ETV Bharat / city

"এবার লক্ষ্য কাশী-বিশ্বনাথ পুনরুদ্ধার", বলছেন মালদায় করসেবক দম্পতি

author img

By

Published : Aug 5, 2020, 5:40 PM IST

"...আজ যে কী আনন্দ হচ্ছে, তা বলে বোঝাতে পারব না ৷ আজ আমাদের স্বপ্ন পূরণ হল ৷ " অযোধ্যায় ভূমিপুজো নিয়ে বললেন মালদার নন্দী দম্পতি ।

Malda news
মালদার নন্দী দম্পতি

মালদা, 5 অগাস্ট : অযোধ্যায় সাজো সাজো রব ৷ চলছে রাম মন্দিরের ভূমিপূজো ৷ খোদ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজ সেখানে রামমন্দিরের ভূমিপুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৷ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের মধ্যে লাগামছাড়া উচ্ছ্বাস ৷ এই রাজ্যে তার খুব একটা সুযোগ অবশ্য নেই ৷ কারণ, কোরোনা মোকাবিলায় আজ রাজ্যে জারি রয়েছে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ৷ তবু তার মধ্যেই আজ সকালে ইংরেজবাজার পৌরসভার 3 নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চপল্লি এলাকায় ছোট্ট এক অনুষ্ঠানে সেই উচ্ছ্বাসের শরিক হয়েছিলেন কয়েকজন ৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন নন্দী দম্পতি ৷ 1992 সালের 6 ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসে হাত লাগিয়েছিলেন তাঁরাও ৷ প্রাচীন ইতিহাস ধুলিস্মাৎ করতে হাতে লোহার রড তুলে নিয়েছিলেন তাঁরা ৷ এবার তাঁদের লক্ষ্য কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ও মথুরার কৃষ্ণমন্দির পুনরুদ্ধার করা ৷ আজ 27 বছর পর সেই ঘটনার স্মৃতিচারনায় দম্পতি ।

1528 সাল । অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তৈরি করেছিলেন মুঘল বাদশা বাবরের সেনাপতি মীর বাঁকি ৷ মসজিদ নির্মাণের পর থেকেই হিন্দু সমাজের পক্ষ থেকে দাবি উঠতে শুরু করে, ওই জায়গাতেই রামচন্দ্রের জন্ম হয়েছিল ৷ 1853 সালে এই বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রথমবার হিংসার ঘটনা ঘটে ৷ সেবছরই তৎকালীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসন ওই জায়গায় বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর উপাসনার জায়গা নির্ধারিত করে দেয় ৷ 1949 সালে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ প্রবলভাবে মাথাচাড়া দেয়৷ দেশের তৎকালীন সরকার ওই চত্বর বিতর্কিত বলে ঘোষণা করে মসজিদের দরজা বন্ধ করে দেয় ৷ এরপর 1984 সাল । ওই বিতর্কিত জায়গায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ৷ মন্দির নির্মাণের জন্য 1990 সালের 25 সেপ্টেম্বর গুজরাতের সোমনাথ মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু করেন BJP নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি৷ 1991 সালে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসে BJP ৷ মন্দির নির্মাণের প্রক্রিয়া আরও গতি পায় ৷ এরপর আসে 1992 সালের 6 ডিসেম্বর । প্রায় লাখ দুয়েক করসেবকের উপস্থিতিতে ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদ ৷ এরপর এ-নিয়ে একাধিক মামলা হয় ৷ 2003 সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে বিতর্কিত 2.77 একর জায়গায় জরিপের কাজ শুরু করে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ৷ উদ্দেশ্য ছিল, সেখানে কোনও মন্দিরের স্থাপত্য রয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখা ৷ সেখানে মন্দিরের অস্তিত্ব খুঁজে পায় ASI ৷ অবশেষে 2019 সালের 9 নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের রায় ঘোষণা করে ৷ আজ সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে অনুষ্ঠিত হল প্রস্তাবিত রামমন্দিরের ভূমিপূজোর অনুষ্ঠান৷

রামমন্দিরের ভিত্তি-প্রস্তর স্থাপনের দিনে স্মৃতিচারণ করসেবক দম্পতির...

