কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর: দীর্ঘ বৈঠকের পর একাধিক দাবি মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু তাঁর নির্দেশ কার্যকর না-হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে ৷ সেই সঙ্গে, অবস্থান বিক্ষোভও চলবে স্বাস্থ্যভবনের সামনে ৷ কালীঘাট থেকে ধরনামঞ্চে ফিরে সাফ জানিয়ে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গত 38 দিন ধরে আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি ৷ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে 5 দফা দাবি নিয়ে শেষ 7 দিন ধরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে বারবার আলোচনার চেষ্টাও করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
একের পর এক ইমেল করেও ভেস্তে যায় দু'পক্ষের বৈঠক ৷ সরকারের তরফে জানানো হয়, সোমবার শেষ চেষ্টা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী ৷ মুখ্যসচিবের সেই ডাকে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যান আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ দু'পক্ষের মধ্যে চলে প্রায় 5 ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক ৷ তারপর আনন্দে মেতে ওঠেন চিকিৎসকরা ৷ বৈঠক থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানান, আন্দোলনের বড় জয় হয়েছে ৷ তবে আন্দোলন চলবে ৷ চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, "সরকার আমাদের দাবিগুলো মানতে বাধ্য হয়েছে । তবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে এখনও কোনও অর্ডার কপি হাতে পাওয়া যায়নি ৷ সুতরাং অর্ডার কপি না-পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে । মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে ৷ সেই দিকেও নজর থাকবে আমাদের ৷"
চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, "ডিসি নর্থের প্রসঙ্গ যখন উঠে আসে খুব লজ্জাজনকভাবে উনি মাথা নত করতে বাধ্য হন ৷ সন্দীপ ঘোষ কে ? তাঁর এত বারবাড়ন্ত কেন ? কার নির্দেশে ওইদিন ঘর ভাঙা হয়েছিল ? স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা দু'জনকে সরিয়ে দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন । কিন্তু কেন স্বাস্থ্য সচিবকে সরানো হবে না ? সে প্রশ্নও আমরা তুলেছি ।" মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তার জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন । সেই সঙ্গে, কিছু টাকাও অনুমোদন করেছেন ।