ৷ এই খবর চাউর হতেই এলাকায় ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়ে ৷ বেশি রাতেও চকপ্রতাপপুর সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঘটনাস্থানে চলে আসে ৷ ওই যুবতিকে মারধর শুরু হয় ৷ খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ৷ পুলিশকর্মীরা ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের হাত থেকে ওই যুবতিকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে জনরোষ আছড়ে পড়ে পুলিশের উপর ৷ শুরু হয়ে যায় ইটবৃষ্টি ৷ খবর পেয়ে থানা থেকে ঘটনাস্থানে ছুটে আসে আরও পুলিশ ৷ কিন্তু তাতেও জনরোষ কমানো যায়নি ৷ ইটের আঘাতে মাথা ফাটে কনস্টেবল সুভাষ টুডুর ৷ আহত হন দুই ASI শ্যামল বর্মণ, দ্বিজেন রবিদাস এবং 10 জন সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ গ্রামবাসীরা OC-র গাড়ি সহ আরও একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় ৷ কোনওরকমে ওই যুবতিকে উদ্ধার করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে পুলিশ ৷ যুবতি সহ আহতদের সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বাঙ্গিটোলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৷

এই ঘটনায় মোথাবাড়ি থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা রুজু করেছে ৷ বৃহস্পতিবার দিনভর ধরপাকড় চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে 26 জনকে ৷ OC বিটুন পাল জানিয়েছেন, “ছেলেধরা সন্দেহে গ্রামবাসীরা এক যুবতিকে আটকে রেখেছিল ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে যায় ৷ ওই যুবতিকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় ৷ তাতে তিন পুলিশকর্মী সহ মোট 13 জন আহত হয়েছেন ৷ গ্রামবাসীরা পুলিশের দুটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছে ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 26 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এদিন তাদের জেলা আদালতে তোলা হয়েছে৷ গোটা ঘটনার পুলিশি তদন্ত জারি রয়েছে৷”

ঘটনাপ্রসঙ্গে কালিয়াচক 2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কু রহমান বিশ্বাস বলেন, “ছেলেধরা গুজবের জেরেই গতকাল রাতে এই ঘটনা ঘটেছে৷ ওই যুবতি অপরিচিত৷ তিনি নাকি একটি ছেলেকে ভুল বুঝিয়ে লিচুবাগানে নিয়ে গিয়েছিলেন৷ ওই যুবতিকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের উপর জনতার রোষ আছড়ে পড়ে৷ তবে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা অনভিপ্রেত৷ এটা মেনে নেওয়া যায় না৷ তবে এই ঘটনায় পুলিশ অনেক নিরাপরাধ মানুষকেও গ্রেপ্তার করেছে ৷ আমি গোটা ঘটনায় যথাযথ পুলিশি তদন্তের দাবি জানাচ্ছি৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.