27 বছর ধরে এই দিনটিরই অপেক্ষায় ছিলেন চন্দনাদেবী ৷ আজ তিনি বলেন, "এই দিনটার জন্যই এতদিন অপেক্ষা করছিলাম । আজ যে কী আনন্দ হচ্ছে, তা বলে বোঝাতে পারব না ৷ আজ আমাদের স্বপ্ন পূরণ হল ৷ 1992 সালের 29 নভেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দিই ৷ 1 ডিসেম্বর সন্ধেয় সেখানে পৌঁছোই ৷ পরদিন সকালে সরযূ নদীতে স্নান করে বিনয় কাটিয়ারের নির্দেশ মতো নদীর বালি নিয়ে মন্দিরে যাই ৷ কয়েকদিন সেখানেই ছিলাম ৷ 6 তারিখ সকালেই মসজিদের সামনে চলে যাই ৷ তখন সেখানে লাখ লাখ মানুষ ৷ সেদিনই ধুলিস্মাৎ হয় বাবরি মসজিদ ৷" তবে সেদিন তাঁদের হাতে ভারতের যে ইতিহাস মাটিতে মিশে গেছিল, তা নিয়ে বিশেষ কিছু মন্তব্য করেননি চন্দনাদেবী ৷ শুধু বলেন, "ওটা কখনোই মসজিদ ছিল না ৷ ওই জায়গা রামচন্দ্রের জন্মভূমি ৷ তাই আমরা করসেবক হিসাবে সেখানে গেছিলাম ৷ মসজিদ ভেঙে রামের জন্মভূমি পুনরুদ্ধার করেছিলাম ৷" একই প্রশ্ন করা হলে চন্দনাদেবীর স্বামী প্রণামীবাবু ওরফে জনা নন্দী বলেন, "এই ঘটনা ধর্মের জন্য হয়নি ৷ রাম আমাদের চিরদিনের মহাপুরুষ ৷ তাঁর জন্মস্থানে মন্দির ছিল ৷ বাবর সেই মন্দির লুট করে মসজিদ নির্মাণ করিয়েছিল ৷ তাই আমরা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে রামচন্দ্রের জন্মস্থান পুনরুদ্ধার করতে সেখানে গেছিলাম ৷ আমরা ঠিকই করে নিয়েছিলাম, প্রাণ যায় যাক, কিন্তু ভগবান রামচন্দ্রের জন্মস্থান পুনরুদ্ধার করতে হবে ৷ মসজিদ ভাঙতে আমরাও হাত লাগিয়েছিলাম ৷ আমরা দেখেছি, মসজিদের ইটে স্বস্তিক ও গদার চিহ্ন ৷ মসজিদের মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছিল বিশাল তামার কলসি, সাড়ে 4 ফুটের বিষ্ণুমূর্তি, বিশাল আকৃতির ঘণ্টা, কিছু মোহর ও মানুষের বিশাল আকারের মাথার খুলি ৷ এসব দেখে আমরা নিশ্চিত হয়ে যাই, সেখানে মন্দির ভেঙেই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল ৷ তাই মসজিদ ভেঙে আমাদের আনন্দের সীমা ছিল না ৷ আজ সেই জায়গায় রাম মন্দিরের ভূমিপূজো হচ্ছে৷ আমাদের করসেবা আজ সার্থক হল ৷" তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হলেই কি দেশের সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে? তাঁর উত্তর, "সমস্যা মিটতেও পারে কিংবা নাও মিটতে পারে ৷ তবে দেশের কিছু ভালো হবে ৷ এরপর আমাদের লক্ষ্য কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ও মথুরার কৃষ্ণমন্দির পুনরুদ্ধার করা ৷ তার জন্য আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে ৷"

মালদা, 5 অগাস্ট : অযোধ্যায় সাজো সাজো রব ৷ চলছে রাম মন্দিরের ভূমিপূজো ৷ খোদ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজ সেখানে রামমন্দিরের ভূমিপুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৷ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের মধ্যে লাগামছাড়া উচ্ছ্বাস ৷ এই রাজ্যে তার খুব একটা সুযোগ অবশ্য নেই ৷ কারণ, কোরোনা মোকাবিলায় আজ রাজ্যে জারি রয়েছে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ৷ তবু তার মধ্যেই আজ সকালে ইংরেজবাজার পৌরসভার 3 নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চপল্লি এলাকায় ছোট্ট এক অনুষ্ঠানে সেই উচ্ছ্বাসের শরিক হয়েছিলেন কয়েকজন ৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন নন্দী দম্পতি ৷ 1992 সালের 6 ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসে হাত লাগিয়েছিলেন তাঁরাও ৷ প্রাচীন ইতিহাস ধুলিস্মাৎ করতে হাতে লোহার রড তুলে নিয়েছিলেন তাঁরা ৷ এবার তাঁদের লক্ষ্য কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ও মথুরার কৃষ্ণমন্দির পুনরুদ্ধার করা ৷ আজ 27 বছর পর সেই ঘটনার স্মৃতিচারনায় দম্পতি ।

