ETV Bharat / city

মালদায় স্ট্রংরুম থেকে সরানো হচ্ছিল EVM ? একযোগ সরব কংগ্রেস ও BJP - allegedly taken away from strong room

স্ট্রংরুম থেকে EVM সরানো হচ্ছে । একযোগে এই অভিযোগ করে কংগ্রেস ও BJP ।

মালদায় স্ট্রংরুম থেকে সরানো হচ্ছে EVM
author img

By

Published : May 12, 2019, 4:09 PM IST

মালদা, 12 মে : স্ট্রংরুম থেকে বেআইনিভাবে সরানো হচ্ছে EVM । মালদায় গতকাল একযোগে এই অভিযোগ করে কংগ্রেস ও BJP । মালদা জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম নিজের বক্তব্যের সমর্থনে "প্রমাণ" পেশ করেন । যদিও এনিয়ে জেলা নির্বাচন আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি । আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি ।

গতকাল সকালে দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসান খানের ইলেকশন এজেন্ট মহম্মদ মহাফিজ আলম বলেন, "দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের স্ট্রং-রুম তৈরি করা হয়েছে মালদা পলিটেকনিকে । আজ সকালে সেখানে উপস্থিত আমাদের প্রতিনিধির ফোন মারফত জানতে পারি, স্ট্রংরুমের সিল ভেঙে ইলেকশনে ব্যবহৃত সামগ্রী ট্রাঙ্ক সমেত লরিতে তোলা হচ্ছে । আমি দলের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানিয়ে স্ট্রংরুমে যেতে বলার পাশাপাশি নিজেও সেখানে যাই । ঘটনাস্থানে আমরা পৌঁছাতেই সেই ট্রাঙ্কগুলিকে পুনরায় স্ট্রংরুমে রেখে দেওয়া হয় । স্ট্রংরুমে উপস্থিত আমাদের প্রতিনিধি ঘটনার বেশ কিছু অংশ ভিডিয়ো করে রাখতে পেরেছে । স্ট্রংরুমে ঢোকার রাস্তা CCTV ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে না । আমি ঘটনাস্থানে উপস্থিত কেন্দ্রীয়বাহিনীকে CCTV ক্যামেরা সংক্রান্ত বিষয়টি জানাই । কেন্দ্রীয়বাহিনীর দাবি, CCTV ক্যামেরা কোথায় থাকবে, তা দেখা তাদের কাজ নয়। স্ট্রংরুমের প্রবেশপথে CCTV ক্যামেরা না থাকায় বিষয়টি থেকে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে । SDO পার্থ চক্রবর্তীকে CCTV ক্যামেরার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি সাফ জানিয়ে দেন আদেশ অনুযায়ী তাঁরা কাজ করেছেন । তার বেশি তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না । "

মোস্তাক আলম জানান, "প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রার্থীকে 8 মে চিঠি মারফত জানানো হয় 12 মে বেলা 12টায় সিল করা ট্রাঙ্কগুলিকে পুনরায় সিল করা হবে । সেখানে প্রার্থী অথবা তার ইলেকশন এজেন্ট যেন উপস্থিত থাকেন । অথচ আজ সকাল সাড়ে 9টায় স্ট্রংরুমের সিল ভেঙে ট্রাঙ্ক ভরতি EVM লরিতে তোলা হচ্ছিল । মালদা পলিটেকনিকে উপস্থিত আমাদের প্রতিনিধি সমস্ত ঘটনা আমাদের জানান । সমস্ত ঘটনা আমরা SDO-কে জানাই । জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসককে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি । তিনি আমাদের ফোন ধরেন না । নিজের চাকরি বাঁচাবেন, না দুর্নীতির কবল থেকে নিজেকে বাঁচাবেন, তা নিয়েই তিনি লড়াই করছেন । গোপনসূত্রে আমরা জানতে পারি, শাসকদল জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছে যেভাবেই হোক মালদার দুটো লোকসভা কেন্দ্রের EVM পালটে ফেলতে হবে । যদিও এবিষয়ে আমাদের হাতে প্রমাণ নেই । সমস্ত বিষয় জানিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি ।"

অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন, " আজ সকাল 10টা নাগাদ মালদার জেলাশাসক 4-5 জন অফিসার, 15-20 জন লেবার সহ একটি লরি নিয়ে মালদা পলিটেকনিকে হাজির হন । ইংরেজবাজার ও মানিকচক - এই দুটো বিধানসভায় BJP শক্তিশালী । মালদা পলিটেকনিকে ইংরেজবাজার ও মানিকচকের EVM রয়েছে । মালদা পলিটেকনিকের স্ট্রংরুমে ঢুকে তাঁরা ট্রাঙ্ক বের করে লরিতে তোলেন । ঘটনাস্থানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের বাধা দেওয়ায় তাঁরা ট্রাঙ্কগুলি পুনরায় স্ট্রংরুমে রেখে ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যান । তারপরে আমি বারবার জেলাশাসককে ফোন করেছি কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি । SDO সাহেবকে ফোনে পাওয়া গেলেও তিনি কথা বলেননি । জাতীয় নির্বাচন কমিশনে আমি অভিযোগ জানিয়েছি । 24 ঘণ্টার মধ্যে জেলাশাসক ও তাঁর অনুগামীদের অপসারণ না করা হলে আমরা আমরণ অনশনে বসব । "

এই বিষয়ে অবশ্য জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসকের প্রতিক্রিয়া পেতে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি ।

মালদা, 12 মে : স্ট্রংরুম থেকে বেআইনিভাবে সরানো হচ্ছে EVM । মালদায় গতকাল একযোগে এই অভিযোগ করে কংগ্রেস ও BJP । মালদা জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম নিজের বক্তব্যের সমর্থনে "প্রমাণ" পেশ করেন । যদিও এনিয়ে জেলা নির্বাচন আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি । আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি ।

গতকাল সকালে দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসান খানের ইলেকশন এজেন্ট মহম্মদ মহাফিজ আলম বলেন, "দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের স্ট্রং-রুম তৈরি করা হয়েছে মালদা পলিটেকনিকে । আজ সকালে সেখানে উপস্থিত আমাদের প্রতিনিধির ফোন মারফত জানতে পারি, স্ট্রংরুমের সিল ভেঙে ইলেকশনে ব্যবহৃত সামগ্রী ট্রাঙ্ক সমেত লরিতে তোলা হচ্ছে । আমি দলের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানিয়ে স্ট্রংরুমে যেতে বলার পাশাপাশি নিজেও সেখানে যাই । ঘটনাস্থানে আমরা পৌঁছাতেই সেই ট্রাঙ্কগুলিকে পুনরায় স্ট্রংরুমে রেখে দেওয়া হয় । স্ট্রংরুমে উপস্থিত আমাদের প্রতিনিধি ঘটনার বেশ কিছু অংশ ভিডিয়ো করে রাখতে পেরেছে । স্ট্রংরুমে ঢোকার রাস্তা CCTV ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে না । আমি ঘটনাস্থানে উপস্থিত কেন্দ্রীয়বাহিনীকে CCTV ক্যামেরা সংক্রান্ত বিষয়টি জানাই । কেন্দ্রীয়বাহিনীর দাবি, CCTV ক্যামেরা কোথায় থাকবে, তা দেখা তাদের কাজ নয়। স্ট্রংরুমের প্রবেশপথে CCTV ক্যামেরা না থাকায় বিষয়টি থেকে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে । SDO পার্থ চক্রবর্তীকে CCTV ক্যামেরার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি সাফ জানিয়ে দেন আদেশ অনুযায়ী তাঁরা কাজ করেছেন । তার বেশি তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না । "

মোস্তাক আলম জানান, "প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রার্থীকে 8 মে চিঠি মারফত জানানো হয় 12 মে বেলা 12টায় সিল করা ট্রাঙ্কগুলিকে পুনরায় সিল করা হবে । সেখানে প্রার্থী অথবা তার ইলেকশন এজেন্ট যেন উপস্থিত থাকেন । অথচ আজ সকাল সাড়ে 9টায় স্ট্রংরুমের সিল ভেঙে ট্রাঙ্ক ভরতি EVM লরিতে তোলা হচ্ছিল । মালদা পলিটেকনিকে উপস্থিত আমাদের প্রতিনিধি সমস্ত ঘটনা আমাদের জানান । সমস্ত ঘটনা আমরা SDO-কে জানাই । জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসককে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি । তিনি আমাদের ফোন ধরেন না । নিজের চাকরি বাঁচাবেন, না দুর্নীতির কবল থেকে নিজেকে বাঁচাবেন, তা নিয়েই তিনি লড়াই করছেন । গোপনসূত্রে আমরা জানতে পারি, শাসকদল জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছে যেভাবেই হোক মালদার দুটো লোকসভা কেন্দ্রের EVM পালটে ফেলতে হবে । যদিও এবিষয়ে আমাদের হাতে প্রমাণ নেই । সমস্ত বিষয় জানিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি ।"

অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন, " আজ সকাল 10টা নাগাদ মালদার জেলাশাসক 4-5 জন অফিসার, 15-20 জন লেবার সহ একটি লরি নিয়ে মালদা পলিটেকনিকে হাজির হন । ইংরেজবাজার ও মানিকচক - এই দুটো বিধানসভায় BJP শক্তিশালী । মালদা পলিটেকনিকে ইংরেজবাজার ও মানিকচকের EVM রয়েছে । মালদা পলিটেকনিকের স্ট্রংরুমে ঢুকে তাঁরা ট্রাঙ্ক বের করে লরিতে তোলেন । ঘটনাস্থানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের বাধা দেওয়ায় তাঁরা ট্রাঙ্কগুলি পুনরায় স্ট্রংরুমে রেখে ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যান । তারপরে আমি বারবার জেলাশাসককে ফোন করেছি কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি । SDO সাহেবকে ফোনে পাওয়া গেলেও তিনি কথা বলেননি । জাতীয় নির্বাচন কমিশনে আমি অভিযোগ জানিয়েছি । 24 ঘণ্টার মধ্যে জেলাশাসক ও তাঁর অনুগামীদের অপসারণ না করা হলে আমরা আমরণ অনশনে বসব । "

এই বিষয়ে অবশ্য জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসকের প্রতিক্রিয়া পেতে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি ।

Intro:মালদা, ২ এপ্রিলঃ স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকায় গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর৷ অগ্নিদগ্ধ স্বামী বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ যদিও টোটো বিক্রি নিয়ে স্বামী এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি স্ত্রীর৷ গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজারের বাগবাড়ি এলাকায়৷Body:অগ্নিদগ্ধ স্বামীর নাম মহিউদ্দিন আহমেদ৷ বয়স ২৩৷ বাড়ি মোথাবাড়ির মেহেরাপুরের ছবিলপাড়ায়৷ মহিউদ্দিন সাহেব পেশায় টোটো চালক৷ ৫ বছর আগে ইংরেজবাজারের বাগবাড়ির জাসমিন পারভিনের সঙ্গে প্রেম করে নিকাহ করেন তিনি৷ তাঁদের ৩ বছরের এক মেয়ে আছে৷ প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় মহিউদ্দিন সাহেব বাগবাড়িতে জাসমিনের বাড়িতেই থাকতেন৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জাসমিনকে নিকাহ করার জন্য দুবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন মহিউদ্দিন সাহেব৷ গতকাল রাতে জাসমিনের বাড়ির সামনের গলিতে টোটোতে ও গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি৷
মহিউদ্দিন সাহেবের দিদি আনোয়ারা জাঁহা জানান, "মিঁয়া-বিবির মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত৷ গতকাল আমাকে ফোন করে জানায় ভাই নিজেকে পুড়িয়ে ফেলেছে ফোনের বিষয় নিয়ে৷ ভাবী সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে৷ ভাই ভাবীকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে দেবে না৷ এর আগেও ভাইয়েরা যে বাড়িতে ভাড়া থাকত, সেই বাড়ির এক ছেলের সঙ্গে ভাবীর সম্পর্ক ছিল৷ ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছে তাঁরা লেপ দিয়ে ভাইয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করে৷ কিন্তু স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে পেরেছি, ভাইকে বাঁচানোর জন্য তাঁরা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি৷ ভাই জ্বালা সহ্য করতে না পেরে নিজেই পানায় ঝাঁপ দিয়েছে৷"
Conclusion:যদিও টোটো বিক্রি নিয়ে ঝামেলার জেরে শওহর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে দাবি করেছেন জাসমিন৷ তিনি জানান, মাস চারেক আগে লোন নিয়ে তাঁরা একটি পুরোনো টোটো কেনেন৷ সেই টোটো নিজের নামেই কিনেছিলেন তাঁরা৷ টোটো থেকে আর্থিক উপার্জন কম হওয়ায় সেই টোটো বিক্রি করতে চাইছিল তাঁর শওহর৷ গতকাল রাতে শওহর তাঁকে টোটো বিক্রি করার জন্য স্বাক্ষর করতে বলেন৷ তিনি স্বাক্ষর না করলে শওহর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়৷ কিছু সময় পরে বাড়ি ফিরে গলির সামনে টোটোতে ও গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় শওহর৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.