ETV Bharat / city

Fulbaria Panchayat Scam: ইংরেজবাজারে ফুলবাড়িয়া পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ, জেলাশসাককে তদন্তের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টের

ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ৷ যে ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন মালদার জেলাশাসক (Investigation Against Fulbaria Panchayat Pradhan) ৷

Investigation Against Fulbaria Panchayat Pradhan Over Corruption Allegation
Investigation Against Fulbaria Panchayat Pradhan Over Corruption Allegation
author img

By

Published : Sep 10, 2022, 6:27 PM IST

মালদা, 10 সেপ্টেম্বর: হরিশ্চন্দ্রপুরের পর এ বার ইংরেজবাজার ৷ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে তৃণমূল পরিচালিত আরও এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ৷ ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরুও হয়ে গিয়েছে (Investigation Against Fulbaria Panchayat Pradhan) ৷ খুব তাড়াতাড়ি তার রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই তদন্তকে কেন্দ্র করে শাসকদল তৃণমূলকে বিঁধতে শুরু করেছে বিরোধীরা ৷

দুর্নীতি কাণ্ডে এ বার অভিযোগের কেন্দ্রে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ অভিযোগ, 2018 সালের পর থেকেই এই পঞ্চায়েতের প্রধান রহিমা বিবি এবং তাঁর স্বামী প্রায় সমস্ত সরকারি প্রকল্পেই দুর্নীতি করে যাচ্ছেন ৷ অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান সরকারি নিয়ম মেনে কোনও কাজের টেন্ডার ডাকেন না ৷ বাড়িতে বসে সরকারি প্রকল্পের কাজ করেন তাঁর স্বামী ৷ নিজের পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠরাই ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কোনও না কোনও কাজের বরাত পান বলে অভিযোগ ৷ এ ভাবে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে প্রায় 12 কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ৷

এ নিয়ে গ্রামবাসীরা একাধিকবার ব্লক ও জেলা প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় চলতি বছর ওই পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য আরশি বিবির স্বামী আব্দুল আরেফ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ৷ সেই মামলার ভিত্তিতে আদালত ফুলবাড়িয়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেয় ৷ তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷

আব্দুল আরেফ অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান 100 দিনের কাজ, বাঁধ সংস্কারের কাজ, সবুজায়নের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে শুরু করে কমিউনিটি টয়লেট, জলাধার, সব কিছুতেই আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ৷ সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে তিনি গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছেন ৷ বাড়ির তৈরির টাকা আসার পর, তা পঞ্চায়েত প্রধান তুলেছেন ৷ আমার কাছে প্রতিটি অভিযোগের যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে ৷ আমি সেসব জেলাশাসকের কাছে এবং কলকাতা হাইকোর্টে জমা করেছি ৷ আমি চাই, উপযুক্ত প্রশাসনিক তদন্তের ভিত্তিতে এই দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধানের উপযুক্ত শাস্তি হোক ৷’’

একই বক্তব্য ওই পঞ্চায়েতের নতুন নঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়াসিম রাজার ৷ তিনি বলেন, “2018 সালের পর থেকেই পঞ্চায়েতে 100 দিনের কাজের প্রতিটি প্রকল্পে প্রধান রহিমা বিবি আর তাঁর স্বামী জাহেদুল শেখ আর্থিক দুর্নীতি করে এসেছেন ৷ নিজের ভাইপো আর পেটোয়া ঠিকাদারদের দিয়েই প্রধান সব কাজ করান ৷ সরকারি ঘর তৈরির ক্ষেত্রে তাঁরা টাকা তুলেছেন ৷ এমনকি রতুয়া ব্লকে কাজ করে, সেই টাকাও তাঁরা তুলে নিয়েছেন ৷ আমাদের এলাকায় পুরনো বাঁধে একডালি মাটিও পড়েনি ৷ কিন্তু, সেই বাঁধ সংস্কারের কাজ দেখিয়ে টাকা তুলেছেন পঞ্চায়েত প্রধান ৷’’

ইংরেজবাজারে ফুলবাড়িয়া পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা নয়ছয়, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের কাটমানি নেওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল

এ নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলছেন, “তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলি এখন দুর্নীতির আখড়া ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরা ৷ ফুলবাড়িয়া পঞ্চায়েতে একই ঘটনা ঘটেছে ৷ কলকাতা হাইকোর্ট জেলাশাসককে এর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ৷ আমাদের দাবি, দুর্নীতিগ্রস্ত এই পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর সহযোগীদের কঠোর শাস্তি হোক ৷”