1528 সাল । অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তৈরি করেছিলেন মুঘল বাদশা বাবরের সেনাপতি মীর বাঁকি ৷ মসজিদ নির্মাণের পর থেকেই হিন্দু সমাজের পক্ষ থেকে দাবি উঠতে শুরু করে, ওই জায়গাতেই রামচন্দ্রের জন্ম হয়েছিল ৷ 1853 সালে এই বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রথমবার হিংসার ঘটনা ঘটে ৷ সেবছরই তৎকালীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসন ওই জায়গায় বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর উপাসনার জায়গা নির্ধারিত করে দেয় ৷ 1949 সালে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ প্রবলভাবে মাথাচাড়া দেয়৷ দেশের তৎকালীন সরকার ওই চত্বর বিতর্কিত বলে ঘোষণা করে মসজিদের দরজা বন্ধ করে দেয় ৷ এরপর 1984 সাল । ওই বিতর্কিত জায়গায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ৷ মন্দির নির্মাণের জন্য 1990 সালের 25 সেপ্টেম্বর গুজরাতের সোমনাথ মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু করেন BJP নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি৷ 1991 সালে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসে BJP ৷ মন্দির নির্মাণের প্রক্রিয়া আরও গতি পায় ৷ এরপর আসে 1992 সালের 6 ডিসেম্বর । প্রায় লাখ দুয়েক করসেবকের উপস্থিতিতে ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদ ৷ এরপর এ-নিয়ে একাধিক মামলা হয় ৷ 2003 সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে বিতর্কিত 2.77 একর জায়গায় জরিপের কাজ শুরু করে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ৷ উদ্দেশ্য ছিল, সেখানে কোনও মন্দিরের স্থাপত্য রয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখা ৷ সেখানে মন্দিরের অস্তিত্ব খুঁজে পায় ASI ৷ অবশেষে 2019 সালের 9 নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের রায় ঘোষণা করে ৷ আজ সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে অনুষ্ঠিত হল প্রস্তাবিত রামমন্দিরের ভূমিপূজোর অনুষ্ঠান৷

রামমন্দিরের ভিত্তি-প্রস্তর স্থাপনের দিনে স্মৃতিচারণ করসেবক দম্পতির...

27 বছর ধরে এই দিনটিরই অপেক্ষায় ছিলেন চন্দনাদেবী ৷ আজ তিনি বলেন, "এই দিনটার জন্যই এতদিন অপেক্ষা করছিলাম । আজ যে কী আনন্দ হচ্ছে, তা বলে বোঝাতে পারব না ৷ আজ আমাদের স্বপ্ন পূরণ হল ৷ 1992 সালের 29 নভেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দিই ৷ 1 ডিসেম্বর সন্ধেয় সেখানে পৌঁছোই ৷ পরদিন সকালে সরযূ নদীতে স্নান করে বিনয় কাটিয়ারের নির্দেশ মতো নদীর বালি নিয়ে মন্দিরে যাই ৷ কয়েকদিন সেখানেই ছিলাম ৷ 6 তারিখ সকালেই মসজিদের সামনে চলে যাই ৷ তখন সেখানে লাখ লাখ মানুষ ৷ সেদিনই ধুলিস্মাৎ হয় বাবরি মসজিদ ৷" তবে সেদিন তাঁদের হাতে ভারতের যে ইতিহাস মাটিতে মিশে গেছিল, তা নিয়ে বিশেষ কিছু মন্তব্য করেননি চন্দনাদেবী ৷ শুধু বলেন, "ওটা কখনোই মসজিদ ছিল না ৷ ওই জায়গা রামচন্দ্রের জন্মভূমি ৷ তাই আমরা করসেবক হিসাবে সেখানে গেছিলাম ৷ মসজিদ ভেঙে রামের জন্মভূমি পুনরুদ্ধার করেছিলাম ৷" একই প্রশ্ন করা হলে চন্দনাদেবীর স্বামী প্রণামীবাবু ওরফে জনা নন্দী বলেন, "এই ঘটনা ধর্মের জন্য হয়নি ৷ রাম আমাদের চিরদিনের মহাপুরুষ ৷ তাঁর জন্মস্থানে মন্দির ছিল ৷ বাবর সেই মন্দির লুট করে মসজিদ নির্মাণ করিয়েছিল ৷ তাই আমরা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে রামচন্দ্রের জন্মস্থান পুনরুদ্ধার করতে সেখানে গেছিলাম ৷ আমরা ঠিকই করে নিয়েছিলাম, প্রাণ যায় যাক, কিন্তু ভগবান রামচন্দ্রের জন্মস্থান পুনরুদ্ধার করতে হবে ৷ মসজিদ ভাঙতে আমরাও হাত লাগিয়েছিলাম ৷ আমরা দেখেছি, মসজিদের ইটে স্বস্তিক ও গদার চিহ্ন ৷ মসজিদের মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছিল বিশাল তামার কলসি, সাড়ে 4 ফুটের বিষ্ণুমূর্তি, বিশাল আকৃতির ঘণ্টা, কিছু মোহর ও মানুষের বিশাল আকারের মাথার খুলি ৷ এসব দেখে আমরা নিশ্চিত হয়ে যাই, সেখানে মন্দির ভেঙেই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল ৷ তাই মসজিদ ভেঙে আমাদের আনন্দের সীমা ছিল না ৷ আজ সেই জায়গায় রাম মন্দিরের ভূমিপূজো হচ্ছে৷ আমাদের করসেবা আজ সার্থক হল ৷" তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হলেই কি দেশের সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে? তাঁর উত্তর, "সমস্যা মিটতেও পারে কিংবা নাও মিটতে পারে ৷ তবে দেশের কিছু ভালো হবে ৷ এরপর আমাদের লক্ষ্য কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ও মথুরার কৃষ্ণমন্দির পুনরুদ্ধার করা ৷ তার জন্য আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.