ETV Bharat / city

"1977-তে দেশে যা ঘটেছিল এবার এরাজ্যে তার পুনরাবৃত্তি হবে"

উত্তর মালদা কেন্দ্রের বাম সমর্থিত CPI(M) প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষ। আর হাতে টিকিট পাওয়া মাত্রই ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। শুরু করে দিয়েছেন নির্বাচনী প্রচার। গতকাল নিজের বাড়িতে ETV ভারতের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "1977 সালে জরুরি অবস্থার পর যখন ভোট হয়, তখন ইন্দিরা গান্ধিকেও মানুষ হারিয়ে দিয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। তাই এবার তৃণমূল কিংবা BJP তাদের প্রচেষ্টায় সফল হবে না। এবার মানুষ নির্ভয়ে ভোট দেবে। '77-এর নির্বাচনে সারা দেশে যা ঘটেছিল, এবার পশ্চিমবঙ্গেও সেই ঘটনা ঘটবে।"

বিশ্বনাথ ঘোষ
author img

By

Published : Mar 23, 2019, 5:35 AM IST

মালদা, 23 মার্চ : আসন সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করে শেষমেশ উত্তর মালদা ও জঙ্গিপুর এই দুই আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। উত্তর মালদা কেন্দ্রের বাম সমর্থিত CPI(M) প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষ। আর হাতে টিকিট পাওয়া মাত্রই ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। শুরু করে দিয়েছেন নির্বাচনী প্রচার। গতকাল নিজের বাড়িতে ETV ভারতের মুখোমুখি হন তিনি।

বিশ্বনাথ ঘোষ মালদার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ:
-ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ভোটের ময়দানে প্রথম নেমেছিলেন 1988-তে। সেবার জেলা পরিষদ আসনে জিতে মালদা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন।
-1993-তে একই আসন থেকে ভোটে জিতে ফের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হন।
-1996, 2001 দু'বার কালিয়াচক বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরির কাছে পরাজিত হন।
- 2011 সালে ওই আসনেই বিধায়ক নির্বাচিত হন। যদিও ডিলিমিটেশনের পর 2011 বিধানসভা নির্বাচনে বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রে ইশা খান চৌধুরির কাছে তিনি পরাজিত হন।
- 2019 আবারও উত্তর মালদা থেকে লোকসভা ভোটে বামফ্রন্টের টিকিটে প্রার্থী বিশ্বনাথবাবু।

প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পর প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তিনি। পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি এলাকায় 3 ঘণ্টা প্রচার মিছিল করেন। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র সহ অন্য বাম নেতা ও কর্মী- সমর্থকরা। গতকাল হরিশ্চন্দ্রপুরে নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

ভিডিয়োয় শুনুন বিশ্বনাথ ঘোষের বক্তব্য

ETV ভারতের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "দীর্ঘ ৮ বছর পর ভোটের ময়দানে নামলেও এই লড়াইটা আমার কাছে আলাদা কিছু নয়। সারা বছর, প্রতিদিন মানুষের দাবিকে কেন্দ্র করে মানুষের পাশে থেকে লড়াই করেছি। তার অংশ হিসাবে নির্বাচনটা আমার কাছে বড় সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে সর্বশক্তি দিয়ে আমি লড়াইয়ের ময়দানে আছি। কংগ্রেসের টালবাহানার জন্য সময় একটু কম পেলাম ঠিকই, কিন্তু কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যে সাড়া দেখছি, তাতে একটা স্বতঃস্ফূর্তভাব আমি লক্ষ্য করছি। তাই সময় কম পেলেও আমার কাছে সেটা কোনও ফ্যাক্টর না।"

2016 উত্তর মালদা কেন্দ্রে বামফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন খগেন মুর্মু। সম্প্রতি তিনি BJP-তে যোগ দিয়েছেন। এবারের ভোটে এর কি প্রভাব পড়বে?
-"আগে থেকে অঙ্কের হিসাব করে এসব বলা সম্ভব নয়। তবে খগেনবাবুকে এই নির্বাচনে মানুষ উপযুক্ত জবাব দেবে। খগেনবাবু গতবার যে ভোট পেয়েছিলেন, এবার তার থেকে বেশি ভোট আমরা পেতে পারি। সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়ে গেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁর থেকে এবার আমরা বেশি ভোট পাব। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরিখে বলছেন, উত্তর মালদায় আমাদের শক্তি কমেছে। কিন্তু এটা বুঝতে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুট হয়েছিল। আর এই নির্বাচনে কোনও স্থানীয় ইশু নয়, প্রাধান্য পাবে দেশের ইশু। BJP-র প্রতি মানুষের বিশ্বাস ভেঙে গেছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে BJP হেরেছে। তার প্রতিফলন এই নির্বাচনেও দেখতে পাওয়া যাবে। এবারের ভোটে মানুষের রায় লাল ঝান্ডার পক্ষে আসবে। কারণ, মানুষ জানে লাল ঝান্ডাই সবসময় তাদের পাশে থাকে। তবে এই নির্বাচনে উত্তর মালদায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে জয় কিংবা পরাজয় সেটা শেষ পর্যন্ত মানুষের হাতে।"