এ দিকে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, “হাইকোর্টের নির্দেশে জেলাশাসক যথাযথ তদন্ত করুন ৷ তবে আমি মনে করি, যথাযথ তদন্ত হলে দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে ৷” এ নিয়ে ইংরেজবাজারের বিডিও সৌগত চৌধুরী জানিয়েছেন, “আদালতের নির্দেশে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ তদন্ত শেষ হলে, তার রিপোর্ট কোর্টে পেশ করা হবে ৷”

মালদা, 10 সেপ্টেম্বর: হরিশ্চন্দ্রপুরের পর এ বার ইংরেজবাজার ৷ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে তৃণমূল পরিচালিত আরও এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ৷ ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরুও হয়ে গিয়েছে (Investigation Against Fulbaria Panchayat Pradhan) ৷ খুব তাড়াতাড়ি তার রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই তদন্তকে কেন্দ্র করে শাসকদল তৃণমূলকে বিঁধতে শুরু করেছে বিরোধীরা ৷

দুর্নীতি কাণ্ডে এ বার অভিযোগের কেন্দ্রে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ অভিযোগ, 2018 সালের পর থেকেই এই পঞ্চায়েতের প্রধান রহিমা বিবি এবং তাঁর স্বামী প্রায় সমস্ত সরকারি প্রকল্পেই দুর্নীতি করে যাচ্ছেন ৷ অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান সরকারি নিয়ম মেনে কোনও কাজের টেন্ডার ডাকেন না ৷ বাড়িতে বসে সরকারি প্রকল্পের কাজ করেন তাঁর স্বামী ৷ নিজের পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠরাই ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কোনও না কোনও কাজের বরাত পান বলে অভিযোগ ৷ এ ভাবে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে প্রায় 12 কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ৷

এ নিয়ে গ্রামবাসীরা একাধিকবার ব্লক ও জেলা প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় চলতি বছর ওই পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য আরশি বিবির স্বামী আব্দুল আরেফ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ৷ সেই মামলার ভিত্তিতে আদালত ফুলবাড়িয়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেয় ৷ তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷

আব্দুল আরেফ অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান 100 দিনের কাজ, বাঁধ সংস্কারের কাজ, সবুজায়নের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে শুরু করে কমিউনিটি টয়লেট, জলাধার, সব কিছুতেই আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ৷ সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে তিনি গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছেন ৷ বাড়ির তৈরির টাকা আসার পর, তা পঞ্চায়েত প্রধান তুলেছেন ৷ আমার কাছে প্রতিটি অভিযোগের যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে ৷ আমি সেসব জেলাশাসকের কাছে এবং কলকাতা হাইকোর্টে জমা করেছি ৷ আমি চাই, উপযুক্ত প্রশাসনিক তদন্তের ভিত্তিতে এই দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধানের উপযুক্ত শাস্তি হোক ৷’’

একই বক্তব্য ওই পঞ্চায়েতের নতুন নঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়াসিম রাজার ৷ তিনি বলেন, “2018 সালের পর থেকেই পঞ্চায়েতে 100 দিনের কাজের প্রতিটি প্রকল্পে প্রধান রহিমা বিবি আর তাঁর স্বামী জাহেদুল শেখ আর্থিক দুর্নীতি করে এসেছেন ৷ নিজের ভাইপো আর পেটোয়া ঠিকাদারদের দিয়েই প্রধান সব কাজ করান ৷ সরকারি ঘর তৈরির ক্ষেত্রে তাঁরা টাকা তুলেছেন ৷ এমনকি রতুয়া ব্লকে কাজ করে, সেই টাকাও তাঁরা তুলে নিয়েছেন ৷ আমাদের এলাকায় পুরনো বাঁধে একডালি মাটিও পড়েনি ৷ কিন্তু, সেই বাঁধ সংস্কারের কাজ দেখিয়ে টাকা তুলেছেন পঞ্চায়েত প্রধান ৷’’

ইংরেজবাজারে ফুলবাড়িয়া পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা নয়ছয়, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের কাটমানি নেওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল

এ নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলছেন, “তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলি এখন দুর্নীতির আখড়া ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরা ৷ ফুলবাড়িয়া পঞ্চায়েতে একই ঘটনা ঘটেছে ৷ কলকাতা হাইকোর্ট জেলাশাসককে এর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ৷ আমাদের দাবি, দুর্নীতিগ্রস্ত এই পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর সহযোগীদের কঠোর শাস্তি হোক ৷”

এ দিকে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, “হাইকোর্টের নির্দেশে জেলাশাসক যথাযথ তদন্ত করুন ৷ তবে আমি মনে করি, যথাযথ তদন্ত হলে দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে ৷” এ নিয়ে ইংরেজবাজারের বিডিও সৌগত চৌধুরী জানিয়েছেন, “আদালতের নির্দেশে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ তদন্ত শেষ হলে, তার রিপোর্ট কোর্টে পেশ করা হবে ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.