তিনি আরও বলেন, "1977 সালে জরুরি অবস্থার পর যখন ভোট হয়, তখন ইন্দিরা গান্ধিকেও মানুষ হারিয়ে দিয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। তাই এবার তৃণমূল কিংবা BJP তাদের প্রচেষ্টায় সফল হবে না। এবার মানুষ নির্ভয়ে ভোট দেবে। '77-এর নির্বাচনে সারা দেশে যা ঘটেছিল, এবার পশ্চিমবঙ্গেও সেই ঘটনা ঘটবে।"

মালদা, 23 মার্চ : আসন সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করে শেষমেশ উত্তর মালদা ও জঙ্গিপুর এই দুই আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। উত্তর মালদা কেন্দ্রের বাম সমর্থিত CPI(M) প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষ। আর হাতে টিকিট পাওয়া মাত্রই ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। শুরু করে দিয়েছেন নির্বাচনী প্রচার। গতকাল নিজের বাড়িতে ETV ভারতের মুখোমুখি হন তিনি।

বিশ্বনাথ ঘোষ মালদার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ:
-ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ভোটের ময়দানে প্রথম নেমেছিলেন 1988-তে। সেবার জেলা পরিষদ আসনে জিতে মালদা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন।
-1993-তে একই আসন থেকে ভোটে জিতে ফের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হন।
-1996, 2001 দু'বার কালিয়াচক বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরির কাছে পরাজিত হন।
- 2011 সালে ওই আসনেই বিধায়ক নির্বাচিত হন। যদিও ডিলিমিটেশনের পর 2011 বিধানসভা নির্বাচনে বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রে ইশা খান চৌধুরির কাছে তিনি পরাজিত হন।
- 2019 আবারও উত্তর মালদা থেকে লোকসভা ভোটে বামফ্রন্টের টিকিটে প্রার্থী বিশ্বনাথবাবু।

প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পর প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তিনি। পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি এলাকায় 3 ঘণ্টা প্রচার মিছিল করেন। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র সহ অন্য বাম নেতা ও কর্মী- সমর্থকরা। গতকাল হরিশ্চন্দ্রপুরে নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

ভিডিয়োয় শুনুন বিশ্বনাথ ঘোষের বক্তব্য

ETV ভারতের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "দীর্ঘ ৮ বছর পর ভোটের ময়দানে নামলেও এই লড়াইটা আমার কাছে আলাদা কিছু নয়। সারা বছর, প্রতিদিন মানুষের দাবিকে কেন্দ্র করে মানুষের পাশে থেকে লড়াই করেছি। তার অংশ হিসাবে নির্বাচনটা আমার কাছে বড় সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে সর্বশক্তি দিয়ে আমি লড়াইয়ের ময়দানে আছি। কংগ্রেসের টালবাহানার জন্য সময় একটু কম পেলাম ঠিকই, কিন্তু কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যে সাড়া দেখছি, তাতে একটা স্বতঃস্ফূর্তভাব আমি লক্ষ্য করছি। তাই সময় কম পেলেও আমার কাছে সেটা কোনও ফ্যাক্টর না।"

2016 উত্তর মালদা কেন্দ্রে বামফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন খগেন মুর্মু। সম্প্রতি তিনি BJP-তে যোগ দিয়েছেন। এবারের ভোটে এর কি প্রভাব পড়বে?
-"আগে থেকে অঙ্কের হিসাব করে এসব বলা সম্ভব নয়। তবে খগেনবাবুকে এই নির্বাচনে মানুষ উপযুক্ত জবাব দেবে। খগেনবাবু গতবার যে ভোট পেয়েছিলেন, এবার তার থেকে বেশি ভোট আমরা পেতে পারি। সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়ে গেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁর থেকে এবার আমরা বেশি ভোট পাব। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরিখে বলছেন, উত্তর মালদায় আমাদের শক্তি কমেছে। কিন্তু এটা বুঝতে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুট হয়েছিল। আর এই নির্বাচনে কোনও স্থানীয় ইশু নয়, প্রাধান্য পাবে দেশের ইশু। BJP-র প্রতি মানুষের বিশ্বাস ভেঙে গেছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে BJP হেরেছে। তার প্রতিফলন এই নির্বাচনেও দেখতে পাওয়া যাবে। এবারের ভোটে মানুষের রায় লাল ঝান্ডার পক্ষে আসবে। কারণ, মানুষ জানে লাল ঝান্ডাই সবসময় তাদের পাশে থাকে। তবে এই নির্বাচনে উত্তর মালদায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে জয় কিংবা পরাজয় সেটা শেষ পর্যন্ত মানুষের হাতে।"

তিনি আরও বলেন, "1977 সালে জরুরি অবস্থার পর যখন ভোট হয়, তখন ইন্দিরা গান্ধিকেও মানুষ হারিয়ে দিয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। তাই এবার তৃণমূল কিংবা BJP তাদের প্রচেষ্টায় সফল হবে না। এবার মানুষ নির্ভয়ে ভোট দেবে। '77-এর নির্বাচনে সারা দেশে যা ঘটেছিল, এবার পশ্চিমবঙ্গেও সেই ঘটনা ঘটবে।"

sample description
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.